কলকাতা: সাধের স্মার্টফোন চুরি হয়ে গেলে কী হবে? ভাবলেই বুক শিউরে ওঠে। শুধু দামের জন্য নয়, কত ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে। ছবি, ভিডিও থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের বিশদ বিবরণ পর্যন্ত। সব বেহাত হয়ে যাবে। তবে চিন্তা নেই। চোরের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য গুগল রয়েছে তো।
না, গুগল চোরের পিছন পিছন ছুটবে না। বরং ফোন চোরের হাতে পড়লেও ইউজারের সমস্ত তথ্য যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার ব্যবস্থা করেছে টেক জায়ান্ট সংস্থা। গুগল নিয়ে এসেছে নতুন ‘থেফট ডিটেকশন লক’। অর্থাৎ অন্যের হাতে যাওয়া মাত্র সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য লক হয়ে যাবে। চোর কিছুই পাবে না।
আরও পড়ুন- আচ্ছা কখনও ভেবে দেখেছেন ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘোরে কেন? ‘বাঘা বাঘা’ লোকও জানে না
নতুন এই ফিচারটি বর্তমানে মার্কিন মুলুকের অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য রোল আউট হচ্ছে। সম্প্রতি বাজারে আসা Xiaomi 14T Pro-তেও রয়েছে এই ফিচার। মিশাল রহমান সবার প্রথম এটা লক্ষ্য করেছিলেন। রিপোর্টও করেছিলেন তিনি। যাইহোক, চোরের হাত থেকে ফোনের সুরক্ষায় এই ফিচারের তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট রয়েছে। চুরি শনাক্তকরণ লক, অফলাইন ডিভাইস লক এবং রিমোট লক।
‘থেফট ডিটেনশন লক’ ফিচারে মেশিন লার্নিং মডেল ব্যবহার করা হয়েছে। ফোন ইউজারের হাত থেকে কেউ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে এই ফিচার বুঝতে পারে।
চোর ফোন নিয়ে দৌড় লাগালে বা গাড়িতে পালানোর চেষ্টা করলেই সক্রিয় হয়ে যায় ফিচার। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘থিফট ডিটেনশন লক’ ফিচার অন হয়ে যায়। অর্থাৎ সঙ্গে সঙ্গে ফোন লক হয়ে যাবে। ডিভাইসের কোনও তথ্যে হাত দিতে পারবে না চোর।
আরও পড়ুন- আচ্ছা কখনও ভেবে দেখেছেন ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘোরে কেন? ‘বাঘা বাঘা’ লোকও জানে না
এখন চোর যদি দীর্ঘসময় ফোনের ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখে তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফলাইন ডিভাইস লক ফিচার চালু হয়ে যাবে। অর্থাৎ অফলাইনেও আর ফোন খুলতে পারবে না চোর।
রিমোট লক ফিচারটিও অত্যন্ত কার্যকরী। এতে চুরি যাওয়া ফোন দূর থেকে লক করতে পারেন ইউজার। ফাইন্ড মাই ডিভাইস ম্যানেজারের সাহায্যে এই কাজ করতে হবে। সোজা কথায় স্মার্টফোনের ডেটা থাকবে ইউজারের কাছেই। চোর ফোন নিয়ে গেলেও ডেটা হাতাতে পারবে না।
জানা গিয়েছে, অগাস্ট থেকে এই বিটা ফিচারগুলি টেস্ট করে দেখছে গুগল। খুব শীঘ্রই অ্যান্ড্রয়েড ইউজাররা এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য সেটিংসে গিয়ে প্রথমে গুগল এবং তারপর গুগল সার্ভিস মেনুতে ক্লিক করতে হবে। তবে অ্যান্টি থেফট ফিচারের জন্য গুগল প্লে সার্ভিসের লেটেস্ট ভার্সন ব্যবহার করা আবশ্যক।