বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। আর তারই জেরে রাজ্যে রাজ্যে সতর্কতা জারি। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আঘাত হানার পর এই ঝড়টি ভয়াবহ রূপ নেবে। উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। যার গতিবেগ স্থলভাগে ১৪০ কিমি/ঘণ্টা হতে পারে বলেও আশঙ্কা। ঘরবাড়ি ও চাষের জমিতে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।আইএমডি-র পূর্বাভাস বলছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং কোঙ্কন ও গোয়ার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির স্পেল-সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, দক্ষিণ ছত্তিশগড়, মারাঠওয়াড়া, গুজরাত, তামিলনাড়ু এবং কেরলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।আবহাওয়ার সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে। পূর্ব পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে রয়েছে এই নিম্নচাপ। সাগর দ্বীপ থেকে মাত্র ৭৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে নিম্নচাপটি।আশঙ্কা করা হচ্ছে, বুধবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘ডানা’। যা পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। তারপর এটি উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে। এবং ২৪ তারিখ তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে একটি বা দুটি অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।বাকি জেলাগুলিতে অর্থাৎ, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে বৃষ্টি হবে না।২৩ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্য থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পূর্বাভাস বলছে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে বৃহস্পতিবার।২৪ তারিখ শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং কলকাতায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা।২৫ তারিখ শনিবার অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলিতে। সঙ্গে থাকবে তুমুল দমকা হাওয়া।২৪ তারিখ শুক্রবার সন্ধ্যার পর পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকাতে হাওয়ার গতিবেগ ১১০ কিলোমিটারের মতো থাকবে।এছাড়াও কলকাতা ঝাড়গ্ৰাম হুগলিতেও ২৪ ও ২৫ তারিখ বইবে ঝোড়ো হাওয়া। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সুন্দরবন ও সাগর দ্বীপ এলাকা।ওই এলাকাগুলিতে ঝুপড়ি, কাঁচা ঘর, ইলেকট্রিক খুঁটি ও গাছ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে । বৃষ্টির সময় হারাবে দৃশ্যমানতা।২৪ ও ২৫ তারিখ আবহাওয়ার দুর্যোগ সব থেকে বেশি থাকার আশঙ্কা। মৎস্যজীবীদের ২২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ২৬ তারিখ রবিবার থেকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে শান্ত হতে পারে।
