ডিশপুর: অসমের মার্ঘেরিতা শহরে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। একজন মা তাঁর পাঁচ বছরের পুত্রকে হত্যা করেছেন৷ সন্তানের মা, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, অপরাধ স্বীকার করার পর তাকে আটক করা হয়েছে।
কোনও মা এমন কাজ করতে পারে? কিন্তু আসলে সেটাই ঘটেছে৷ ঘটনার কারণ সঠিকভাবে জানা না গেলও, ওই মহিলা যে পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার ছকও কষেছিল সেটা প্রমাণিত৷ ঘৃণ্য এই অপরাধ করার পর, মহিলা থানায় গিয়ে পুলিশে কাছে তার সন্তান অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন৷ যা ঘটনার তদন্তে সাহায্য করে। অভিযোগ অনুযায়ী, শিশুটি দুর্গা পূজার নবমীর দিন নিখোঁজ হয়। তদন্তের পর, পুলিশ ১৪ অক্টোবর, সোমবার, বুধিধিঙ নদীতে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন : তুড়িতে কমবে বয়স, ফিরবে হারানো যৌবন, ৩৫ কোটি টাকা হাতিয়ে পালাল প্রতারকরা
পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রিয়া নামের ওই মহিলা পুত্রকে ওই দিন সকাল ৯টা নাগাদ একটি অটো রিকশাতে নিয়ে বের হন। পরে সন্ধ্যায় তিনি একাই ফিরে আসেন৷ এবং তাঁর পোশাক মাটিতে মাখামাখি ছিল। অটো রিকশার চালকের সঙ্গে পুলিশ কথা বলার পর বুঝতে পারে আসল ঘটনাটি ঠিক কী৷ এরপরেই তদন্ত গতি পায়, এবং ঘটনার ভয়াবহ সামনে চলে আসে৷
পুলিশ এরপর বুঝতে পারে আসল ঘটনাটি ঠিক কী৷ তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে অশান্ত চলছিল ওই মহিলা৷ ঘটনার দিন সকালে সুপ্রিয়া নামের মহিলাটি সন্তানকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার আছিলায় দুর্গম এক জায়গায় নিয়ে যায়৷ এর সন্তানকে নদীর কাছে নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে খুন করে৷ সন্তান মারা গেল, তাকে কাদা চাপা দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন তিনি৷ এরপর একা বাড়ি ফিরে যান, এবং পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে৷
মৃত শিশুটির বাবা আসামের শিবসাগরে বসবাস করেন৷ সুপ্রিয়া মার্ঘেরিতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন। পুলিশ মামলাটি আরও তদন্ত করছে এবং সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যকে আটক করা হয়েছে। কী কারণ নিজের সন্তানকে খুন করলেন ওই মহিলা, সেই সম্পর্কেও তদন্ত চালানো হচ্ছে৷