কলকাতা: অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতা ও হৃদরোগের ৫০ কোটি নতুন কেস যুক্ত হবে।
এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এতে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি হবে। একই সঙ্গে ডব্লিউএইচও-র এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রনিক লাইফস্টাইল ডিজিজ-এ মানুষের মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ বেড়ে যাবে।
জানানো হয়েছে, চাকুরীজীবীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ছে। পরবর্তীতে তা মারাত্মক রোগে পরিণত হতে পারে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, মেটাবলিক সিনড্রোম এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- খাবার খেয়েই মনে হয় গপাগপ ২টো মিষ্টি খাই? আপনি মারণরোগে আক্রান্ত হতে পারেন! জানুন
একাধিক মেডিকেল রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, পুরুষদের ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি। একই সঙ্গে মহিলাদের স্থূলতার সমস্যা বৃদ্ধির কারণে অনেক মারাত্মক রোগের আশঙ্কা দেখা দেবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মানুষকে জীবনধারার পরিবর্তন করতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য অভ্যাসও বদলাতে হবে। দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে রোজ ব্যায়ামের অভ্যেস করতে পারলে ভাল।
চিকিৎসকরা বলেন, লাইফস্টাইল ডিজিজ এড়াতে আপনার কোনো ওষুধের প্রয়োজন নেই। আপনাকে শুধু আপনার রুটিন ঠিক করতে হবে। সময়মতো ঘুমোতে হবে। রোজ ৭-৮ ঘন্টার ভাল ঘুম অনেকের রোগের ছুটি করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন- দুধ, ছানা ঘি, এলাচ…চোখের নিমেষে বাড়িতেই কালাকাঁদ বানান ভাইফোঁটার ভূরিভোজে
সময়মতো খাবার গ্রহণ এবং খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করতে হবে। রোজ ৪৫ মিনিটের জন্য যে কোনও ব্যায়াম করুন। ঘরে তৈরি টাটকা খাবার খান।