#কলকাতা: লকডাউনের পরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতেই প্রথমেই শুরু হয়েছিল টেলিভশনের কাজ।এবারে শুরু হতে চলেছে নতুন বাংলা ছবি sos kolkata’। প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে মিমি, যশ এবং নুসরতকে।ছবির পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষ।মূলত সন্ত্রাসবাদ থেকে নিজের দেশকে বাঁচানোর গল্প বলবে এই ছবি।এই মাসের ৬ তারিখ থেকে শুরু শুটিং।
সবটাই চিন্তা ভাবনা থেকে এক্সেকিউশন শুরু হয়েছিল লকডাউনের মধ্যেই। তবে যেটা আরও বেশি করে অবাক করে দেবে তা হল, মাত্র ২৫ বছর বয়সেই জারিক এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার এবং এই ছবির প্রযোজক হয়ে গিয়েছেন টেলিভিশন ও ছবির পরিচিত মুখ এনা সাহা।কী করে সম্ভব হলো এটা? “দেখ এতটা সময় হাতে পেয়েছি তাই সবাই যখন টিক টক করতে ব্যস্ত তখন আমি লেগে পরি আমার স্বপ্নপূরণে।আজ ৯ বছর ধরে আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি।বয়সে ছোট হলেও আমার অ্যাম্বিশন আমি সবসময়ই স্থির রেখেছিলাম।তাই লকডাউনের মধ্যেই প্রোডিউসার হওয়ার যে স্বপ্ন তা পূরণ করে ফেললাম।তৈরি করলাম জারিক এন্টারটেইনমেন্ট।”জানান এনা সাহা।
কিন্তু প্রযোজক হব বললেই তো আর হলনা। চাই বিশাল অর্থ? এখনও এই ছবির বাজেট ২.৫ কোটি ধরা হয়েছে। যা বাড়তে পারে।সেটা কী ভাবে সম্ভব করলেন এনা? এবারে নিজেকে খানিকটা গুছিয়ে নিয়ে এনা বললেন”এই কোম্পানিতে শুধু আমার একার টাকা নেই। আমার পরিবারের অনেকেই এখানে ইনভেস্ট করেছেন। এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলিও আছেন যারা আমার ওপরে ভরসা করে আমার এই প্রথম প্রজেক্টে আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। তা ছাড়া অংশুমান প্রত্যুষ ও এই ছবির সহ প্রযোজনাও করছেন।”
প্রথম অফারটা যখন তোমার থেকে মিমি, নুসরত বা যশের কাছে গেল ওদের কী রিঅ্যাকশন ছিলো?… “নানা প্রথমে তো ওরা জানতই না আমি এই ছবির প্রযোজনা করছি।সবটাই আমি পরিচালকের ঘাড়ে ফেলে দিয়েছিলাম।যখন সব ফাইনাল হয়ে গেছে তখন ওরা জানতে পেরেছে।” বলে খুব জোরে হেসে ওঠেন এনা।
এনা নিজেও ছবিতে একটা ইন্টারেস্টিং চরিত্রে রয়েছেন। ছবির গল্প অংশুমান প্রত্যুষের নিজের।তাই এই লকডাউনের মধ্যেই বেশ ভালো মতন বসে কাজ এগিয়ে নিয়েছিলেন এনা এবং অংশুমান।মিমি, নুসরত, যশ ছাড়াও শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়,সব্যসাচী চক্রবর্তী,রূপা ভট্টাচার্য আর্য দাসগুপ্তর মতন শিল্পীরাও রয়েছেন ছবিতে। মোট ২৩ দিন এই শহরেই শ্যুটিং চলবে এই ছবির।ছবির সঙ্গীত করছেন স্যাভি।
করোনা কাঁটা সঙ্গে নিয়েই যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে মরিয়া সবাই তখন সব স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কাজ হবে sos kolkata’র।বলিউড থেকেও রয়েছে এক চমক এই ছবিতে যা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাইছেন না প্রযোজক বা পরিচালক।
হলে কবে মুক্তি পাবে ছবি? কবে সব স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে কী ott প্ল্যাটফর্মকেই বেছে নেবেন প্রযোজক? তাতে একেবারে যেন সোজা উত্তর প্রযোজক এনার “একেবারেই না।এটা আমার প্রথম প্রজেক্ট তাই প্রেক্ষাগৃহেই এই ছবি মুক্তি পাবে।সময় লাগলেও আমি অপেক্ষা করতে প্রস্তুত।”