বিদেশ Typhoon Yagi: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াগি’র ভয়ঙ্কর সেই রাত…! কীসের আতঙ্কে ১২৫টি ‘খুন’ এই ব্যক্তির! শিউরে উঠবেন Gallery October 25, 2024 Bangla Digital Desk বুক মুচড়ে যাচ্ছিল কাজটা করতে। কিন্তু আর কী বা করার ছিল! শেষমেশ কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন নাথাপাক খুমকাদ। নিজেই বড় করেছিলেন ১২৫টি কুমিরকে, সেই তাদের এক দিনের মধ্যে মেরে ফেললেন! কিন্তু কেন? চোখের জলে ভেসে সে কথা জানালেন চাষি। (Typhoon Yagi) সাংঘাতিক ঝড়! সঙ্গে আকাশ কাঁপিয়ে বাজ পড়ছে। তুমুল বৃষ্টি। সে বৃষ্টি থামার নাম নেই। ঘূর্ণিঝড়ে প্রকৃতির এমন বিধ্বংসী রূপ দেখে নাথাপাক ও তাঁর স্ত্রী, পরিবার ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এর আগেও অনেক বৃষ্টি জীবনে দেখেছেন থাইল্যান্ডে, তবে এমন যন্ত্রণার দিন এই প্রথম। নাথাপাকের কুমিরের খামার। সেখানে বহু বছর ধরে তিনি কুমিরদের লালনপালন করে চলেছেন। যে অতিকায় পুকুরে তাঁর কুমিররা থাকে সেই পুকুরের চারধার উঁচু দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াগি’র তাণ্ডবে সেই দেওয়াল প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থায় পৌঁছে যায়। থাইল্যান্ডের ওই কৃষকের মতে, তিনি অনেক ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে তাঁর কুমির খামারকে রক্ষা করেছেন, কিন্তু ‘ইয়াগি’র মত এমন ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব আগে দেখেননি। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই তাই তিনি স্থির করেন মানুষকে বাঁচাতে গেলে তাঁর প্রিয় কুমিরদের শেষ করে দিতে হবে। কারণ একবার যদি ওই পুকুরের পাঁচিল ধসে যায় তাহলে সব কুমির বেরিয়ে পড়ে ছড়িয়ে যাবে আশপাশে। চারধারে জল জমে রয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে। জলতল বাড়ছে। এই বন্যা পরিস্থিতিতে তারা দ্রুত লোকালয়ে হানা দিতে পারে। বহু মানুষের ক্ষতি হবে সেই কুমির হানায়। একবার সব কুমির বেরিয়ে পড়লে এই প্রবল দুর্যোগের মধ্যে তারা কোথায় কোথায় পৌঁছল তা বোঝাও অসম্ভব হবে। মানুষের জীবন বাঁচাতে কুমিরদের প্রাণে মারার সিদ্ধান্ত নেন নাথাপক। নাথাপাক আর অপেক্ষা করেননি। ওই ঝড়জলের মধ্যেই তিনি ১৭ বছর ধরে পালন করা ১২৫টি প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের জীবন কেড়ে নেন। তিনি জানিয়েছেন, এটাই ছিল তাঁর জীবনে নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। কী ভাবে মারলেন তিনি কুমিরদের? বিদ্যুত চালিয়ে দেন তিনি পুকুরের জলে। কুমিরগুলি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর আর কুমিরের ডিম বা শাবক না পালন করার সিদ্ধান্ত নেন নাথাপাক। এ কথা তিনি ঘোষণাও করে দেন।