কোরবা: ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। শহরের মাঝখানে খালে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। একজনের লাশ মিললেও, বাকিদের খোঁজ চলছে৷
মা ও মেয়েরা স্নান করতে গেলে ঘটে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি৷ মেয়েকে জলে ডুবতে দেখে মাও খালের জলে ঝাঁপ দেন। জেলা প্রশাসন মায়ের লাশ উদ্ধার করলেও ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও শিশুদের সন্ধান পায়নি। তা দেখে পরিবারের লোকজন ও লোকজনের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যেই প্রাণ গেল ছেলের, অন্ধ বাবা মা জানতেই পারল না! বিস্তারিত জানুন
তারা থানা ঘেরাও করে সড়ক অবরোধ করে। তারা খালে জল কমানোর দাবি জানিয়েছে। জেলা ও পুলিশ প্রশাসন জনগণকে বুঝিয়ে কোনও মতে বিষয়টি শান্ত করে। এ ঘটনার পর গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাড়ির লোকজনের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। খালে শিশুদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
২৮ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় এই ঘটনা ঘটে। শহরের মাঝখানে এক খাল রয়েছে৷ তার জলেই ডুবে মৃত্যু হয়েছে সবার৷ এ দৃশ্য দেখে মানুষ হতবাক হয়ে যায়। তারা কেউ তাদের সাহায্য করতেও এগিয়ে আসেনি৷ শিশুদের ডুবে যেতে দেখে নিজেকে থামাতে পারেননি মা৷ ঝাঁপিয়ে পড়েন খালের জলে৷ জানা গিয়েছে তাঁর সুষমা মানিকপুরী। তিনি ঝাঁপ দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। লোকজন ওই মহিলাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সকে ঘটনাটি জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তিনজনকে খুঁজতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: ফিল্ড ট্রিপে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে মদ্য পান শিক্ষকদের, ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভ প্রকাশ অভিভাবকদের
পুলিশ জানতে পেরেছে, খালের জলে যারা ডুবেছে তাদের বয়স এমন কিছু নয়৷ ১৪ বছরের মেয়ে ও ৮ বছরের ছেলে। এ ক্ষেত্রে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত শিশুদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তা দেখে পরিবারের সদস্য ও লোকজন খালে জল কমানোর দাবি জানান। তারা পুলিশ পোস্ট ঘেরাও করে। মানুষ রাস্তা অবরোধ করে।
লোকজনের অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। খালের জলও কমছে না। লোকজন জানায়, সুষমা তার সন্তানদের নিয়ে দারি রোডের প্রধান সড়ক রাতাখার জোদা সেতুর কাছে স্নান করতে গিয়েছিল। এসময় শিশুরা ভেসে গেলে তিনিও ঝাঁপ দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুই যুবক তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, তা সফল হয়নি। এক কিলোমিটার দূরে ওই মহিলার লাশ পাওয়া যায়।