কালীপূজা ও দীপাবলির সময় যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ ডিভিশন আগামী ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর ২০২৪ (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) অতিরিক্ত ৮টি ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

Cyclone Alert Indian Railways: আসছে দানা, ট্রেনের চাকায় বেড়ি! ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ রেলের

কলকাতা: ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি উপকূল এলাকার রেললাইনেও থাকছে একাধিক সতর্কতা। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনও একাধিক সতর্কতা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নামখানা, ডায়মন্ড হারবার, হাসনাবাদেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই পূর্ব, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত, দক্ষিণ-পূর্ব রেল ও ইস্ট কোস্ট রেলের তরফে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাংলা উপকূল ও উড়িষ্যা উপকূলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন যে সব রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল করে তার সব প্রায় বাতিল করা হয়েছে৷ রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তারা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন মৌসম ভবন ও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে৷ সেখান থেকে ঝড়ের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে যেমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তার ওপরে নির্ভর করে এই সব ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে৷

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় দানার জের! শিয়ালদহ বিভাগে বাতিল হতে চলেছে বহু লোকাল ট্রেন, বিরাট আপডেট

দক্ষিণ পূর্ব রেল ও ইস্ট কোস্ট রেলের তরফে সব থেকে বেশি করে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ তাই বালাসোরে রেলের তরফে একটা মেগা কন্ট্রোল রুম খুলে ফেলা হচ্ছে। ডিআরএম-সহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানরা এখানে থাকবেন। এছাড়া হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা, সাঁতরাগাছি, খড়গপুরের মতো স্টেশনগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: অভিজিতের সঙ্গে কল্যাণের তুলকালাম! জেপিসি-র বৈঠকে ভাঙল কাচের বোতল, রক্তাক্ত তৃণমূল সাংসদ

আগামীকাল দুপুর থেকেই ঝড়ের দাপটে ট্রেন যাতে ‘রোল ডাউন’ না করতে পারে সেজন‌্য কারসেডে ট্রেনগুলির চাকায় পরানো হবে বেড়ি। চাকার তলায় দেওয়া হবে ‘গুটকা’। বিপজ্জনক নদী ব্রিজগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। পাশাপাশি বৃহস্পতি ও শুক্রবার এমার্জেন্সি কন্ট্রোল খোলা হবে। প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন চলাচলের পরিস্থিতি ঘোষণা করা হবে। জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে পাম্প বসানোর কাজ চলছে। উপকূলবর্তী বিভিন্ন স্টেশনে ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন‌্যাল বিভাগের কর্মীদের মোতায়েন রাখা হবে। বিপদসংকুল স্টেশনগুলিতে ডিজেল পরিচালিত ইঞ্জিন রাখা থাকবে, যাতে থাকবেন চালকও। প্রয়োজনে সেই ইঞ্জিন দিয়ে টেনে আনা হবে যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়া ট্রেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে রাখা হয়েছে জেনারেটর সেট। যাতে টেলিফোনেও যোগাযোগে ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।