পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে পীতাম্বর উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে নবম স্থান পেলেন। আশৈশব চরম আর্থিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। টিনের ঘরে কোনওরকমে দিন গুজরান করেই উচ্চ মাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য উত্তর দিনাজপুরের নবম স্থান অধিকারী হয়েছেন পীতাম্বর।
বৃষ্টির সময় টিনের চালা দিয়ে জল পড়ে ঘরে ৷ বাবা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন নেপালে। সংসার চালাতে মাও দিনমজুরের কাজ করেন।সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা। তবুও সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উচ্চমাধ্যমিকে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছেন কালিয়াগঞ্জের পীতাম্বর বর্মন। আগামী দিনে আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন পীতাম্বরের।
উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে তরঙ্গপুরের বাসিন্দা পীতাম্বর বর্মনের বাবা উত্তম বর্মন পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা তরুলতা বর্মনও দিনমজুরের কাজ করেন। টিনের ভাঙা ঘরে পড়াশুনা করেই উচ্চমাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে পীতাম্বর। তরঙ্গপুর এন কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে ৪৮৮ নম্বর পেয়েছে তিনি।
এদিকে ছেলের সাফল্যে কেঁদেই ফেলেন মা তরুলতা বর্মন। ছেলের পড়াশুনোর খরচের জোগাড় করতে দিনরাত অবিরাম পরিশ্রম করেন তাঁরা। তাঁদের পরিশ্রম বৃথা যায়নি। ছেলের এই সাফল্যে খুশি পরিবারের সদস্যরা।
উত্তর দিনাজপুর:তালা বন্ধ গেট, চারিদিকে আগাছা ও জঙ্গলে ভর্তি। আচমকা দেখে কোনও পরিত্যক্ত বাড়ি বলে মনে হলেও আদতে এটা বন্ধ হয়ে যাওয়া সরকারি দুগ্ধ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠান। রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি (১) গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কর্ণজোড়ায় অবস্থিত কুলিক দুগ্ধ প্রকল্প। প্রায় বছর তিনেক আগে এই প্রকল্পে ভাটা পড়ে থাকলেও বর্তমানে একেবারেই বন্ধ।
অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন দুগ্ধ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। দুগদ্ধ প্রকল্প বন্ধ থাকায় কর্মসংস্থান হারিয়ে কেউ চালাচ্ছেন টোটো। কাউকে আবার বাইরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, একসময় এই দুগ্ধ প্রকল্পে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন কর্মী কাজ করতেন। এছাড়াও দুই দিনাজপুর জেলা থেকে প্রচুর পরিমাণে দুধ আমদানীও হত। যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রায় ৪০ জন গোয়ালা এবং বেশ কিছু সরবরাহকারী। এখানেই বাইরে থেকে আসা দুধকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিশুদ্ধকরণের পর প্যকেটজাত করা হত। দুধের পাশাপাশি ঘি, পনীর-সহ অন্যান্য দুগ্ধজাত সামগ্রীকে বাজারজাত করা হত সরকারিভাবে।
কিন্তু আচমকা দুই বছর আগে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত দিন আনা দিন খাওয়া কর্মীরা৷ হারিয়েছেন কর্মসংস্থান, ফলে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছেন তাঁরা। প্রকল্পের প্রাক্তন অস্থায়ী কর্মী সুশীল সরকার বলেন, প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুরাবস্থায় দিন কাটছে। এখনও বকেয়া পারিশ্রমিক পাননি। গোয়ালা থেকে শুরু করে স্থায়ী, অস্থায়ী শ্রমিক মিলিয়ে একাধিক পরিবার এখন কর্মহীন। ভোট মিটতেই প্রকল্পটিকে সচল করার দাবি জানাচ্ছেন এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কর্মীরা।
উত্তর দিনাজপুর:পুকুর পাড়ে খেলতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু আট বছরের কন্যা সন্তানের। ঘটনাটি করণদিঘি থানার লাহুতাড়া ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সরগাও গ্ৰামে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরগাও গ্ৰামে মাঠের মধ্যে একটি পুকুর গত ১ সপ্তাহ হয়েছে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কেটে পুকুরের পাড় বাঁধার কাজ করা হয়েছিল, সেখানেই সরগাও আদিবাসী পাড়ার ৩ নাবালিকা খেলতে যায়।
পুকুর পাড়ের মাটি হাত দিয়ে খুড়ছিল সেই সময় পাড়ের মাটি ধসে চাপা পড়ে যায় রাধা বাস্কে নামে ওই নাবালিকা মেয়ে। পুকুর পাড়ে থাকা বাকি দুই বান্ধবীর মাটি চাপা পড়ে যাওয়ার খবর গ্রামবাসীদের কানে পৌঁছাতেই দৌড়ে গ্ৰামবাসীরা পুকুরে পৌঁছায়,মাটি সরিয়ে রাধার দেহ উদ্ধার করে গ্ৰামবাসীরা।
রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত বলে চিহ্নিত করেন ডাক্তাররা। করণদিঘি থানার পুলিশ মৃতদেহটি এরপর ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। ঘটনার জেরে গোটা পরিবার শোকস্তব্ধ। আরও খবর পড়তে ফলো করুন https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
উত্তর দিনাজপুর: ইসলামপুরে এক বেসরকারি নার্সিং হোমে এক সাথে পাঁচ শিশু কন্যার জন্ম দিলেন তাহের বেগম নামে এক প্রসূতি। জানা গিয়েছে বিহারের ঠাকুরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জাভেদ আলম। তাঁর স্ত্রী তাহেরা বেগম। জাভেদ ভিন রাজ্যে কাজে বাইরে রয়েছে।
প্রথম দুই মাসের পর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি মাধ্যমে ডাক্তার ফারজানা নুরি ওই প্রসূতিকে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন যে তার গর্ভে পাঁচ শিশু সন্তান রয়েছে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ মতো প্রসূতি মাকে সাহস দিতে শুরু করে ডাক্তার ফারজান নুরি।
রবিবার ভোরে ইসলামপুরের আমবাগান এলাকায় রেজা কেয়ার নামে এক বেসরকারি নার্সিং হোমে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন তাহেরা বেগম নামে ওই প্রসূতি। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক ভাবে পাঁচ শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর পাঁচ শিশু ও শিশুর মা সুস্থ রয়েছে এমনটাই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর: সুপার ফুড কাউনের পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে উত্তর দিনাজপুরে। ধান, গমের থেকেও ভীষণ লাভজনক কাউন চাষ। তাই ধান, গম ছেড়ে এখানকার কৃষকরা কাউন চাষে ঝুঁকছেন।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে কাউনের চাষ। পুষ্টিকর দানা জাতীয় খাদ্যশস্য হচ্ছে কাউন। এই কাউন দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার যেমন পিঠে, পায়েস, বিস্কুট সহ অনেক সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায়। তাই দানা জাতীয় ফসল হিসেবে কাউন ভীষণ জনপ্রিয়। কৃষকরা জানান, এই কাউন চাষে খুব একটা সেচের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া অল্প যত্ন নিলেই ভাল ফলন হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কাউন চাষের জমিতে খুব একটা সারের প্রয়োজন হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজে এই দানা জাতীয় শস্য চাষ করা যায়।
কৃষিবিদ অবেন দেবশর্মা জানান, ঘন জীবামৃত তৈরি করে এই কাউন চাষ করা হয়। এই ঘন জীবমৃত বানাতে প্রয়োজন হয় গোবর, গুড়, বেসন, গোমূত্র। এই সার কাউনের জমিতে প্রয়োগ করলে দারুন ফলন পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজে কাউনের চাষ করে ভালো ফলন হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে কাউনের। এই কাউনের বীজ বপনের উপযোগী সময় হল অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ মাস। প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাউনের চাষ করা যায়। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব। কাউনের চাল বাংলার বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
উত্তর দিনাজপুর: কোথাও আগুন লাগলে যেমন দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত গিয়ে আগুন আয়ত্বে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু সর্বদা সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছনো সম্ভব হয় না। দমকল বাহিনীর কর্মীদের অনুপস্থিতিতেও যাতে আগুন নেভানোর কাজ করতে পারে তার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হল।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ভয় না পেয়ে তার হাত থেকে কীভাবে প্রাথমিকভাবে বাঁচতে হবে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে এই সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হল সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল চত্বরগুলিতে। আচমকা হাসপাতালের মতো জরুরি প্রতিষ্ঠানে কিংবা অন্যত্র আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে?
কোনও উপায়ে রোগী বা অন্য মানুষের প্রাণ বাঁচাতে হবে সে বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিলেন দমকল বাহিনীর সদস্যরা। দমকল বাহিনীর সিনিয়ার এক্সিকিউটিভ সুব্রত ঘোষ বলেন, ”হাসপাতাল কিংবা অন্যান্য জরুরি পরিষেবায় আগুন লেগে গেলে সাধারণ মানুষকে দমকলের কর্মীদের উপর ভরসা না করে কর্মরত সিকিউরিটিরা কীভাবে আগেই আগুন নেভানোয় ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে তার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।”