মাতা বৈষ্ণো দেবী-বান্দ্রা স্বরাজ এক্সপ্রেস- এই ট্রেনও নোংরা ট্রেনের তালিকায় রয়েছে। কারণ অনেকেই এই ট্রেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে অসংখ্য অভিযোগ করেছেন। ২০২৩ সালে রেলওয়ে এই ট্রেন নিয়ে ৬১ টি অভিযোগ পেয়েছিল। অতএব, আপনি যদি এই ট্রেনের টিকিট বুক করেন, তা হলে সাবধান।

Diwali 2024: দিওয়ালির আগে রেলের কামরা, স্টেশনে কড়া নজরদারি রেল রক্ষী বাহিনীর 

কলকাতা: সুরক্ষিত রেল ভ্রমণের জন্য ট্রেনে দাহ্য পদার্থ বহনে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যেহেতু ইতিমধ্যে উৎসবের মরশুম চালু হয়েছে এবং যাত্রীদের ভিড় বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে যাত্রীদের অতিরিক্ত সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উৎসবের সময়ে বহু যাত্রী নিজেদের বাড়ি যাওয়ার জন্য দূরপাল্লার যাত্রা করেন এবং তাঁরা ক্র্যাকার, পেট্রোল ও অন্যান্য দাহ্য পদার্থ-সহ সমস্ত রকমের সামগ্রী বহন করেন, যা সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদ সৃষ্টি করে। ​যাত্রীদের সংবেদনশীল করতে এবং ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় মানুষ যাতে কোনও রকমের দাহ্য সামগ্রী বহন না করেন তার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিয়মিত বিশেষ অভিযান চালু করেছে।

আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে আসছে শীত…! কবে থেকে জাঁকিয়ে ঠান্ডার কামড়? ‘তারিখ’ জানিয়ে দিল আইএমডি

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা ট্রেনে যাত্রা করার সময় যাত্রীদের চলাচলের উপর কঠোর দৃষ্টি রাখেন। রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী ও সরকারি রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি টিটিই, কোচ অ্যাটেনডেন্ট, ট্রেনের গার্ড, স্টেশন ম্যানেজাররা ট্রেন যাত্রীদের বিপদ থেকে রক্ষা করতে অপরাধীদের উপর কড়া নজরদারি চালিয়ে আসছেন।

ট্রেনে দাহ্য পদার্থ বহন করা রেলওয়ে আইন, ১৯৮৯-এর ১৬৪ ধারার অধীনে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং অপরাধীর শাস্তি হিসেবে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ১,০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় হতে পারে এবং রেলওয়েতে এই ধরনের সামগ্রী নিয়ে আসার জন্য কোনও কিছুর লোকসান, আঘাত অথবা ক্ষতি হলে তার জন্য দায়ী হতে হবে। ​

ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে যাত্রীদের কোনও রকমের দাহ্য/বিস্ফোরক সামগ্রী বহন না করতে এবং দাহ্য পদার্থ বহন করে নিজের জীবন বিপন্ন না করে সর্বোচ্চ সুরক্ষার সঙ্গে যাত্রার করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে নানা সময়ে দেখা গিয়েছে, কোথাও সিলিন্ডার বহন করে নিয়ে যাওয়া তো কোথাও আবার বাজি নিয়ে যাতায়াত করায় দূর্ঘটনা ঘটেছে। তাই বিভিন্ন ট্রেনের কামরায় যেমন নজরদারি চালানো হচ্ছে, তেমনই স্টেশনে ঢোকা,বেরনোর মুখেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে আরপিএফ।