উত্তর দিনাজপুর: কলাগাছের বাকল দিয়ে তৈরি হচ্ছে শতরঞ্জি। আর এই শতরঞ্জি তৈরি করছেন দিল্লি সরকার নামের এই মহিলা। কলাগাছের ছাল কেটে সেটা জলে ভাল করে পরিষ্কার করে তারপর সেটা দিয়ে সুতো বানিয়ে সেই সুতো থেকে তিনি কলাগাছের শতরঞ্জি তৈরি করেন।
একটি কলাগাছ থেকে ২০০ গ্রাম সুতো তৈরি হয়। সেই সুতো দিয়ে নিজের হাতে শতরঞ্জি তৈরি করছেন। পাট দিয়ে অনেকেই শতরঞ্চি তৈরি করে থাকেন। কিন্তু কলিয়াগঞ্জের সুরাশা গ্রামে গেলে দেখা যাবে দিল্লি সরকার নামে এক মহিলা ধোকরা তৈরি করছেন কলাগাছের ছাল দিয়ে বিভিন্ন রংবেরঙের শতরঞ্জি বানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- শিশুর বেডরুমে ভুলেও রাখবেন না যে সব জিনিস…! সতর্ক থাকুন, নয়তো বড় বিপদ!
দিল্লি সরকার জানান, তিনি জুট থেকে প্রথমে বিভিন্ন ধরনের শতরঞ্জি বানাতেন তারপর হস্তশিল্প মেলায় এক সরকারি অধিকারিক মধুমালা করের পরামর্শ মত পাটের মতই তিনি কলাগাছের শতরঞ্জি তৈরি করার চেষ্টা করেন। কলাগাছের ছাল কেটে সেটা জলে ভাল করে পরিষ্কার করে তারপর সেটা দিয়ে সুতো বানিয়ে সেই সুতো থেকে তিনি প্রথম কলাগাছের শতরঞ্জি তৈরি করেন।
তাঁর তৈরি কলাগাছের প্রথম শতরঞ্জি তিনি বাংলাদেশের এক হস্তশিল্প মেলায় বিক্রি করেন এবং সেখানে কলাগাছের শতরঞ্জি বানানোর জন্য তিনি প্রথম পুরস্কার পান। দিল্লি দেবী জানান, একটি শতরঞ্জি বানাতে তিনটি কলাগাছের প্রয়োজন হয়। কলাগাছের একটি শতরঞ্জি বানাতে একমাস সময় লাগে। এই কলাগাছ থেকে শুধু শতরঞ্জি নয়ব্যাগ, মানিব্যাগ, মোবাইল কভারআসন এছাড়াও বিভিন্ন জিনিস তিনি বানান কলাগাছ দিয়ে। কলকাতার মেলা, সল্টলেক মেলা এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প মেলাতে তিনি তাঁর তৈরি জিনিসগুলো বিক্রি করেন।
পিয়া গুপ্তা