একটা টুথব্রাশ কতদিন ব্যবহার করা যায়? না জানলেই বিপদ, শরীরে বাসা বাঁধবে রোগ!

কলকাতা: ব্রাশ একেবারে ব্যবহারের অযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত বদলানোর কথা আমাদের অনেকের মাথায় আসে না। দাঁতের গঠন ও দাঁতের জেল্লা নিয়ে আমরা যতটা চিন্তিত, দাঁত পরিষ্কার করার টুথব্রাশ নিয়ে ততটাই উদাসীন।

নিয়ম করে দু’বেলা দাঁত মাজলেই হল না কিন্তু! ব্রাশ নিয়ে ভাবনার সময় কার কাছেই বা আছে! অনেক ক্ষেত্রেই দাঁতের অযত্ন থেকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হতে পারে কেবল দাঁতের অযত্ন থেকে। আর এই দাঁতের অযত্নের অন্যতম বড় কারণ হতে পারে পুরোনো টুথব্রাশ ব্যবহার করা।

আরও পড়ুন- কম সময়ে বেশি ওজন কমাতে চান? চিয়া সিড না ফ্ল্যাক্স সিড, কোনটা বেশি কার্যকর?

অনেক ক্ষেত্রেই দাঁতের অযত্ন থেকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের সংক্রমণ হতে পারে কেবল দাঁতের অযত্ন থেকে। আর এই দাঁতের অযত্নের অন্যতম বড় কারণ হতে পারে পুরনো ও অচল টুথব্রাশ ব্যবহার করা।

কীভাবে বুঝবেন টুথব্রাশ নষ্ট হয়ে গেছে? আপাতদৃষ্টিতে দাঁত মাজার ব্রাশ নষ্ট হয়েছে কি না বোঝা বেশ কঠিন। তবে টুথব্রাশের ব্রিসলস নেতিয়ে পড়লে বা নরম হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে ব্রাশ নষ্ট হওয়ার পথে।

প্রতি তিন মাস অন্তর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো উচিত। কোনোভাবেই তিন মাসের বেশি একটি টুথব্রাশ ব্যবহার করা উচিত নয়। এছাড়াও কোনো অসুস্থতা, বিশেষ করে ভাইরাল রোগ থেকে সেরে ওঠার পর অবশ্যই টুথব্রাশ বদলে ফেলবেন। বিশেষ করে মৌসুমি জ্বর, কাশি, ঠান্ডা থেকে সেরে ওঠার পর যত দ্রুত সম্ভব টুথব্রাশ বদলে ফেলা উচিত।

ভাইরাল জ্বর, কাশি, ঠান্ডা থেকে সেরে ওঠার পর যত দ্রুত সম্ভব টুথব্রাশ বদলে ফেলা উচিত। কারণ, রোগ সেরে গেলেও রোগের জীবাণু লেগে থাকতে পারে টুথব্রাশে।

আরও পড়ুন- গরম ভাতে লেবু চিপে খাচ্ছেন? বড় ভুল করছেন না তো? আগে জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ!

বেশিরভাগ বাড়িতেই সব সদস্যের ব্রাশ একই পাত্রে সাজানো থাকে। এভাবে ব্রাশ রাখলে এক জনের ব্রাশ থেকে অন্য জনের ব্রাশে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি এক পাত্রেই রাখতে হয়, তবে ব্রাশে অবশ্যই ঢাকনা পরিয়ে রাখুন।