দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সীমান্তে সংঘাত এড়ানোতে ঐক্যমতে পৌঁছতে পেরেছে ভারত এবং চিন৷ এই আবহে বুধবার রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং৷
সীমান্তে সংঘাত এড়াতে দু দেশের ঐক্যমতে পৌঁছনোকে স্বাগত জানিয়েছেন দু জনেই৷ চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু দেশের সম্পর্কে উন্নতি করতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং সংবেদনশীলতা বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছেন৷ দু দেশের মধ্যে সংঘাত এড়াতে দু পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছেন শি জিনপিংও৷
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, শুধু দুই দেশের মানুষের জন্য নয়, বিশ্ব শান্তি এবং স্থিরতা বজায় রাখতেও ভারত এবং চিনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলেই আমরা বিশ্বাস করি৷ পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং সংবেদনশীলতা সেই সম্পর্কে দিশা দেখাবে৷
২০১৯ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং৷ তখনই তামিলনাড়ুতে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে শেষ বার মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছিল৷
২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষের পর দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল৷ ধাক্কা খেয়েছিল বাণিজ্যিক লেনদেনও৷ দীর্ঘ টানাপোড়েন এবং দর কষাকষির পর শেষ পর্যন্ত গত সোমবার লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাত এড়াতে সমঝোতায় পৌঁছয় ভারত এবং চিন৷ সংঘাত এড়িয়ে সৌহার্দ্যের আবহেই কাজানে মুখোমুখি হলেন মোদি এবং জিনপিং৷ শেষ পর্যন্ত ভারত চিনের দীর্ঘস্থায়ী উন্নতি হয় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহলও৷