কলকাতা: আইপিএল ২০২৫ মেগা নিলামের আগে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্লেয়ার্স রিটেনশন লিস্ট জমা দিতে হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। এবার রিটেনশন নিয়মে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। দলগুলোর কাছে ‘রাইট টু ম্যাচ’ বিকল্প থাকবে।
কিছু ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন, এই নিয়মটি কী এবং এটি কীভাবে কাজ করবে! কীভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলামে আরটিএম ব্যবহার করে তাদের দলে খেলোয়াড় যোগ করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক…
আরও পড়ুন- KKR News: শ্রেয়সকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেকেআরের! পরিকল্পনা অবাক করা নাইটদের!
প্রথম নিয়ম হল, একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ৬ জন খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন খেলোয়াড়কে ক্যাপ করা যাবে, আর সর্বোচ্চ ২ জন খেলোয়াড়কে আনক্যাপ করা যাবে।
RTM-মানে রাইট টু ম্যাচ। ২০১৭ সালে এটি চালু করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২২ সালের মেগা নিলামে সেটি অপসারণ করা হয়। এখন আবার তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই নিয়ম ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে এমন একজন খেলোয়াড়কে কেনার অনুমতি দেয় যে গত মরসুমে সেই দলের একজন ছিল।
দল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর যখন একজন ক্রিকেটার নিলামের জন্য আসেন, তখন অনেক দল তাঁর জন্য বিড করে। বিড করার পর রিলিজিং টিমকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তারা ওই প্লেয়ারের জন্য RTM ব্যবহার করতে চায় কিনা! অর্থাৎ আগের মরসুমে যদি কোনও দলের কোনও খেলোয়াড় নিলামে বিক্রি হন, তা হলে সেই দল একটি ‘আরটিএম কার্ড’ পায়।
এর মানে সেই প্লেয়ারকে ফের কিনতে পারবে ওই দল। এক্ষেত্রে, যদি পুরানো দল এটি ব্যবহার করে, তবে তাকে সেই খেলোয়াড়ের জন্য নিলামে রাখা শেষ বিডের সমান পরিমাণ দিতে হবে।
আরও পড়ুন- কেকেআর ৩ জনকে কিনবে আরটিএম কার্ড ব্যবহার করে! তালিকায় চমকে দেওয়া সব নাম
যদি পুরানো দল আরটিএম ব্যবহার না করে তবে শেষ বিডিং দল সেই খেলোয়াড়কে কিনে নেবে। এই নিয়মটি আইপিএল ২০২৫-এর উত্তেজনাও বাড়িয়ে তুলছে। এছাড়াও আইপিএল ২০২৫-এ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম রয়েছে। এবার প্রতিটি দলের বাজেট থাকবে ১২০ কোটি টাকা।
যে সকল খেলোয়াড় ৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি বা অবসর নিয়েছেন তাদেরকে আনক্যাপড খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হবে।