প্রতিকী ছবি।

Mahakal Darshan: বাংলায় বসেই পাবেন মহাকাল দর্শনের সুযোগ, মিলবে কামাখ্যা দর্শনের পুণ্য! জানেন কোথায়

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : বাংলায় বসেই মহাকাল দর্শনের সুযোগ। কামাখ্যা দর্শনের পূণ্য পাবেন এই জায়গায় এলেই। অনেক পুরানো হলেও এখানে লোকজনের যাতায়াত কম। আসানসোলের শ্রীপীঠ। কালিপাহাড়ি মোড়ে অবস্থিত এই জায়গায় এলেই আপনি পাবেন অন্যরকম অনুভূতি। এখানে মহাকালেশ্বর এবং মহাকালীর পুজো হয়। পুজো হয় দেবী মহামায়ার বিভিন্ন রূপের। আবার এখানেই আছেন দেবী কামাখ্যা।

বছর ৩০ আগে কালিপাহাড়ি ডিভিসি মোড়ের কাছে এই শ্রীপীঠ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পীঠ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অনির্বাণ আনন্দগিরি মহারাজ। তিনি ছয় বছর বয়স থেকেই পুজো সাধনা শুরু করেছেন। এখানে দেবী কালীর যে মূর্তি রয়েছে, তা তৈরি করা হয়েছে রাঁচির নেতারহাটের একটি পাহাড়ে বসে। পীঠ পরিচালক এবং ভক্তরা বলেন, দেবীর এই মূর্তি রাঁচি নেতারহাট থেকে আসানসোল আনতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছিলেন ২২ জন কুলি।

আরও পড়ুনRs 3 Golab Jamun: মাত্রা ৩ টাকায় সস্তার গুলাব জামুন, পেট ভরে খেতে পকেট খালি হবে না, কোথায় পাবেন?

এখানে প্রত্যেকদিন মহাকালেশ্বর এবং মহাকালীর পুজো হয়। দেবী মহামায়ার বিভিন্ন রূপের পুজো হয় এখানে। তাছাড়াও রাধাগোবিন্দ জিউ, গোপালের পুজো হয় এখানে। কালী পুজোর আগে চতুর্দশীতে দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আগে দেবীকে সিদ্ধ আলু, ভাত ভোগ দেওয়া হত। যদিও এখন খিচুড়ি, বিভিন্ন ফল-মিষ্টি ইত্যাদি ভোগ দেওয়া হয়। উজ্জয়ীনের ধাঁচে এখানে মহাকালেশ্বরের পুজো হয়।

বলা হয়, এটি একটি পরমহংস পীঠ। তাই এখানে পরমহংস বৈদিক মতে সমস্ত দেবদেবীর পুজো করা হয়। শ্রীপীঠের তরফ থেকে আগে অনেক সমাজসেবামূলক কাজকর্ম চালানো হত। যদিও যথেষ্ট অর্থ না থাকার কারণে অনেক কাজ এখন বন্ধ রয়েছে। তবে এখানেই দেবী কামাখ্যার জন্য একটি মন্দির তৈরি হচ্ছে। তাই চাইলে আপনিও অনায়াসে একদিন এখান থেকে ঘুরে যেতে পারেন। সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন অন্যরকম কিছু স্মৃতি।

নয়ন ঘোষ