কোচবিহার: কালী পুজোর আর মাত্র কিছুটা সময় বাকি। তাই তো বর্তমান সময় জেলার প্রতিটি প্রতিমা কারখানায় ব্যস্ততা রয়েছে একেবারে চরমে। জেলার প্রতিমার পাশাপশি ভিন রাজ্যের প্রতিমার অর্ডার ডেলিভারি দিতে গিয়ে কার্যত নাজেহাল পরিস্থিতি প্রতিমা শিল্পীদের। এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু প্রতিমার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। পড়েনি রঙের প্রলেপ। তাই চাপের মুখে কাজ করতে হচ্ছে শিল্পীদের। মূলত আবহাওয়ার খামখেয়ালির ফলেই এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে শিল্পীদের।
জেলার এক প্রতিমা শিল্পী পুলক পাল জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি প্রতিমা তৈরির সঙ্গে যুক্ত। জেলার একাধিক ভাল মানের পুজোর প্রতিমা তৈরির জন্য অর্ডার পান তিনি। তবে এর সঙ্গে কিছুটা বাড়তি চাপ যুক্ত হয়েছে। ভিন রাজ্যে অসম থেকে এসেছে প্রতিমার অর্ডার। ফলে কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁকে। মাঝে কয়েকদিন আবহাওয়ার খামখেয়ালির ফলে চাপ বেড়েছে অনেকটাই। বেশ কিছু প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়নি এখনও। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন তিনি এবং অন্যান্য প্রতিমা শিল্পীরা।
আরেক প্রতিমা শিল্পী গোবিন্দ দাস জানান, এবার আনুমানিক ৫০টির বেশি বড় প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে কারখানায়। তাই একটানা কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া এখনও শেষ হয়নি সমস্ত কাজ। তাই চাপ বাড়ছে ক্রমাগত। আগামীকাল থেকে অর্ডার নিতে আসবেন পুজো কমিটির লোকেরা। তাই রাতের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে বেশিরভাগ প্রতিমার। বেশ কিছু কাজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে বিকেলের মধ্যে সম্পূর্ণ সম্পন্ন করা হবে। তাই কথা বলার সময়টুকু করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তবে এবার ভিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি প্রতিমা থাকায় কিছুটা খুশি তাঁরা।
জেলার প্রতিমা কারখানাগুলিতে ভিন রাজ্যের প্রতিবার অর্ডার আসে যৎসামান্য। তবে এবার দুর্গা পুজো থেকে বেশ ভাল পরিমাণ অর্ডার এসেছে প্রতিমা কারখানাগুলিতে। ফলে অনেকটাই খুশি প্রতিমা শিল্পীরা। এখন দ্রুত কাজ শেষ করে প্রতিমার অর্ডার ডেলিভারি দেওয়াই মূল লক্ষ্য প্রতিমা শিল্পীদের। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করে চলেছেন তাঁরা।
সার্থক পণ্ডিত