নয়াদিল্লি: গত শনিবার নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্ট। ভক্তরা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছে সেই কনসার্ট। কিন্তু সেখানেই চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুললেন বেশ কিছু ভক্ত।
আসলে দিলজিতের দিল-ল্যুমিনাটি ট্যুর শুরু হয়েছে। সারা দেশের মোট ১০টা শহরে চলবে তাঁর কনসার্ট। তবে শুরুতেই বিপত্তি। গত ২৬ অক্টোবর জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামের কনসার্ট নিয়ে উঠল বিস্তর অভিযোগ। ওই কনসার্টে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা লিঙ্কডইন-এ তুলে ধরেছেন এক ব্যক্তি। তাঁরা গোটা বিষয়টাকে দুটো ভাগে ভাগ করেছিলেন। যথা – ভাল দিক আর যা যা ভুল হয়ে গেল। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের বিষয়টা বেশ মসৃণ ছিল। এমনকী ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টও ভাল ছিল বলেই প্রশংসা করেছেন তাঁরা। কিন্তু খাবার এবং পানীয়র স্টল নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তাঁরা।
তাই কনসার্টে যোগ দেওয়া এক ব্যক্তি লিখেছেন যে, শোয়ের শুরুতেই অর্ধেকের বেশি জিনিস ছিল আউট অফ স্টক। শো শেষ হওয়ার ৩০ মিনিট আগেই খাবারের স্টলগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এমনকী পানীয় জলটুকু পর্যন্ত সেভাবে ছিল না।
কনসার্টে যোগদানকারী ব্যক্তিরা আরও জানান যে, মেয়েদের জন্য আলাদা করে কোনও লাইন ছিল না। আর এই বিশৃঙ্খল অবস্থায় কিছু পাওয়ার আশা করাটাই বৃথা। দিলজিৎ দোসাঞ্জের এক ভক্ত আবার কিনেছিলেন গোল্ড ক্লাস টিকিট। তা সত্ত্বেও নিজের হতাশা চেপে রাখতে পারলেন না তিনি। ওই ভক্তের অভিযোগ, মঞ্চটা দেখা যাচ্ছিল না। আসলে দিলজিতের পারফরম্যান্স দেখার জন্য তাঁদের স্ক্রিনের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছিল। হতাশার সুরে তাঁরা বলেন যে, লাইভ পারফরম্যান্স দেখার জন্যই তো মানুষ লাইভ কনসার্টে যান। সাউন্ড কোয়ালিটি নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, “স্টেডিয়ামে আপনাদের তুলনায় আমাদের বাড়িতেই তো ভাল মিউজিক সিস্টেম রয়েছে।”
এখানেই শেষ নয়, শৌচাগারের অবস্থাও ছিল তথৈবচ। এমনই অভিযোগ এনেছেন কনসার্টে যোগদানকারীরা। তাঁদের দাবি, শৌচাগারে ছিল না পর্যাপ্ত আলো। অপরিচ্ছন্ন শৌচাগারে ছিল ভয়ঙ্কর দুর্গন্ধও। সব মিলিয়ে যেন ফিকে হয়ে গিয়েছে ভক্তদের উচ্ছ্বাস।
তবে এই সমস্ত অব্যবস্থার অভিযোগের মাঝেও যে বিষয়টা নিয়ে প্রশংসা হচ্ছে, সেটা হল দিলজিতের পারফরম্যান্স। কনসার্টে যোগ দিয়েছিলেন আয়ুশ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি। যিনি নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন যে, “বরাবরের মতোই দুর্ধর্ষ ছিলেন দিলজিৎ। কিন্তু প্রোডাকশন আর ম্যানেজমেন্ট ছিল জঘন্য। কনসার্ট শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই অ্যালকোহল আর জল শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমনকী কাজ করছিল না পাইন ল্যাব মেশিনগুলিও। আর শৌচাগারের অবস্থাও ছিল শোচনীয়।”