ডায়াবেটিস রোগীরাও ‘টেনশন ফ্রি’ হয়ে খান ভাত! রান্না করতে গিয়েই হচ্ছে বড় ভুল! ফোটানোর সময়...কমবে ওজনও

Rice: ডায়াবেটিস রোগীরাও ‘টেনশন ফ্রি’ হয়ে খান ভাত! রান্নাতেই বড় ভুল! ফোটানোর সময়…কমবে ওজনও

ডায়াবেটিসের সমস‍্যা? ভাত খাওয়া যাবে? কতটা খাওয়া যাবে? ডায়াবেটিসের সমস‍্যা ধরা পড়লেই সর্বাগ্রে চিন্তা বাড়ে ভাত নিয়ে। বাঙালির অতি প্রিয় খাবারকে বেশিরভাগ সকলেই ‘চিরশত্রু’ ভাবেন। কিন্তু ডায়াবেটিসের সমস‍্যায় সত‍্যিই বিদায় জানাতে হবে ভাতকে?
ডায়াবেটিসের সমস‍্যা? ভাত খাওয়া যাবে? কতটা খাওয়া যাবে? ডায়াবেটিসের সমস‍্যা ধরা পড়লেই সর্বাগ্রে চিন্তা বাড়ে ভাত নিয়ে। বাঙালির অতি প্রিয় খাবারকে বেশিরভাগ সকলেই ‘চিরশত্রু’ ভাবেন। কিন্তু ডায়াবেটিসের সমস‍্যায় সত‍্যিই বিদায় জানাতে হবে ভাতকে?
ভাত ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ বাঙালির দুপুরের খাবার। যদিও ভাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক। ভাত খেলে বাড়ে ওজন। ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দেয় ভাত।
ভাত ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ বাঙালির দুপুরের খাবার। যদিও ভাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক। ভাত খেলে বাড়ে ওজন। ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দেয় ভাত।
তবে আয়ুর্বেদিক চিকিত্‍সক রূপালী জৈন জানালেন, ভাত রান্না খাওয়ার বেশ কয়েকটি নিয়ম না জেনে আমরা বড় ভুল করি। রান্না করার পদ্ধতি ভুলেই ভাত খেলে বাড়ে সমস‍্যা। তাই সঠিক ভাবে রান্না করা গুরুত্বপূর্ণ।
তবে আয়ুর্বেদিক চিকিত্‍সক রূপালী জৈন জানালেন, ভাত রান্না খাওয়ার বেশ কয়েকটি নিয়ম না জেনে আমরা বড় ভুল করি। রান্না করার পদ্ধতি ভুলেই ভাত খেলে বাড়ে সমস‍্যা। তাই সঠিক ভাবে রান্না করা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানালেন, যে চাল ৬০ দিনে তৈরি হয়, তা শরীরের জন‍্য উপকারী। লাল রঙের চালও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। আজকাল দোকানে অনেক ধরনের চাল পাওয়া যায়, তবে সবসময় মনে রাখবেন, আপনার আশেপাশের জমিতে যে ধান হয় সেটাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল।
তিনি জানালেন, যে চাল ৬০ দিনে তৈরি হয়, তা শরীরের জন‍্য উপকারী। লাল রঙের চালও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। আজকাল দোকানে অনেক ধরনের চাল পাওয়া যায়, তবে সবসময় মনে রাখবেন, আপনার আশেপাশের জমিতে যে ধান হয় সেটাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল।
কথায় বলে ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’। আয়ুর্বেদিক চিকিত্‍সকের মতে, কমপক্ষে ১ বছরের পুরনো চাল খাওয়া উচিত। যে চালই ব্যবহার করুন না কেন, তা যেন কম পালিশ করা হয়।
কথায় বলে ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’। আয়ুর্বেদিক চিকিত্‍সকের মতে, কমপক্ষে ১ বছরের পুরনো চাল খাওয়া উচিত। যে চালই ব্যবহার করুন না কেন, তা যেন কম পালিশ করা হয়।
কীভাবে রান্না করবেন ভাত? প্রথমে অন্তত ২-৩ বার চাল জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এছাড়াও চাল ধোয়ার পর গুঁড়ো বা ধুলাবালি থাকলে তা তুলে ফেলতে হবে।
কীভাবে রান্না করবেন ভাত?
প্রথমে অন্তত ২-৩ বার চাল জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এছাড়াও চাল ধোয়ার পর গুঁড়ো বা ধুলাবালি থাকলে তা তুলে ফেলতে হবে।
একটি বড় পাত্রে এক চামচ ঘি নিন। এতে জিরে, ২ বা ৩ লবঙ্গ এবং গোল মরিচ যোগ করুন। আপনি একটি ছোট টুকরো দারুচিনি যোগ করতে পারেন। এতে শুধু ভাতের স্বাদই বাড়বে না, হজমও সহজ হবে। আপনি চাইলে ঘি বা অন্যান্য জিনিস না দিয়ে ভাত রান্না করতে পারেন।
একটি বড় পাত্রে এক চামচ ঘি নিন। এতে জিরে, ২ বা ৩ লবঙ্গ এবং গোল মরিচ যোগ করুন। আপনি একটি ছোট টুকরো দারুচিনি যোগ করতে পারেন। এতে শুধু ভাতের স্বাদই বাড়বে না, হজমও সহজ হবে। আপনি চাইলে ঘি বা অন্যান্য জিনিস না দিয়ে ভাত রান্না করতে পারেন।
চালে একটু বেশি জল দিন। যাতে ভাতের মাড় বের করে দেওয়া যায়। ভাত ঢেকে না রেখে রান্না করতে হবে। ভাত রান্না হচ্ছে কি না তা সময়ে সময়ে পরীক্ষা করতে থাকুন। যখন চাল ভিতর থেকে সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে যাবে এবং বাইরে থেকে হালকা থাকবে, অর্থাৎ চাল ৯০% সিদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গ্যাস বন্ধ করে এর জল ঝরিয়ে নিন।
চালে একটু বেশি জল দিন। যাতে ভাতের মাড় বের করে দেওয়া যায়। ভাত ঢেকে না রেখে রান্না করতে হবে। ভাত রান্না হচ্ছে কি না তা সময়ে সময়ে পরীক্ষা করতে থাকুন। যখন চাল ভিতর থেকে সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে যাবে এবং বাইরে থেকে হালকা থাকবে, অর্থাৎ চাল ৯০% সিদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গ্যাস বন্ধ করে এর জল ঝরিয়ে নিন।
এবার চাল থেকে জল ঝরে গেলে পাত্রটিকে খুব কম আঁচে ২ মিনিট রাখুন এবং এই সময় চাল ঢেকে রান্না করুন। ২ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। আপনার ভাত খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

এবার চাল থেকে জল ঝরে গেলে পাত্রটিকে খুব কম আঁচে ২ মিনিট রাখুন এবং এই সময় চাল ঢেকে রান্না করুন। ২ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। আপনার ভাত খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
কুকারে ভাত রান্না করলে তা আঠালো হয়ে যায় এবং এই ভাত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষতি করে। ভাত থেকে স্টার্চ বা ভাতের মাড় আলাদা করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি কার্বোহাইড্রেট কমায় এবং ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমায়।
কুকারে ভাত রান্না করলে তা আঠালো হয়ে যায় এবং এই ভাত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষতি করে। ভাত থেকে স্টার্চ বা ভাতের মাড় আলাদা করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি কার্বোহাইড্রেট কমায় এবং ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমায়।(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)