Saffron Milk

Healthy Pregnancy Tips: গর্ভবতী মহিলাদের কখন জাফরান দুধ খাওয়া উচিত নয়? জানালেন বিশেষজ্ঞ

কলকাতা: কেশর বা জাফরানকে বহুমূল্য একটি মশলা বা উপাদান বলা ভাল! মূলত খাবারে রঙ আনার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে পোলাও কিংবা বিরিয়ানির মতো খাবারে অথবা মিষ্টিতেও  স্বাদ, গন্ধ ও রং-এর জন্য জাফরান বা কেশর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাশ্মীরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চাষ হয় কেশরের। তবে আবহাওয়া ঠিকঠাক না থাকলে জাফরান সেভাবে হয় না। ফলে এর দামও প্রচুর।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, জাফরান বা কেশরের স্বাস্থ্য উপকারিতা দুর্দান্ত। অনেকেই পোলাও কিংবা বিরিয়ানিতে এটি ব্যবহার করেন। তবে দুধের মধ্যেও জাফরান মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জাফরান মস্তিষ্ক, হার্ট এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী জাফরান। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, শিশুর ত্বক ফর্সা এবং সুন্দর করে তুলতে পারে কেশর। কিন্তু গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত জাফরান সেবন করলে তা  ক্ষতিকর। তাই এটি সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা প্রয়োজন।

জাফরান-দুধের উপকারিতা:

উত্তরাখণ্ডের বিখ্যাত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. সিরাজ সিদ্দিকি বলেন যে, জাফরানে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং বি রয়েছে যা হজম, মানসিক স্বাস্থ্য এবং হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি মানসিক চাপ দূর করতে সহায়ক। সেই সঙ্গে ঘুমের উন্নতি করে আর শরীরে শক্তিও জোগায়। এটি বহু শতাব্দী ধরে পারম্পরিক ভারতীয় পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দুধের মধ্যে জাফরান মিশিয়ে খেলে ত্বক, হৃৎপিণ্ড, দৃষ্টিশক্তি, পাকস্থলী, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

গর্ভবতী মহিলাদের কখন জাফরান দুধ খাওয়া উচিত নয়?

ডা. সিদ্দিকি বলেন , গর্ভবতী মহিলাদের জাফরান দুধ খাওয়ার আগে এর সঠিক পদ্ধতি জানা উচিত। বিশেষ করে গর্ভাস্থার প্রথম এবং শেষ মাসে এটি খাওয়া কখনওই উচিত নয়। বরং গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ মাস থেকে অষ্টম মাস পর্যন্ত এটি খেতে পারেন হবু মা। কিন্তু দিনে মাত্র ২-৩ বার। এর জন্য হালকা গরম দুধে মাত্র এক স্ট্র্যান্ড জাফরান বা কেশর মিশিয়ে নিতে হবে। তারপরেই তা পান করতে হবে। এতে গর্ভস্থ শিশু ও প্রসূতি উভয়েরই উপকার হবে।