লখনউ: জিম ট্রেনারের সঙ্গে বচসা আর তার জেরেই এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল ওই ট্রেনারের বিরুদ্ধে। হত্যার পর ওই মহিলার দেহ জেলাশাসকের আবাসনের বরাদ্দ জমিতে পুঁতে দেন তিনি।
এই হত্যার প্রায় চার মাস পরে মহিলার দেহ উদ্ধার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। চারমাস আগে ট্রেনারের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান মহিলা এরপরেই তাঁকে হত্যা করেন ওই যুবক।
গত ২৪ জুন থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ওই মহিলার। তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয় মহিলাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু, তাঁর দেহের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরেই দেহের খোঁজ পাওয়া যায়। অভিযুক্তের নাম জানা গিয়েছে বিমল সোনি।
উত্তরপ্রদেশের গ্রিনপার্কের জিম ট্রেনার বিমলকে জেরা করার পরেই নিজের অপরাধ কবুল করে সে। কানপুরের রাইপুরবা এলাকার বাসিন্দা জানান হত্যার পর সরকারি বাংলোর জমিতে পুঁতে দেন তিনি। কোথায় দেহ পুঁতে রাখা হয়েছে সেই স্থানও দেখিয়ে দেন তিনি।
জেরায় বিমল জানান, ওই মহিলা এবং সে দুজনেই সম্পর্কে ছিলেন। মহিলা জানান তিনি বিয়ের পরেও অখুশি ছিলেন। কিন্তু, এরপরেই বিমলের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল ৪টি প্রাথমিক স্কুল, কী হল উত্তরাখণ্ডে?
ঘটনার দিন, মহিলা জিম আসেন, দুজনেই এরপরেই গাড়িতে কথা বলার জন্য আসেন। খানিক বাদেই দুজনের মধ্যেই তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। এরপরেই মহিলার কাঁধে সজোরে ঘুষি মারেন বিমল। ঘুষির জোরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তারপরেই ওই মহিলাকে হত্যা করেন ওই জিম ট্রেনার।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরের কুলগামে মধ্যরাতে দুর্ঘটনার কবলে জওয়ান বোঝাই গাড়ি! মৃত ১, আহত ৯
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে জিম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বিমল। ওই মহিলার স্বামী রাহুল গুপ্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। পুনে,আগ্রা,পঞ্জাবে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়।
কোতোয়ালি থানায় ইতিমধ্যেই খুনের মামলা রুজু হয়েছে। মামলার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।