Bollywood News: আট মাসের গর্ভস্থ সন্তান হারিয়েছিলেন! স্ত্রী সায়রা বানুকে নিয়ে যা বলেছিলেন দিলীপ কুমার…

১৯৬৬ সালে ৪৪ বছর বয়সি দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ২২ বছর বয়সী সায়রা বানুর। ১৯৮১ সালে আবার বিয়ে করেছিলেন নায়ক। আসমা রহমানের সঙ্গে এই বিয়ে ধামাচাপা পড়ে যাওয়া এক গুজবকে আবার প্রকাশ্যে নিয়ে আসে।

আসলে সায়রাকে বিয়ের পরপরই এই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছিল যে দিলীপ এবার সন্তানের মুখ দেখতে চাইবেন। তাঁর ৪৪ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সায়রার কোনও সন্তান হয়নি। এই বিষয়ে আত্মজীবনী দিলীপ কুমার: দ্য সাবস্ট্যান্স অ্যান্ড দ্য শ্যাডো-তে খুব স্পষ্টভাবেই যা বলার বলেছেন নায়ক।

তিনি জানিয়েছেন যে, আসমা রহমানকে বিয়ে করার সময়ে এটা ভুল ভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল যে সায়রা গর্ভধারণ করতে পারে না। কেন না, সায়রার যে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ছিল, সে কথা উল্লেখ করেছেন নায়ক। জানিয়েছেন যে আট মাসের গর্ভেই সে প্রাণ হারায়। ওই সময়ে হাই ব্লাড প্রেশারে ভুগছিলেন সায়রা, প্রসূতিবিশেষজ্ঞ সেই কারণেই অস্ত্রোপচার করে পূর্ণবয়স্ক ভ্রূণটিকে বাঁচাতে পারেননি, তার গলায় উমবিলিক্যাল কর্ড জড়িয়ে গিয়েছিল। এতেই শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরে জানা গিয়েছিল সে পুত্রসন্তান ছিল। “এটাকে আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা হিসেবেই মেনে নিয়েছিলাম”, লিখেছেন দিলীপ কুমার।

এও বলেছেন, নিজের সন্তান না থাকার কারণে কখনও কখনও অভাব বোধ হয় ঠিকই, তবে সেই অভাব অনেক অংশে পূরণ করে দিয়েছেন তাঁর ভাগ্নে-ভাগ্নিরা। বাড়িতে এলে মামুর সুবিশাল বুকে শুয়েই তারা ঘুমাত, যেন ওটা একটা নরম গদি! ওরা কোনও দিন সন্তানের অভাব বুঝতে দেয়নি, লিখেছেন আত্মজীবনীতে নায়ক। বড় হয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু বিষয়টাকে সহজ ভাবেই নিয়েছিলেন দিলীপ কুমার। জানিয়েছেন, কে বলতে পারে নিজের সন্তান থাকলে তারাও কর্মসূত্রে দূরে চলে যেত না! হয়তো তাদের সঙ্গেও বছরে একবার কী দু’বার দেখা হত, সাফ বক্তব্য নায়কের।

সায়রা বানু যে গর্ভধারণ করেছিলেন, সে কথা আত্মজীবনীতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন দিলীপ কুমার। এক সন্তান গর্ভে হারানোর পরে আর কোনও সন্তান এল না কেন, সে নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাহলে আসমা রহমানকে বিয়ে কি সন্তানের জন্মের জন্যই- প্রশ্নটা ঘুরে-ফিরে উঠতে থাকে।

এই বিষয়েও একেবারে নীরব কিন্তু থাকেননি নায়ক। অতীব ভুল- শুধুমাত্র এই শব্দবন্ধেই দ্বিতীয় বিয়েটাকে চিহ্নিত করেছেন তিনি!