![আমাদের চারপাশের ঝোপঝাড়ে এমন অনেক ভেষজ গাছ জন্মায় , যার ঔষধি গুণ আমরা বুঝি না। তার মধ্যে একটি হল অ্যাসপারাগাস, যা মহিলাদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/FotoJet-20240613T180207811-2024-06-e9aa45988bc34d4259e6fc002bf71f31.jpg)
![অ্যাসপারাগাস খেলে নারীরা অনেক রোগ থেকে দূরে থাকে। প্রোজেস্টেরন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর গুঁড়ো দুধে হালকা ফুটিয়ে পান করলেও বিরাট উপকার পাবেন।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240624-at-180143-2024-06-ed65bdab4561989d0982375b685815f0.jpeg)
![আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. দীপ্তি নামদেব লেন যে মহিলাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে, আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা অ্যাসপারাগাস জুস পান করার পরামর্শ দেন। মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়ন্ত্রণ করে, সেইসঙ্গে গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা বাড়ায়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/480611419819b77baf417b-2024-06-e8d8818bd4de541bd22fcd0a2d3bbe49.jpg)
![মহিলাদের পিরিয়ডের সময় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, সেই সময় অ্যাসপারাগাস জুস খেলে সতেজতা অনুভব করবেন। শরীরের ব্যথা ও ক্লান্তি কমবে। অ্যাসপারাগাস মূল এবং এর ছোট পাতাগুলি ঘুমের অভাব এবং ক্ষুধা হ্রাসের মতো সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটি প্রতিষেধক।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240624-at-180159-2024-06-08a27d3c1c2eaf2c9cc8dc90e8fc6dec.jpeg)
![মহিলারা সারাজীবন প্রচুর শারীরিক এবং মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যায় এবং অনেক সময় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যাসপারাগাসে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য মহিলাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240624-at-180432-2024-06-8fd44b135edfa773420bcfd20d44a53b.jpeg)
![বিয়ের পর মহিলাদের স্বাস্থ্যের বড় ধরনের পরিবর্তনের পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যাও দেখা দেয়। গর্ভবতী হলে সমস্যা বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় আয়ুর্বেদের এই ওষুধটি মহিলাদের জন্য অমৃত৷](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240624-at-180216-2024-06-ec959c2526e6a65f0c5f397b1ea8da54.jpeg)
কলকাতা: স্ত্রী হেইলি সঙ্গে কয়েকদিন আগেই গোপন ছবি ফাঁস হয়েছিল আন্তর্জাতিক পপ তারকা জাস্টিন বিবারের। সেই জাস্টিন ফের বিয়ে করলেন হেইলির সঙ্গে। কেন জানেন? কারণ প্রথমবার হেইলির সঙ্গে সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন জাস্টিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই স্ত্রীয়ের বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার করেছেন সঙ্গীতশিল্পী। সন্তান আসার খবর শেয়ার করেছেন জাস্টিন শুধু তাই নয়, খ্রিস্টানমতে ফের ফাদারের সামনে বিয়ে করেছেন জাস্টিন ও হেইলি।
আরও পড়ুন: সোনা নয়, অক্ষয় তৃতীয়ায় এই ৪ রাশির জাতকেরা সাদা ধাতু কিনুন; সুখ-সমৃদ্ধি সঙ্গী হয়ে উঠবে!
দীর্ঘ ৮ বছরের সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয় জাস্টিন বিবার ও সেলেনা গোমজের। তারপরই ২০১৮ সালে মার্কিন মডেল হেইলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জাস্টিন। কিন্তু বিয়ের খবর কেউই প্রকাশ্যে আনেননি। সন্তানের খবর অবশ্য দিলেন।
View this post on Instagram
আরও পড়ুন: রাজ্যের সেরা ৫ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কোনগুলি? নাম জানেন? NIRF-এর তালিকা দেখুন
বিয়ের চার বছর পর বিয়ের কথা স্বীকার করেছিলেন তারকা জুটি। ২০১০ সাল থেকে দীর্ঘ আট বছর সম্পর্কে থাকার পর বিচ্ছেদ হয় জাস্টিন বিবার এবং সেলেনা গোমেজের। ২০১৮ সালে হেইলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে জড়ান জাস্টিন। লোকে সমালোচনা করে বলে, গায়িকা-অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজের থেকে জাস্টিনকে ছিনিয়ে নেন হেইলি।
মহারাষ্ট্র: মাত্র ১৭ বছর বয়স পেরোনোর আগেই দু’দুবার গর্ভবতী। কিশোরীর দুই সন্তানকে বিক্রি করে দেয় বাবা-মা। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার সপ্তদশী বালিকার জীবনের ঘটনায় আঁতকে উঠছে গোটা দেশ। বালিকা পুলিশকে জানায় তাঁর দুবার গর্ভবতী হওয়ার কথা। পাশাপাশি বাবা-মা, একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল, দুই মহিলা ডাক্তার এবং এক সমাজকর্মী, এক আইনজীবী-সহ মোট ১৬ জনের নামে অভিযোগ জানায়।
ঘটনায় কিশোরীর বাবা-মা সহ অন্তত ১৬ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী, শিশুকে ধর্ষণ এবং বিক্রি করার জন্য মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরমে রোজ দই খাচ্ছেন? তলে তলে বাড়ছে না তো ইউরিক অ্যাসিড? জেনে নিন
দেশের এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বালিকা দুই আলাদা ব্যক্তির দ্বারা গর্ভবতী হয়। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ২৩ বছররে এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। পরে তারা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কিশোরী গর্ভবতী হওয়ার পর তার বাবা-মা সমস্ত কিছু জানতে পারেন। বালিকার কথায় তার বাবা-মা স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং এক সমাজকর্মীর সহায়তা চেয়েছিলেন সেই সময়।
সপ্তম শ্রেণিতেই পড়াশোনায় ইতি হয় ওই কিশোরীর। পরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে তাকে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিশোরীর কথায়, গর্ভাবস্থার মধ্যেই বাবা-মা তাকে এক আইনজীবীর কাছে নিয়ে যায়। কিছু কাগজপত্রে সইও করতে হয়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় বালিকা। পরে সেই কন্যা সন্তানকে এক সমাজকর্মীকে দিয়ে দেওয়া হয়।
সন্তানের জন্মের ৬ মাস পরে ওই ২৩ বছরের যুবকের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করে বালিকা। কিশোরীর অভিযোগ, যুবক বালিকাকে বিয়ে করতে চাইলেও তাকে অন্যরা বাধা দেয়। কিশোরীর আরও অভিযোগ ওই যুবক জানায়, ওই সমাজকর্মীকে তিনি ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
কিশোরীর অভিযোগ এই টাকা তার বাবা-মা এবং এক পরিচিত কাকু প্রত্যেকে ১.৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। সমাজকর্মী-সহ অন্য কয়েকজন অবশিষ্ট ১ লক্ষ টাকা ভাগাভাগি করেছেন। পরে কিশোরীকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানে অন্য এক ২৩ বছরের যুবকের সঙ্গে তার বিয়ের কথা চলে।
এই যুবকের দ্বারা ফের গর্ভবতী হয় কিশোরী। পরে কিশোরীর পূর্ব সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যুবক বিয়ে করতে অস্বীকার করে। দ্বিতীয়বার পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় কিশোরী। এই সন্তানটিকেও অন্য এক সমাজকর্মীর মাধ্যমে বিক্রির সিন্ধান্ত নেয় কিশোরীর বাবা-মা। তখনই পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানায় অভিযোগকারী কিশোরী।
মা হওয়ার উপযুক্ত সময় কোনটি, অল্প বয়সে মা হওয়া যেমন আইনত অপরাধ, তেমনি গর্ভধারিণী মা ও শিশুর সমস্যা হতে পারে। একটি বাচ্চা নেওয়ার কতদিন পর আরেকটি বাচ্চা নেওয়ার ন্যূনতম ব্যবধান রাখা দরকার।
শিলিগুড়ি : প্রাকৃতিক বা জৈবিক উপায়ে যাঁরা সন্তান লাভ করতে পারছেন না, আধুনিক চিকিৎসা-বিজ্ঞান তাঁদের জন্য বিকল্প বন্দোবস্ত করেছে। পদ্ধতিটাই শুধু আলাদা। নলজাত সন্তান কিন্তু আর পাঁচটা স্বাভাবিক শিশুর মতোই হবে। এর পরেও এই পদ্ধতি বা আইভিএফ নিয়ে সংশয়, গোপনীয়তা, প্রশ্ন কম নয়। ভিট্রো কথাটির অর্থ শরীরের বাইরে। এই পদ্ধতিতে শরীরের বাইরে জীবন সৃষ্টি করা হয় বলে পদ্ধতিটিকে ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশন বলে। চলতি কথায়, টেস্ট টিউব বেবি।
চিকিৎসাটি শুরুর পর চার দশকেরও বেশি পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে প্রায় ৮০ লক্ষ শিশু আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেছে। ভারতেও অসংখ্য দম্পতি এই চিকিৎসায় উপকৃত হয়েছেন। ল্যাবরেটরি থেকে মানবশরীরে কী ভাবে নতুন প্রাণ সৃষ্টি হয়, বিশদে বুঝিয়ে বললেন ইনফার্টিলিটি স্পেশ্যালিস্ট ডাঃ প্রসেনজিৎ কুমার রায়। তিনি জানালেন, সাধারণত প্রতি চোদ্দো জনে একজন মহিলার সন্তানলাভে সমস্যা হচ্ছে। যে মহিলারা ফাইব্রয়েড, এন্ডোমেট্রিয়োসিস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভুগছেন তাঁদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বেশি। শুক্রাণুর অস্বাভাবিকতা, ডিম্বাশয়, ডিম্বনালী বা জরায়ুর সমস্যা, ডিম্বাণু নিঃসরণে অসুবিধে, এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রেও গর্ভধারণে সমস্যা হয়।
আরও পড়ুনParenting Tips: বাচ্চা কোলে নিলেই চুপ, নামিয়ে দিলেই শুরু কান্না! সন্তানের মন বুঝুন বাবা-মায়েরা
প্রথমে ট্যাবলেট বা ইঞ্জেকশন দিয়ে স্ত্রীর ডিম্বানু তৈরির চেষ্টা করা হয়। স্বামীর সমস্যা থাকলে তাঁকে ওষুধ দিয়েও ফল হয়েছে। ওভারিতে সিস্ট, ফ্যালোপিয়ান টিউবে ব্লক, এন্ডোমেট্রিয়োসিস বা পলিসিস্টিক ওভারি থাকলে অনেক সময়ে ল্যাপরোস্কোপি – হিস্টিরিয়োস্কোপি করা হয়। এই পদ্ধতিগুলিতে সন্তান ধারনের সম্ভাবনা বাড়ে। এগুলিতে কাজ না হলে আইইউআই বা (ইন্ট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন, ডিম্বাণু ও শুক্রাণুকে কাছাকাছি আনা হয়) অথবা আইভিএ-এর পরামর্শ দেওয়া হয়। ডা. রায় বলছেন, ফ্যালোপিয়ান নালির সমস্যায় আইভিএফ ছাড়া উপায় নেই।
ডাক্তারবাবু আরও জানান, আইভিএফ পদ্ধতিটিতে একটু অস্বস্তি বোধ হতে পারে। তবে এতে যন্ত্রণার কোনও ভয় নেই। ওষুধ দেওয়ার কারণে ডিম্বাশয় বড় হয়ে যায়, হরমোনের পরিবর্তনে শরীরে জল জমে। তাতে একটু ভারী লাগে নিজেকে, খিঁচুনি লাগতে পারে। এগুলো কয়েক দিনেই ঠিক হয়ে যায়। ডা. রায় বললেন, সমীক্ষায় প্রমাণিত যে, নলজাতক ও স্বাভাবিক উপায়ে জন্ম নেওয়া শিশুর মধ্যে মেধাগত ও শারীরিক কোনও তফাত নেই। বরং আইভিএফ-এর সুবিধে হল, ভ্রূণের ছোট্ট পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় শিশুর জটিল রোগ বা জিনগত ত্রুটি আছে কি না। কাজেই গর্ভধারণে সমস্যা থাকলে মন খারাপ করবেন না। কখনওই কিন্তু হাল ছেড়ে দেবেন না। কুণ্ঠা ঝেড়ে ফেলে বিজ্ঞানের সাহায্য নিন। সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলুন, ফুটফুটে সন্তানের হাত ধরে।
অনির্বাণ রায়
‘অন্তঃসত্ত্বা পুরুষ’-আপাত অসম্ভব এই বিশেষণকেই সত্যি বলে প্রমাণ করেছিলেন সঞ্জু ভগত। নাগপুরের এই বাসিন্দা গত শতকের ছয় দশকে দীর্ঘ দিন ছিলেন সংবাদের শিরোনামে। তাঁর বিশাল উদর সব সময়েই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। ৩৬ বছরের বেশি সময় বিশাল বপু নিয়ে কাটানোর পর জানা যায় সঞ্জু তাঁর দেহে বহন করছিলেন নিজের যমজ ভাই বা বোনকে।
অল্প বয়সে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা যায়নি তাঁর মধ্যে৷ বয়স কুড়ির কোঠায় পৌঁছনর পর দ্রুত হারে স্ফীত হতে থাকে পেট৷ প্রথম দিকে বিশেষ গুরুত্ব না দিলেও পরিস্থিতি এমন জায়গা পৌঁছয় যে সঞ্জুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়৷
১৯৯৯ সালে তাঁকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ ডাক্তাররা প্রথমে ভেবেছিলেন তাঁর পেটে টিউমর আছে৷ চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে হতবাক হয়ে যান৷ তাঁরা সঞ্জুর পেট থেকে একে একে বার করে আনেন মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, এমনকি চুল!
ডাক্তাররা এই বিরল ঘটনাকে বলেন ‘ফেটাস ইন ফেটু’ বলে৷ অন্য পরিভাষায় একে বলা হয় ‘ভ্যানিশিং টুইন সিন্ড্রোম৷’ অর্থাৎ এক্ষেত্রে সঞ্জুর মা যখন অন্তঃসত্ত্বা হন, তখন তাঁর গর্ভে প্রাথমিক ভাবে যমজ ভ্রূণ ছিল৷ কিন্তু প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালে একটি ভ্রূণ মিশে যায় অপরটির সঙ্গে৷ মায়ের দেহের ভিতরে একটি ভ্রূণকে ভিতরে নিয়ে বাড়তে থাকে অপর ভ্রূণ৷ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়ও সেভাবেই হয়৷ অর্থাৎ যমজের মধ্যে একটি সন্তান জন্মায়৷ তার পেটে থাকে যমজ ভাই বা বোন৷
ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু সময়ের সঙ্গে বড় হতে থাকে৷ তার দেহেই পরজীবী হয়ে বাড়তে থাকে যমজ ভাই বা বোন৷ নাগপুরের সঞ্জুর মতো প্রথমে উপেক্ষা না করলে আরও আগেই মুক্তি মেলে এই বিপত্তি থেকে৷ অস্ত্রোপচারের পর তার পেট থেকে বার হওয়া পরজীবী ভ্রূণকে দেখতে চাননি সঞ্জু৷ বিপন্মুক্ত হয়ে ফিরে যান স্বাভাবিক জীবনে৷ কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা পুরুষের পরিচয় এড়িয়ে যেতে পারেননি৷
সাধারণত ফেটাস ইন ফেটু-র মতো বিরল ক্ষেত্রে দু’টি অথবা একটি ভ্রূণ মারা যায় ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই৷ কিন্তু চেনা সব হিসেব পাল্টে গিয়েছিল সঞ্জু ভগতের বেলায়৷ নাগপুরের এই যুবকের বেলায় তিনি শুধু ভূমিষ্ঠই হননি, তাঁর শরীরে পরজীবী হয়ে বেড়ে উঠেছিল তাঁর যমজ ভাই বা বোন৷ যত দিন না চূড়ান্ত অস্ত্রোপচার হয়েছে, তত দিন জীবিত ছিল সেটি৷ অস্ত্রোপচারের পর পরই মৃত্যু হয় পরজীবী ভ্রূণটির৷
এই ঘটনা চিকিৎসা শাস্ত্রের বিরলতমর মধ্যে বিরলতম বলে পরিগণিত হলেও সঞ্জু ভগতের কাছে ছিল চরম লজ্জার বিষয়৷ জীবনভর ব্যঙ্গের শিকার হয়েছেন তিনি৷ এমনকি, পুরনো পরিচয় ছেড়ে যায়নি অস্ত্রোপচারের পরও৷