লাইফস্টাইল Coconut Milk Vs Coconut Water: নারকেলের দুধ আর নারকেলের জলের ‘তফাৎ’ কী? কোনটা খাওয়া বেশি ভাল? বিদায় করুন সব ‘কনফিউশন’! Gallery October 22, 2024 Bangla Digital Desk নারকেল জল এবং নারকেলের দুধ দুটিই নারকেল থেকে মেলে, কিন্তু দু’টি একই জিনিস নয়। স্বাদেও আলাদা, কাজেও আলাদা। অনেকেই নারকেলের জল আর দুধের পার্থক্য বুঝতে পারেন না। পুষ্টিগুণ সম্পর্কেও সচেতন নন। এই প্রতিবেদন পুরোটা পড়লে এ বিষয়ে আপনার সমস্ত কৌতূহল মিটবে। (What is the difference between coconut milk and coconut water) নারকেল জল বনাম নারকেল দুধ (Coconut milk Vs Coconut water)- নারকেল বহু শতাব্দী ধরে মানবজাতিকে অনেক প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নারকেলের জল এবং নারকেলের দুধ, যা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জাতি রান্নায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই দুটি স্বতন্ত্র তরল (coconut milk and coconut water) নারকেল ফলের বিভিন্ন অংশ থেকে আহরণ করা হয়। নারকেলের জল হল প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্ক বা মিনারেল ওয়াটার। সবুজ ডাবের মধ্যে পাওয়া পরিষ্কার, সতেজ তরল এটি। পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ এই তরল ফিটনেসের অব্যর্থ দাওয়াই। ক্লান্তির মুহূর্তে এতে এক চুমুক আপনাকে নিমেষে চাঙ্গা করতে পারে। তবে, নারকেলের দুধ নারকেলের ভিতরকার সাদা মাংসল অংশ থেকে তৈরি হয়। জলের সঙ্গে সেই সাদা অংশের মিশ্রন থেকেই ক্রিমের মতো সাদা ধবধবে সুস্বাদু দুধ তৈরি হয়। যদিও এতে ডেয়ারি উপাদান থাকে না। একমাত্র পাকা নারকেল থেকেই নারকেলের দুধ মেলে। ডাব থেকে নয়। নারকেলের জল ঘোলাটে পাতলা পানীয়। খেতে কশটা, মিষ্টি বা পানশে…নানা রকমের হয়। তবে শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারি। নারকেল ফাটিয়ে সরাসরি এই জল খাওয়া যায়। কিন্তু নারকেলের দুধ সরাসরি খাওয়া যায় না, কারণ বানাতে হয় এটি। দেখতে ঘন দুধের মতো। অসম্ভব সুস্বাদু। মিষ্টিই হয় খেতে। নারকেলের দুধ মূলত রান্নার কাজে এবং বিভিন্ন মিষ্টির পদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পুষ্টিগুণের বিচারে নারকেল জল: নারকেলের জলে ক্যালোরি কম এবং এতে পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট থাকে। এটি হাইড্রেশনের একটি ভাল উত্স এবং কিছু ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে। পুষ্টিগুণের বিচারে নারকেল দুধ: নারকেলের দুধে চর্বিযুক্ত উপাদানের কারণে ক্যালোরি বেশি থাকে। এটি স্বাস্থ্যকর চর্বি, বিশেষত মাঝারি-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস (এমসিটি) সমৃদ্ধ এবং ভিটামিন, খনিজ এবং কিছু খাদ্যতালিকাগত ফাইবার সরবরাহ করে। পুষ্টিবিদ, ডাঃ নাতাইল অলসেন (Natalie Olsen, R.D., L.D., ACSM EP-C) জানান, নারকেলের দুধে ক্যালোরির পরিমাণ নারকেলের জলের তুলনায় প্রায় ১২ গুণ বেশি! খেলে পুষ্টিকর ফ্যাটের চাহিদা মেটে। তবে নারকেলের জলের ক্যালোরিমূল্য এতই কম যে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকলেই খেতে পারেন। এতে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। দেহের প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা মেটে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অন্যদিকে, নারকেলের দুধে মাঝারি-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড রয়েছে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল (MCTs)। এমসিটিগুলি খিদে কমায় এবং শক্তি বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে ত্বকের যত্নে অত্যন্ত উপকারী নারকেলের দুধ। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা, চুলকানি বা রোদ থেকে হওয়া অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে নারকেলের দুধ। ময়েশ্চারাইজিং এফেক্ট ত্বককে মোলায়েম রাখে, জানান চিকিৎসক। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন