প্রতীকী ছবি৷

Boyfriend Tortures Girlfriend: বান্ধবীকে মুম্বই থেকে পাটনায় ডাকে প্রেমিক, বিহারে অত্যাচারের শিকার হাওড়ার যুবতী! বিস্তারিত জানুন

পাটনা: ফের একবার বিহারের রাজধানী পাটনায়  খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর কদমকুয়ান এলাকায় বান্ধবীকে গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মেয়েটি তার প্রেমিক ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে।

মেয়েটি জানায়, বিয়ের অজুহাতে তাকে মুম্বই থেকে পাটনায় ডাকা হয়েছিল। নির্যাতিতা কলকাতার বাসিন্দা। ভিকটিমের বয়ানের ভিত্তিতে কদমকুয়ান থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রেমিকের বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে, অথচ প্রেমিক বর্তমানে পলাতক।

আরও পড়ুন: বান্ধবী অন্য ছেলের সঙ্গে পার্কে ঘুরছে! প্রশ্ন করতেই নতুন প্রেমিকের কাছে মার খেল পুরনো প্রেমিক

পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দীপক কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যে একটি প্রাইভেট হোস্টেলে থাকে। এসময় সে তার বন্ধু শ্রাবণ কুমারের সাথে মিলে মেয়েটিকে তার লালসার শিকার করে। কোল্ড ড্রিংকে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে দুজনেই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক দীপক পলাতক রয়েছে। শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষাও করেছে। কদমকুয়ান থানায় নির্যাতিতার দেওয়া আবেদন অনুসারে, মেয়েটি কলকাতার হাওড়ার বাসিন্দা, কাজের জন্য মুম্বইয়ে থাকতেন। তিনি তার প্রেমিক দীপকের আমন্ত্রণে ২০ অক্টোবর পাটনায় এসেছিলেন। বিয়ের অজুহাতে পাটনায় ডেকে নিয়েছিল দীপক। সেখানে আসার পর সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি বেসরকারি মেয়েদের হোস্টেলে থাকত। দীপক ও শ্রাবণ যৌথভাবে এই আয়োজন করেছেন। নির্যাতিতা জানায়, পাটনায় আসার দ্বিতীয় দিন হঠাৎ করেই দীপক তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন: ডালিয়া খেতেই সর্বনাশ, মৃত দুই মহিলা! বিষক্রিয়ার শিকার একাধিক

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দীপক মোবাইলটি বন্ধ করে নিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটি ভয় পেয়ে যায়। একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও দীপকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর মেয়েটি তার বন্ধু শ্রাবণ কুমারের সাথে দেখা করে তাকে খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নির্যাতিতা শ্রাবণ কুমারের সাথে ফোনে কথা বলে।

শ্রাবণ কুমার ভিকটিমকে প্রাইভেট বয়েজ হোস্টেল রুমে ডেকে পাঠান, এরপর ২৭ অক্টোবর ভিকটিম শ্রাবণ কুমারের সাথে দেখা করতে আসেন। সেখানে শ্রাবণ কুমার প্রতারণা করে তার ঠান্ডা পানীয়তে ওষুধ মিশিয়ে পান করায়। যার কারণে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। নির্যাতিতা জানায়, এরপর দুজনে মিলে তাকে ধর্ষণ করে।