মালদহ: ‘দানা’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সুগভীর নিম্নচাপ জেলাগুলিতে। গত তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে জেলাগুলিতে। এখন শীতকালীন সবজি চাষের মরশুম। মালদহে কৃষকেরা সবজির বীজ বপন করেছেন। কেউ বীজতলা তৈরি করেছেন আবার কেউ বীজতলা থেকে চারাগাছ তুলে রোপন করছেন। এই সময় বৃষ্টি হলে গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না থাকায় গাছে ছত্রাক আক্রমণের সম্ভবনা রয়েছে। তাই এই বৃষ্টির হাত থেকে শীতকালীন সবজির সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন।
জেলা উদ্যান পালন দফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সবজিচাষে সঠিক পরিচর্যার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মূলত এই সময় বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো, ব্রোকলি, পালংশাক সহ নানান সবজি চাষ হয় মালদহ জেলায়। বৃষ্টির হাত থেকে বীজতলা রক্ষা করতে উঁচু জমি তৈরি করতে হবে। বীজতলায় যেন জল না জমে। সেই বিষয়টা লক্ষ রাখতে হবে। এমনকি চারাগাছের গোড়াতেও যেন জল না জমে থাকে। বৃষ্টির হাত থেকে বীজতলা রক্ষা করতে পলিথিনের ছাউনি তৈরি করে দিতে হবে। এতে সরাসরি বৃষ্টি পড়বেনা। গাছ রক্ষা পাবে।
এই সময় অবশ্যই বীজ শোধন করে করতে হবে। ছত্রাকনাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে। তারপর সেই বীজ শুকিয়ে বপন করতে হবে। তাহলে চারা গাছে কোনরকম ছত্রাকের আক্রমণ হবে না। সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে গাছ গাছের ফলন ভাল হবে। এই সমস্ত কিছু পরামর্শ মেনে চললেই বৃষ্টিতেও শীতকালীন সবজি চাষে লোকসানের মুখে পড়তে হবে না কৃষকদের। জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, সঠিক পরিচর্যা করতে পারলেই সবজি নষ্ট হবে না। বৃষ্টির হাত থেকে সবজি বাঁচাতে পরিচর্যা অবশ্যই করতে হবে। কারণ বৃষ্টির জলে নষ্ট হতে পারে, সবজির চারা গাছ।
মালদহ জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ২৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়। মানিকচক ব্লকে সবচেয়ে বেশি সবজির চাষ হয়। এছাড়াও গাজোল রতুয়া হবিবপুর কালিয়াচক এই সমস্ত ব্লকগুলিতে সবজি চাষের প্রবণতা রয়েছে।