Tag Archives: WHO
Health Tips: প্রায় রোজই সবাই খান, কিন্তু আর নয়…! এই ৭ খাবার নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল WHO, নচেৎ শরীরে মারণ রোগের হানা
Unhealthy Food: সাবধান! এই খাবারগুলো খাচ্ছেন না তো? তাহলে কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি, জেনে নিন নামগুলো
Swimming Training: সুন্দরবনে পুকুরই সুইমিং পুল! জলে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভারতবর্ষে প্রথম পুকুরভিত্তিক সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শিবির চালু হল। সুন্দরবনের গ্রামাঞ্চলে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম। সেই পরিস্থিতি বদলাতেই এবার এগিয়ে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদেরই উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত কুলতলি বিধানসভার মৈপীঠ কোস্টাল থানার বৈকন্ঠপুরে পুকুর ভিত্তিক সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করা হল।
শহরে সাঁতার শেখার জন্য সুইমিং পুলের ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামে সেই সুযোগ তেমন একটা নেই। আর তাই এবার পুকুরকেই সুইমিংপুল হিসেবে সুন্দরবন এলাকায় ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে অল্পবয়সেই শিশুদের সাঁতারে দক্ষ করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ সুন্দরবনে শিশুদের জলে ডুবে মৃত্যুর হার ভয়াবহভাবে বেশি। কুলতলির মৈপীঠ কোস্টাল থানার বৈকুন্ঠপুর শিশু সেবা কেন্দ্রে ও ভুবনেশ্বরীতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্যবস্থাপনায় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে দুটি পুকুর ভিওিক সুইমিং পুল চালু করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য বি মহম্মদ আসিল। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষে চিকিৎসক মানস প্রতীম রায়, সিনির মৈপীঠ শাখার প্রতিষ্ঠাতা সমীর নারায়ণ চৌধুরী, দ্য জর্জ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল হেলথের সদস্য জগনুর, বারুইপুর মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারীক ইন্দ্রনীল মিত্র, কুলতলি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অবন্তিকা মণ্ডল সহ আরও অনেকে হাজির ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাভী বাছুরের জন্ম দিলেই শুরু হত হাচো গীত জারির গান! বিলুপ্তির মুখে আরেক লোকগান
আগামী দিনে সুন্দরবনের প্রতিটা ব্লকেই এমনই উদ্যোগ চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। সুন্দরবনের পুকুরে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি পুকুরে সুইমিং পুলের মধ্যে দিয়ে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি মৈপীঠের এই কেন্দ্র থেকে কবচ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে শিশুদের পড়াশোনাও শেখানো হচ্ছে। এই সাঁতার প্রশিক্ষণে ২১ দিনের ক্লাসের মধ্যে দিয়ে এক একটি গ্রুপে ৬-৮ জন শিশুকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সুমন সাহা
TB Free District: টিবি মুক্ত বাঁকুড়া, আদৌ কি সম্ভব? কী বলছেন সরকারি কর্তারা
বাঁকুড়া: টিবি একটু একটু করে শরীরের ক্ষয় করে। এই রোগের মোকাবিলায় প্রয়োজন হয় প্রোটিন জাতীয় খাবারের। কিন্তু উপযুক্ত পুষ্টিকর খাবারের অভাবে আজও গ্রাম বাংলার বেশ কিছু মানুষকে যক্ষা বা টিবিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে টিবি-মুক্ত বাংলা গড়তে রোগীদের জন্য এক অভিনব উদ্যোগ বাঁকুড়ার গ্রামে। ‘টিবি হারবে বাংলা জিতবে, আমরা গড়ব টিবিমুক্ত বাঁকুড়া জেলা’। এমনই শিরোনামে একটি উদ্যোগ নিয়েছে বাঁকুড়া জেলার রতনপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম।
২০৩০ সালের মধ্যে টিবি মুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তার জন্য টিবি রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূলীকরণ কর্মসূচিকে সামনে রেখে সোমবার সকালে টিবি রোগ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এদিন ওন্দা ব্লকের রতনপুর, চূড়ামণিপুর, মাজডিয়া এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে মোট ১৭ জন টিবি রোগী এসেছিলেন। রোগীদের প্রথমে পুষ্টিকর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ছোলা, সয়াবিন, তেল, চাল ইত্যাদি দেওয়া হয়। পাশাপাশি কী কী সচেতনতা অবলম্বন করলে মানুষের ভালো হয় সেইসব নিয়ে আলোচনা করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা হয় সকল রোগীদের।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ধস সিকিমের সিংতামের কাছে জাতীয় সড়কে, উত্তরবঙ্গ নিয়েও চিন্তা
২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বকে টিবি-মুক্ত করার ডাক দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৫-এর মধ্যেই দেশকে টিবি-মুক্ত করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগ। প্রথমে ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে, পরে জেলা স্তরে মূল্যায়ন করা হবে। দু’ধাপে সবুজ সঙ্কেত মিললে স্বাস্থ্য দফতর এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর যৌথভাবে সেই পঞ্চায়েতকে ‘টিবি-মুক্ত’ তকমা ও শংসাপত্র দেবে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
Covaxin got WHO approval: দীপাবলির সবচেয়ে বড় উপহার, কোভ্যাকসিনকে মান্যতা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
#নয়াদিল্লি: দীপাবলিতে বড় উপহার পেল ভারত। কোভ্যাকসিনকে অবশেষে জরুরিকালীন ভাবে ব্যবহারের জন্য মান্যতা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (Covaxin got WHO approval) কারিগরি উপদেষ্টা বিভাগ। এই স্বীকৃতির কথা হু-এর তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্যানেলের তরফে শেষ সপ্তাহে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল ভারত বায়োটেকের কাছে। সন্তুষ্টিজনক তথ্য পেয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে হু। হু-র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক ডিরেক্টর পুনম সিং ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে এই ইমারজেন্সি ইউজ লিস্টিং বা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ট্যুইট-
? WHO has granted emergency use listing (EUL) to #COVAXIN® (developed by Bharat Biotech), adding to a growing portfolio of vaccines validated by WHO for the prevention of #COVID19. pic.twitter.com/dp2A1knGtT
— World Health Organization (WHO) (@WHO) November 3, 2021
গত ২৬ অক্টোবর কারিগরি উপদেষ্টা বিভাগের তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকের পরেই ভারত বায়োটেকের থেকে কোভ্যাকসিন বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়। কোভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছিল তার কার্যকারিতা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। সংস্থার তরফে জানানো হয়, উপসর্গযুক্তদের ক্ষেত্রে এর কার্যকরিতা ৭৭.৮ শতাংশ। দিলটা ভেরিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে এর কার্যকরিতা ৬৫.২ শতাংশ। জুন মাসেই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, তৃতীয় দফার ট্রায়ালের শেষে চূড়ান্ত সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে এসে গিয়েছে।
শেষ সপ্তাহে জেনেভায় জি-২০ সামিট এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং হু-র প্রধান ট্রেডর্স আধানম গেব্রিয়াসিসকে অনুরোধ করেন কোভ্যাকসিনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। তিনি জানান, ভারত এই মুহূর্তে প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম। গোটা বিশ্বকে ভারতের এই পরিকাঠামো কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে। এই কারণেই তিনি তড়িঘড়ি ভ্যাকসিনের সবুজ সঙ্কেত চাইছেন।
ভারতের সর্বাধিক জনপ্রিয় দুটি ভ্যাকসিন হলো ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উৎপাদিত কোভিশিল্ড। হু ইতিমধ্যেই ফাইজার, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন মডারেনা এবং সিনোফার্মের ভ্যাকসিনকে জরুরীকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে।
বড় খবর! বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে ফাইজার টিকাকেই ছাড়পত্র দিল হু
সুসংবাদেই শুরু হল নতুন বছরটা। ফাইজারের টিকাকে বিশ্বে প্রথম জরুরিকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অর্থাৎ তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্গত দরিদ্র দেশগুলিও খুব শিগগির করোনা টিকা পেতে চলেছে। যে কোনও দেশের ক্ষেত্রেই কোনও ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেয়, সেই দেশের নিয়ামক সংস্থা। কিন্তু দরিদ্র তথা পরিকাঠামোবিহীনগুলি দেশগুলি অনেকাংশেই নির্ভর করে হু-এর অনুমোদনের উপর।
বিশ্বসাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই জানিয়ে দেওয়া হয় ফাইজার-এনবায়োটেকের টিকাটি নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার ক্ষেত্রে হু এর মানদণ্ডে সাফল্যের সঙ্গেই উৎরেছে। এবার দেশগুলি টিকাকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারে। বলাই বাহুল্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বহু দেশ এই টিকা ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
The Pfizer/BioNTech #COVID19 vaccine today became the first vaccine to receive WHO validation for emergency use since the outbreak began.
Equitable global access to vaccines is crucial to combat the pandemic.
? https://t.co/7WNcHhc3z8 pic.twitter.com/Kyjv5RNzjB
— World Health Organization (WHO) (@WHO) December 31, 2020
ফাইজার ভ্যাকসিনকে সংরক্ষণ করা ঝক্কির বিষয়। কোল্ড স্টোরেজে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগান চাই সংরক্ষণের জন্য। কিন্তু বহু পিছিয়ে পড়া দেশেই বিদ্যুতের জোগান অপ্রতুল। এই অবস্থায় এই দেশগুলির হাত ধরতে চাইছে হু। খতিয়ে দেখছে ভ্যাকসিন আমদানি ও বন্টনের ব্যবস্থা, ভাবা হচ্ছে প্রয়োজনমাফিক সাহায্য প্রদানের কথা।
শেষ ৩ লক্ষ সংক্রমণ মাত্র ৪ দিনে, মারণ গতিতে ছড়াচ্ছ করোনা: হু
বিশ্বজুড়ে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩০০০০০ মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য্ সংস্থা ‘হু’ এর উদ্বেগ, কোভিড-১৯ ভাইরাসটি গতি বাড়াচ্ছে।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১লক্ষে পৌঁছতে সময় নিয়েছিল ৬৭ দিন।পরের ১ লক্ষ সংক্রমিত হন ১১ দিনে। শেষ এক লক্ষ জন আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র চার দিনে।
গত কয়েক দিনে ইওরোপ উজার করে ফেলেছে করোনা। শুধু ইতালিতেই মারা গিয়েছেন ৫৪৭৬জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভরকেন্দ্র বদলে করোনা এবার প্রকোপ ছড়াচ্ছে স্পেনে।
Hands
Elbow
? Face
Distance
FeelLet some of football’s biggest names tell you what you need to be doing to help tackle #COVID19.
ℹ️Learn more ?https://t.co/iDwqhk1Nor@WHO | @GaryLineker | @Alissonbecker
@CarliLloyd | @teammessi | @setoo9 pic.twitter.com/cbW2o2hWuC— FIFA.com (@FIFAcom) March 23, 2020
তবে এর মধ্যেও আশা ছাড়ছে না হু। হু -এর ডিরেক্টর টেডর্স অ্যাডনম গেব্রেসুসের দাবি, এই ছবিটা বদলাবে। তাঁর কথায়, “করোনো মোকাবিলায় প্রতিটি দেশকে দু’টি বিষয়ে জোর দিতে হবে। এক, আক্রান্তের সংসর্গ এড়ানো।
দুই, দ্রুত আরও বেশি নমুনা সংগ্রহ করা।”
ফিফার কিক আউট করোনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন টেডার্স অ্যাডনম গেব্রেসুস। সেখান থেকেই তিনি আরও বলেন, শুধু প্রতিরোধ গড়ে তুললে হবে না। ফুটবল মাঠের মতোই ম্যাচচটা জিততে আগ্রাসীও হতে হবে। করোনা দমনে বিশ্বজুড়ে যে স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ করছেন তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে প্রতিটি দেশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ট্রেডর্স। আর পৃথিবীবাসীর কাছে তাঁর একটাই অনুরোধ, করোনার গতি হ্রাস করতে ঘরে থাকুন।