#বেঙ্গালুরু: ক্রিকেট জীবনে যখনই দল বিপদে পড়ত,একা কুম্ভ হয়ে রুখে দাঁড়াতেন তিনি। একবার ব্যাট হাতে যদি উইকেটে সেট হয়ে যেতেন মাথা খুঁটে মরতে হত বোলারদের। পাকিস্তানের শোয়েব আখতার কিংবা অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়া, সচিনের থেকে এঁরা কেউ রাহুল দ্রাবিড়কে পিছিয়ে রাখতে রাজি নন। ভিভিএস লক্ষণকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইডেনে অতিমানবিক ইনিংস হোক বা অ্যাডিলেডে গ্লেন ম্যাগ্রা, ম্যাক গিল,গিলেসপিদের শাসন করে লড়াকু শতরান, তাঁর সোনা দিয়ে বাঁধানো ক্যারিয়ারে এরকম অসংখ্য ইনিংস রয়েছে। দলের প্রয়োজনে যেমন উইকেটরক্ষা করেছেন, তেমনই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গৌতম গম্ভীর চোটের কারণে ওপেন করতে না পারলে নিজে ওপেন করেছেন, ওভালে শতরান করে দলের জয়ের মঞ্চ তৈরি করেছেন।
509 international caps
24,208 international runs
48 international tons
Most catches (210) in Tests
Over 10,000 runs in both Tests & ODIsWishing Rahul Dravid – former India captain & one of the finest batsmen to have ever graced the game – a very Happy Birthday ?? pic.twitter.com/X2E181x5jK
— BCCI (@BCCI) January 11, 2021
স্লিপে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। পৃথিবীর একমাত্র ব্যাটসম্যান যাঁর একদিনের ম্যাচে দুটো তিনশোর ওপর পার্টনারশিপ রয়েছে। টেস্ট এবং একদিনের ম্যাচ দুটোতেই দশ হাজারের ওপর রান রয়েছে ঝুলিতে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাওয়ালপিন্ডির মাঠে দ্বিশতরান অন্যতম সেরা। তবে রাহুল দ্রাবিড়কে শুধুমাত্র পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার করা উচিত নয়। দলের কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি যতবার ভরসা দিয়েছেন অন্য কেউ দেননি। বহুবার লাইমলাইট কেড়ে নিয়ে গেছেন অন্য ক্রিকেটার, তিনি পার্শ্বচরিত্র হয়ে থেকে গিয়েছেন। একদিনের ম্যাচে সচিন, সৌরভ ফিরে গেছেন, বিপক্ষ দল ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেছে, কিন্তু রাহুল দ্রাবিড় একাই সেই ম্যাচের রং বদলে দিয়েছেন। এমন ঘটনা একবার, দুবার নয়, বহুবার ঘটেছে।
More than 10,000 runs in Tests and ODIs
? 194 fifty-plus scores
? Most Test catches by a non-wicketkeeper
? Most balls faced in Test cricket
? Only player to be involved in two 300-plus ODI partnershipsHappy birthday to the incredible Rahul Dravid ? pic.twitter.com/YeSVrSwlbT
— ICC (@ICC) January 11, 2021
শোয়েব একবার জানিয়েছিলেন রাহুল সেট হয়ে গেলে তিনি কেন, ব্রেট লি, শেন বন্ড থেকে শুরু করে পৃথিবীর তামাম ফাস্ট বোলাররাও কিছু করতে পারত না। এতটাই জমাট ছিল দ্রাবিড়ের ডিফেন্স। সতীর্থদের কাছে মানুষ হিসেবেও ততটাই গ্রহণযোগ্য এই কর্ণাটকী। প্রায় নয় বছর আগে অবসর নিয়েছেন। কোচ হিসেবেও নজরকাড়া পরিসংখ্যান। ভারতের অনূর্ধ্ব উনিশ দল থেকে শুরু করে ভারতীয় ‘এ’ দল, এনসিএ-র হেড কোচ, সব দায়িত্ব সামলেছেন সাফল্যের সঙ্গে। আধুনিক প্রজন্মের কে এল রাহুল থেকে শুভমান গিল,এঁরা প্রায় প্রত্যেকে তালিম নিয়েছেন দ্যা ওয়ালের হাতেই। শুধু টেকনিক নয়, মানসিকতা কী রাখতে হবে সেটাই জুনিয়রদের শিখিয়েছেন তিনি। অনেকেই ক্রিকেটের ‘পারফেকশনিস্ট’ বলে ডাকেন তাঁকে। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে এই প্রজন্মের ক্রিকেটার সকলেই রাহুল দ্রাবিড়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।