Tag Archives: UttarPradesh

Hathras: গর্ত খুঁড়তেই চক্ষু চড়কগাছ! ৩০ বছর পর পাওয়া গেল মৃতের কঙ্কাল, শিরোনামে ফের হাথরস!

হাথরস: আবারও শিরোনামে হাথরস, মৃত্যুর ৩০ বছরের পর পাওয়া গেল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। অভিযোগ, ৩০ বছর আগে তাঁকে তাঁর দুই ছেলে হত্যা করে তার পরে কেটে গেছে বহুযুগ, এতদিন বাদে হঠাৎ বেরিয়ে এল ওই মৃত ব্যক্তির দেহ।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই মৃতদেহটি ফরেনসিকের জন্য পাঠিয়েছে, ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মৃত ব্যক্তির দুই ছেলে প্রদীপ কুমার এবং মুকেশ কুমারে উপর। এছাড়াও তাঁদের মা এবং আরও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে বুদ্ধ রাম। তাঁর সবথেকে ছোট ছেলে পাঞ্জাবি সিং এই বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন।
ওই অঞ্চলের গিলোন্ডপুর গ্রামের বাসিন্দা পাঞ্জাবি সিং ওই ঘটনার সময় মাত্র নয় বছরের বালক ছিলেন, তিনি সেই দিনের কথা বলতে গিয়ে জানান, “আমি সবসময় বাবার সঙ্গেই ঘুমতাম, কিন্তু সেইদিন আমার দুই বড় দাদা আমাকে অন্য ঘরে শুতে বলল। আমি সারারাত ঘুমোতে পারিনি। মাঝরাতে আমি শুনি আমার দুই দাদার সঙ্গে বাবার তুমুল হাতাহাতি হচ্ছে। আমি ভয়ে ঘরের এক কোনায় লুকিয়ে পড়ি। “

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ট্রাকের সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত অন্তত ৯
পরের দিন পাঞ্জাবি জানান তিনি উঠোনে একটি বিশাল বড় গর্ত লক্ষ্য করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখি উঠোনে বিশাল বড় একটা গর্ত হয়ে রয়েছে। আমি মাকে জিজ্ঞেস করি বাবা কোথায়? কিন্তু উত্তরে মা বলে বাবা কোথাও চলে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: ভোট মরসুমে তপ্ত কাশ্মীর, অভিযানে সেনা! খতম এক জঙ্গি
তাঁর বাবাকে খুঁজতে এরপর কেটে গিয়েছে ৮ বছর। ৮ বছর বাদে তিনি পুলিশেও অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ জমি বিবাদ বলে তা উড়িয়ে দেয়। এরপরেই তাঁরা ঠিক করেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককে এই বিষয়ে জানাবেন। সেই মাফিক গত মাসে তাঁরা অভিযোগ জানান। গত বৃহস্পতিবার, একটি পুলিশের টিম এসে গর্ত খুঁড়ে প্রায় ৩০ বছর উদ্ধার করে সেই মৃত ব্যক্তির কঙ্কাল। পৈতৃক ভিটেতেই এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ফলে এত বছর বাদে দোষীদের আদৌ খুঁজে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মৃতের সর্ব কনিষ্ঠ ছেলে।

Snake in class: এসির মধ্যে দিয়ে মুখ বের করে আছে বিষধর সাপ, চোখে পড়তেই প্রবল আতঙ্ক ক্লাসরুমে

নয়ডা: সাপ এমন একটি প্রাণী যাকে টিভিতে দেখলেও মানুষ ভয় পায়। ভাবুন তো, এই সাপ যদি মানুষের সামনে আসে তাহলে কী হবে? সম্প্রতি এক কলেজের শিক্ষার্থীদের এই ভয় বাস্তবে পরিণত হয়েছে৷ ক্লাস চলার সময়ই একটি সাপ তাদের চোখে পড়ে। ভয়ে ক্লাসে উপস্থিত শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রী সবার অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এবং তারা এদিক ওদিক ছুটতে থাকে। অনেক শিক্ষার্থীকে ভিডিও করতেও দেখা গেছে। তবে কেউ আহত হয়নি।

আরও পড়ুন : মারাত্মক বিষধর এই সাপ কামড়ালে আপনি টেরও পাবেন না, অজান্তেই এক ছোবলে হয়ে যাবেন ছবি!

সম্প্রতি, নয়ডার অ্যামিটি ইউনিভার্সিটির টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যাতে একটি ক্লাসরুমের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ এসির ভেন্টের মধ্যে থেকে একটি সাপের মুখ বারবার বেড়িয়ে আসছিল৷ যা দেখে শিশুদের মধ্যে প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েকজন শিশু সাপের ভয়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষকও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন সাপের দিকে। কিন্তু পুরো ঘটনাটাই কিছুক্ষণের৷ অল্প সময় পর সাপটি আবার এসি ভেন্টের ভেতরে মুখ ঢুকিয়ে নেয়৷ এরপরই প্রাণ ফিরে পায় স্টুডেন্টরা।

আরও পড়ুন : নেকড়ে, চিতাবাঘ ঘুম কেড়েছে, এই রাজ্যের রাস্তায় এবার সাত ফুটের কুমির! তীব্র আতঙ্ক

ভিডিওটি 4 লক্ষেরও বেশি ভিউ পেয়েছে এবং অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, 16 ডিগ্রি তাপমাত্রায় সাপটি এসি ভেন্টের ভিতরে আরামে ঘুমিয়ে থাকত, কিন্তু ক্লাসের শব্দে ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে আসে। অন্য একজন লিখেছেন, হয়তো সাপ শুনেছে যে ক্লাসে পাইথন পড়ানো হচ্ছে। তাই সেও ক্লাসে যোগ দিয়েছিল৷

Uttar Pradesh News: ৮ মিনিটে ৫০টি জটিল অঙ্কের সমাধান! উত্তরপ্রদেশের বিস্ময় বালকের কীর্তিতে অবাক হবেন আপনিও

নয়ডা: মাত্র পাঁচ বছর বয়স। এর মধ্যেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাফল্য অর্জন করে ফেলেছে উত্তর প্রদেশের এক শিশু৷  ছুঁয়ে ফেলেছে বিরল রেকর্ড৷ শুধু তাই নয়, মেধার দৌড়ে প্রবলভাবে সে টেক্কা দিয়েছে ক্যালকুলেটরকেও৷

ব্যাপারটা কী? উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার ছেলে গৌতক্ষ৷ সম্প্রতি সে একটি বিস্ময়কর কৃতিত্ব অর্জন করেছে। মাত্র ৮ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডে ৫০টি জটিল গণিতের প্রশ্ন সমাধান করে ফেলেছে সে৷ এই কৃতিত্বের সৌজন্যে এশিয়া ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায় তাঁর নাম ঢুকে গিয়েছে। মাত্র ৫ বছর বয়সে একটি শিশু এমন কিছু করতে পারে, তা ভাবতেই পারেননি কেউ৷

আরও পড়ুন : প্রধান বিচারপতির হাতে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের চিঠি! কী অনুরোধ জানিয়েছে পরিবার?

গৌতক্ষের বাবা বুদ্ধ রতন গৌতম পেশায় একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার৷ তিনি হাতরাসের বারাউলি গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে গ্রেটার নয়ডার সেক্টর ৩-এ থাকেন। ছেলের এই প্রতিভা দেখে অভিভাবকরা স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত। তবে এটাই গৌতাক্ষের এটাই প্রথম কৃতিত্ব নয়। এত কম বয়সে ইতিমধ্যেই ১২টি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় রেকর্ড তাঁর পকেটে রয়েছে৷ জিতেছে প্রায় ১৫টি পুরস্কার। এখানেই শেষ নয়৷ পাঁচ বছর বয়সেই দুটি বই লিখে ফেলেছেন গৌতক্ষ।

আরও পড়ুন : যাত্রীবোঝাই দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ! আহত বহু, হাসপাতালে বেডের জন্য হাহাকার

গৌতক্ষের লেখা গল্প তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা দেয়, অনুপ্রাণিত করে৷ আসলে প্রতিভার কোনও বয়স নেই। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত, যে শিশু এত কম বয়সেই এত বিরল রেকর্ডের মালিক, সে আগামী দিনে বিশ্বের দরবারে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করবে।

দূর-দূরান্ত থেকে আসছে অভিনন্দন গৌতক্ষ এখন রীতিমতো সেলেব্রিটি৷ তাঁকে একবার দেখতে, ছুঁতে দুর দুরান্ত থেকে এসে মানুষ ভিড় করছে বাড়ির দরজায়৷ উদ্দেশ্য একটাই, ছোট্ট শিশুটিকে অভিনন্দন জানানো৷

Uttarpradesh News: ব্যস্ত রাস্তায় ‘মৃত’ সেজে রিলস! ভাইরাল হতে গিয়ে যুবকের ঠাঁই হল শ্রীঘরে! উত্তরপ্রদেশের ভিডিও ভাইরাল

লখনউ: উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি মৃত্যুর ‘নাটক’ করায় তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, মুকেশ কুমার নামে ওই ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে চেয়েছিলেন। সেই জন্যই উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জের এক ব্যস্ত রাস্তায় ভরদুপুরে ‘মৃত’ সেজে শুয়ে ছিলেন তিনি। সেই দৃশ্যই ইন্সটাগ্রামের জন্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন তাঁরই এক বন্ধু।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও সামনে আসতেই মুকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভিডিওটি শুরু হচ্ছে মুকেশের মুখের কাছ থেকে, এরপরেই দেখা যায় নাকে তুলো গোঁজা ও গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় ‘মৃতদেহের’ মতন একটি লাল শতরঞ্চির শুয়ে আছেন মুকেশ। ভিডিও আর একটু এগোলে দেখা যায়, মুকেশ শুয়ে আছে কাসগঞ্জের ব্যস্ত রাস্তায়।

আরও পড়ুন: জন্মানোর কুড়ি ঘণ্টার মধ্যেই বিহারের সরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি গেল শিশু!

চারপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গাড়ির স্রোত। কোনও গাড়ি যাতে মুকেশকে ধাক্কা না মারে সেই জন্য আবার একটি পুলিশ ব্যারিকেডও সামনে আটকানো হয়েছে। এর কিছু পরেই, নিজের নাকের তুলো সরিয়ে প্রাণ ফিরে পান মুকেশ। উঠে বসেন তিনি। এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেটাগরিকরা। তাঁরা মন্তব্য করে জানিয়েছেন এখনকার যুগে মানুষ কিছু করে ভাইরাল হওয়ার জন্য কোন পর্যায় নামতে পারে, এই ভিডিওই তাঁর প্রমাণ।

আরও পড়ুন: স্নান করেন না স্বামী, গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলেন স্ত্রী! তারপর কী হল?
এই ভিডিও সামনে আসার পরেই মুকেশকে ডেকে পাঠিয়ে আটক করে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই তা নজর আসে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। এরপরেই এই গ্রেফতার।

Building Collapsed: উত্তরপ্রদেশে ভয়ঙ্কর ঘটনা, হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল বহুতল! মৃত অন্তত ১০, দেখুন ভিডিও

মিরাট: শনিবার উত্তর প্রদেশের মিরাট জেলার জাকিব কলোনিতে একটা তিনতলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ এই ঘটনায় প্রায় ১০ জন মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে৷ আহত হয়েছেন প্রায় পাঁচজন ৷

ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ সেপ্টেম্বর, শনিবার৷ ঘড়িতে তখন বিকেল ৫টা ১৫৷ হঠাৎ করে উত্তরপ্রদেশে মিরাট জেলায় ভেঙে পড়ল একটা তিনতলা বাড়ি৷ খবর পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে উদ্ধারকারী দল এসে হাজির হয়৷


আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ডুবল সড়ক, বিপদসীমার উপরে বইছে নদী, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়ার

এমনিতেই উত্তরপ্রদেশে সর্বত্র ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ যার ফলে উদ্ধারকার্যেও বিলম্ব হচ্ছে৷ মিরাটের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক মীনা জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ সকলেই উপস্থিত রয়েছে৷

আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে ভেঙে পড়ল পরিত্যক্ত বাড়ি, মৃত ২! নেপথ্যে কি প্রশাসনের নজরদারির অভাব?

এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৫ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ বাকি পাঁচজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ম্যাজিস্ট্রেট দীপক মীনা আরও জানান, ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত একজন মানুষও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধারকার্য চলবে৷

প্রসঙ্গত উত্তর প্রদেশের ১১টা জেলা এমনিতেই বন্যায় বিধ্বস্ত৷ অফিশিয়াল তথ্য অনুযায়ী বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু ঘটেছে প্রায় ১৭ জন মানুষের৷ অতিবৃষ্টি না অন্য কোন কারণে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানা যাচ্ছে৷

Uttarpradesh News : প্রবল গরম, বালিয়ায় কুলার নিয়ে বর-কনে পক্ষের মারপিঠে ভেঙে গেল বিয়ে!

বালিয়া: যৌতুক নিয়ে প্রবল ঝামেলা। আর সেই কারণে মণ্ডপেই বিয়ে ভেঙে যাওয়া৷ ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়৷ তবে কুলার নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় বিয়ে ভেঙে গিয়েছে৷ এমন ঘটনা কখনও শুনেছেন? উত্তর প্রদেশের বালিয়ায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যা আপনাকে অবাক করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট৷

আসল ব্যাপারটা কী? উত্তর প্রদেশের বালিয়ায় এই মুহুর্তে প্রচণ্ড গরম৷ একটু ঠান্ডার জন্য সবাই অস্থির হয়ে উঠেছে৷ এর মধ্যে আবার বিয়ে বাড়ি৷ পাত্র পক্ষ যথা সময়ে এসে পৌঁছায় মেয়ের বাড়িতে৷ এরপরেই সমস্যার সূত্রপাত৷ কন্যা পক্ষের তরফে কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ তার সামনে কে বসবে সে নিয়ে প্রবল ঝামেলা শুরু হয় পাত্র পক্ষ ও কন্যা পক্ষের লোকেদের মধ্যে৷ পরে যা মারামারিতে পরিণত হয়৷ এই ঝগড়া ও মারামারির খবর কনের কাছে পৌঁছতেই তিনি বেঁকে বসেন৷ বলে দেন, এই বিয়ে তিনি আর করবেন না।

আরও খবর : প্রবল বৃষ্টিতে জমে থাকা জলে ডুবে গেল XUV-700, মৃত্যু ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের

পুরো বিষয়টি বালিয়া জেলার নগর পঞ্চায়েতের চিতবরগাঁও থানা এলাকায় ঘটেছে। বর হুকুমচন্দ্র জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা সিকান্দারপুর থানা এলাকার মুস্তাফাবাদের বাসিন্দা। মেয়ে সুন্দর, তাই যৌতুক ছাড়াই বিয়েটা হত৷ কিন্তু পাত্র পক্ষ ও কন্যা পক্ষের মধ্যে সামান্য বিবাদ হওয়ায় মেয়েটি এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে।”

এক কুলারের জন্য বিয়ে ভেঙে যাওয়া৷ এমন ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি৷ কুলার নিয়ে বিয়ের অতিথিরা নিজেদের মধ্যে এমন ঝামেলা শুরু করেন যে তার ফল ভোগ করতে হয়েছে বরকে। বিয়ের সময় পাত্রী যখন জানতে পারেন যে কুলার নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে দুই পক্ষ, তখন তিনি বলেন, “এখনই এমন ঝগড়া-মারপিঠ শুরু হলে বাড়ি গিয়ে কী হবে? এই বিয়ে শুভ নয় এবং আমি বিয়ে করব না।”

আরও খবর : স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী, শিউরে ওঠা ঘটনা মহারাষ্ট্রে

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আসরে নামতে হয় বরকে। তিনি কনেকে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বর বলেন, বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানে এমন হতেই পারে। এটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই, কিন্তু পাত্রী এই বিয়েতে বসতে আর রাজি হননি।

বিয়েতে এয়ার কুলার নিয়ে বিবাদ শুধু ঝগড়াতেই থেমে থাকেনি, তা বড় লড়াইয়ের রূপ নেয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয। পুলিশ উভয় পক্ষকেই থানায় নিয়ে যায়। চিতবরগাঁও থানার সভাপতি প্রশান্ত চৌধুরীর জানিয়েছেন, “পুলিশ উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি এবং বিয়ে ভেঙে যায়। শেষ পর্যন্ত, শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়৷”

UttarPradesh: স্বাধীনতা দিবসে লাড্ডু চুরি! উত্তরপ্রদেশে দুই পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বেরই করে দিলেন প্রধানশিক্ষক

লখনউ: এ যেন লঘু পাপে গুরু দণ্ড। স্বাধীনতা দিবসের দিন লাড্ডু ‘চুরির’ অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ছাত্রীকে স্কুল থেকেই বের করে দেওয়া হল। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পূর্ণঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বেসিক শিক্ষা অধিকারী ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে ফের তৎপর বিষ্ণোই গ্যাং? রাতের শহরে গুলি করে খুন জিম মালিককে
সূত্রের খবর, দুই পড়ুয়াই একই পরিবারের, সম্পর্কে তাঁরা পরস্পরের বোন। আর্থিকভাবে তাঁরা স্বচ্ছল নয়। পরিবারের দাবি প্রিন্সিপাল তাঁদের দুই শিশুর জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। সাহারানপুরের নাকুর এলাকার ঘটনা। দুই পড়ুয়া যথাক্রমে সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। অভিযোগ প্রিন্সিপাল তাঁদের টিসি নিয়ে স্কুল থেকে চলে যেতে বলেন।

আরও পড়ুন:এয়ারস্ট্রিপ থেকে চুরি গোটা হেলিকপ্টার! উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় হতবাক সকলে!

ঘটনার সূত্রপাত গত ১৫ই অগাস্ট, স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাড্ডু বিতরণ হচ্ছিল। সেই সময় কিছু লাড্ডু প্রিন্সিপালের অফিসে রাখা ছিল। ঠিক তারপরের দিন অর্থাৎ ১৬ই অগাস্ট যখন প্রিন্সিপাল ক্লাস নিচ্ছিলেন তখন অভিযুক্ত দুই পড়ুয়া জল খেতে যাওয়ার নাম করে প্রিন্সিপালের অফিস থেকে লাড্ডু চুরি করে খায়। কিন্তু, লাড্ডু চুরি করলে কি স্কুল থেকে বহিষ্কার করা ঠিক? সেই বিচারেই তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।

Monkey Attack in Uttarpradesh : নেকড়ের পর বাহরাইচে এবার নতুন আতঙ্ক, একশোরও বেশি মানুষ আহত, প্রবল আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

বাহরাইচ: বাহরাইচের চোখাদিয়া গ্রামে বানরের উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ঠ। গ্রামের বৃদ্ধ, শিশু, যুবক ও নারীসহ শতাধিক মানুষকে কামড়ে ধরছে বানরগুলি। গ্রামবাসীরা এতটাই আতঙ্কিত যে এখন রাস্তাঘাটে আসা-যাওয়ার সময় লাঠি-রড সঙ্গে রাখছেন সবসময়।

গ্রামে কী ধরনের আতঙ্ক? বাহরাইচে নেকড়ের আক্রমণে অতিষ্ঠ মানুষ৷ এবার নতুন সংযোজন বানরের আক্রমণ৷ গ্রামবাসীদের মুখে মুখে ঘুরছে বানরের উপদ্রবের কথা। শিশুরা স্কুলে গেলে পথিমধ্যে এই বানররা তাদের বাধা দেয়, আক্রমণ করে এবং তাদের ব্যাগে রাখা খাবারের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।

আরও খবর : নেকড়ে আতঙ্কে তটস্থ উত্তর প্রদেশ, ‘আলফা’কে ধরলেই কি সমস্যার সমাধান? জানুন কারণ

কোনও শিশু ব্যাগ খালি করার চেষ্টা করলে বা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বানরগুলি তাদের আক্রমণ করে কামড়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেয়েরা বাড়িতে খাবার তৈরি করতে বসলে আটা, চাল, সবজিও নিয়ে যাচ্ছে তারা। এমনকি তারা ক্ষেতে উৎপাদিত ফসল, শাক-সবজি ও শাকসবজি ধ্বংস করে ফেলছে প্রতিদিন।

গ্রামে কত বানর আছে? গ্রামবাসীগের বর্ণনা অনুযায়ী, সংখ্যাটা প্রায় হাজারেরও বেশি। সেটাও প্রায় দুই থেকে তিন হাজার। গ্রামবাসীরা ইতিমধ্য়েই সমস্যার কথা জানিয়ে বাহরাইচ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে। তাদের কথায়, প্রায় দুই বছর ধরে এই বানরের সমস্যা চলছে। আগে তাদের সংখ্যা কম ছিল, তাই সমস্যাও কম ছিল। এখন সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে।

আরও খবর : মরু রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি, ড্রেনের মধ্যে দেখা মিলল ভয়ঙ্কর প্রাণীর, ঘুম উড়ল স্থানীয়দের

এই বানরগুলো কোথায় থাকে? গ্রামবাসীদের কথায়, চোঘদিয়া গ্রামের গাছ ও পুরনো বন্ধ ঘরকে বানরা ঘাঁটি বানিয়েছে। যেখানে তারা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করে, এবং লোকজন দেখলেই গাছ থেকে নেমে এসে আক্রমণ করে বসছে। গ্রামবাসীরা এতটাই ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত যে বানর সমস্যা কাটাতে তারা এখন লাঠি, উইকেট, গুলতি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷

Wolves attack: পুতুলে মেশানো হবে শিশুদের মূত্র, নেকড়ে ধরতে এবার অভিনব টোপ উত্তরপ্রদেশের

লখনউ: উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচে নেকড়ে আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। নেকড়ে ধরতে এবার এক অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করল বন দফতর। বিভিন্ন রঙের পুতুলে শিশুদের মুত্র মিশিয়ে তা নেকড়ে ধরার টোপ হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন এক অভিজ্ঞ বন দফতরের আধিকারিক।

প্রায় এক মাস ধরে বাহারাইচ অঞ্চলে কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেকড়ের দল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ‘মানুষখেকো’ এই নেকড়ের দল মূলত শিশু এবং গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। প্রশাসন এই নেকড়ে ধরতে ইতিমধ্যেই ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ শুরু করেছে। ধরা পড়েছে মোট ৪টি নেকড়ে। এবারে বাকি দুটি নেকড়ে ধরতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। বন দফতর সুত্রে খবর, উজ্জ্বল রঙের পুতুল নকল ফাঁদ হিসাবে ব্যবহার করা হবে।

তারপর সেই পুতুলগুলিকে নদীর ধারে পরিকল্পনা মাফিক রেখে দেওয়া হবে। মূলত নেকড়েদের গুহার কাছাকাছি পুতুলগুলি রেখে দেওয়া হবে। পুতুলগুলিতে মেশানো হবে শিশুদের মূত্র। ফলে মানুষের প্রাকৃতিক গন্ধ পেয়ে নেকড়েরা আকৃষ্ট হবে।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ভারতের একাংশ, মৃত ২০, বহু ট্রেন বাতিল
এই প্রসঙ্গে বন দফতরের আধিকারিক অজিত প্রতাপ সিং বলেন, “নেকড়েরা খুব দ্রুত জায়গা পরিবর্তন করছেন। মূলত, তাঁরা রাতেই শিকার করতে বেরোয় এবং সকালে নিজেদের গুহায় ফিরে যায়। আমাদের পরিকল্পনা হল তাঁদের বসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া তারপর টোপের লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলা।”

আরও এক বনাধিকারিক রমেশ কুমার পাণ্ডে জানান, ব্রিটিশ আমলেও এই অঞ্চলে নেকড়ের দাপট ছিল। এক সময়ে নেকড়ে মারার জন্য ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে পুরস্কারের ব্যবস্থাও ছিল।

কিন্তু, বন দফতরের এই অভিনব টোপ দিয়ে নেকড়ে ধরার পরিকল্পনা প্রমাণিত কার্যকরী পদ্ধতি নয় বলেও জানিয়েছে বন দফতর। তবে তাঁরা এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই পদ্ধতিও অবলম্বন করতে চান বলে জানিয়েছেন।
গত ১৭ জুলাই থেকে একের পর নেকড়ের হামলায় চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তররপ্রদেশের এই অঞ্চলে। এখনও পর্যন্ত ছয় শিশু সহ মোট সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩০। তাই যত শীঘ্র বাকি দুই নেকড়েকে ধরতে চাইছে প্রশাসন।

Crocodile: কুঁড়ে ঘরে বিশাল কুমির, দরজা খুলতেই চোখ ছানাবড়া! শেষ পর্যন্ত যা হল…

লখনউ: গ্রামের রাস্তায় কুমির দেখে আতঙ্ক ছড়াল উত্তরপ্রদেশে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মাজরা হাহুর পূর্বা গ্রামের। গ্রাম পঞ্চায়েত কারসাউর এলাকার লখিমপুরের খেরি জেলার ঘটনা।

ঘটনাটি দেখে গোটা এলাকার মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যান। ওই বন্যপ্রাণীটিকে একটি কুঁড়ে ঘরের পাশে দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এই ভিডিওটে দেখা যাচ্ছে প্রায় তিন মিটার লম্বা এই কুমিরটি একটি কুঁড়ে ঘরের পাশে শুয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল হয়েছে।

আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর! পুজোয় পুরী যাওয়ার প্ল্যান?রেলের এই উদ্যোগে আপনি লাভবান

স্থানীয় বাসিন্দা সারদা প্রসাদ জানান, কিছুদিন আগেই এলাকায় বন্যার মতন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বহু জায়গা প্লাবিত হয়েছিল, সেই সময়েই ওই কুমিরটি সারদা নদী থেকে গ্রামের পুকুরে চলে আসে। তিনি আরও জানান এর আগে ওই কুমিরটি বেশ কয়েকটি কুকুরকে আক্রমণ করেছিল এরফলেও গ্রামবাসীদের মনে আতঙ্ক ছড়ায়।

কিন্তু, কুমিরটির উপস্থিতি টের পাওয়ার পরেই গ্রামবাসীরা সতর্ক হয়ে যান। তাঁরা আওয়াজ করে কুমিরটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। ফলে কুমিরটি রাস্তা থেকে আবারও সোজা পুকুরে নেমে যায়। এই প্রসঙ্গে ওই পুকুরেরই পাশে বসবাসকারী সারদা প্রসাদ জানান, তিনি নিজের মহিষ এবং অন্যান্য গৃহপালিত পশু নিয়ে চিন্তিত।
মনে করা হচ্ছে ওই কুমিরটি ওই কুঁড়ে ঘরের পাশে এসেছে কারণ ওই কুঁড়ে ঘরের পাশেই বেশ কয়েকটি গরু এবং মহিষ বাঁধা ছিল। সেই গন্ধ শুঁকেই কুমিরটি সেখানে হাজির হয়েছে। ইতিমধ্যেই বন দফতর হাজির হয়ে কুমিরটিকে উদ্ধার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।