পুরুলিয়া: নানান ঐতিহাসিক স্মৃতিতে মোড়া জঙ্গলমহল পুরুলিয়া। এই জেলা অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। তারই মধ্যে অন্যতম ঝালদা শহরের শিলফোড় পাহাড়ের গভীরারণ্যে মাঝে অবস্থিত শিলফোড় পাহাড়ের মন্দির। লোকমুখে প্রচলিত আছে পরাধীন ভারতে বিপ্লবীরা এই পাহাড়ের অরণ্যে আশ্রয় নিতেন। এখান থেকেই তারা স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বিপ্লবী সত্যকিঙ্কর দত্তের হাত ধরেই পাহাড় চূড়াতে অস্থায়ী মন্দির স্থাপন করে শুরু হয়েছিল মাতৃ আরাধনা। পরে ঝালদার জমিদার রায়সাহেব প্রেমচাঁদ মোদকের নিজ উদ্যোগে মন্দির নির্মাণ করে পুজো শুরু হয়।
দিন বদলেছে, বদলে গিয়েছে সময়ও। লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তবে ইতিহাসের গন্ধ মেখে থাকা পাহাড়ের ওই কালীপুজো আজও অম্লান। ঝালদা শহরের পাশাপাশি আশেপাশের গ্রাম থেকেও অনেকেই এই পুজো দেখতে আসেন। বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ফের বড় বদল! ভাইফোঁটাতে বড় সতর্কতা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ! আবার ভারী বৃষ্টিপাতের পালা? বার্তা IMD-র
১৩০-টির মত সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হয় চূড়ায়। পুজোর সময় বাহারি আলোর বাহারে যেন প্রাণ ফিরে পায় শীলফোড়। সত্তরের দশকে এলাকার তৎকালীন সাংসদ দেবেন্দ্রনাথ মাহাতোর হাত ধরে পাহাড়ের সৌন্দর্যায়ন হয়। সে কথা এলাকার অনেকেরই মুখে মুখে ফেরে।
আরও পড়ুন: ভূত চতুর্দশীর ভুতুড়ে দুপুরে আজও গা ছমছম? কী ঘটেছিল বাংলার এই স্টেশনে? সত্যি জানলে হাড়হিম হয়ে যাবে!
আগে বলি প্রথা থাকলেও বর্তমানে এই পুজো হয়ে আসছে বৈষ্ণবমতে। বর্তমানে এই পুজো সর্বজনীন পুজো হয়ে গিয়েছে। সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় থানাও। কালীপুজোয় অন্নকূট হয় ঝালদা থানাতেই। দীপাবলির আালোর রোশনাইয়ে সেজে ওঠে পাহাড়ের উপরের কালীমন্দিরও।
অনেকেই কালীপুজোর সময় অফবিট ডেস্টিনেশনের সন্ধানে থাকেন। তাদের জন্য আদর্শ একটি জায়গায়টি। ঘন অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ের টিলায় কালীপুজো হয় এখানে। রাতের বেলায় অন্যরকম অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ উপভোগ করা যায়। তাই অনেকেই এই শিলফোড় পাহাড়ের কালীপুজো দেখতে আসেন, পুজোর আমেজ চলে প্রায় সাতদিন ধরে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি