#বেঙ্গালুরু: করোনার দাপটে জীবন ধারায় আমূল পরিবর্তন এসেছে, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং অনলাইন ক্লাস। ডিজিট্যাল মিডিয়ার সুবাদে মুঠোফোনের মাধ্যমেই ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে বসে অনালাইনে স্কুল করছে। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রাম বা সমাজে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষ সেই সুবিধা ভোগ করতে পারছেনা। সুতরাং যাঁদের স্মার্টফোন কেনার মতন আর্থিক অবস্থা নেই তাঁদের জন্য এমআই ইন্ডিয়া সংস্থা বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের সহযোগিতায় #ShikshaHarHaath উদ্যোগটি চালু করতে চলেছে।
দেশের কোনও শিক্ষার্থী যেন অনালাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত না হয়। ডিজিটাল বিভাজন ঘটাতে এবং সমাজের দুর্বল অংশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শেখার ক্ষেত্রে অ্যাক্সেস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগটি বাচ্চাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করার পথটিকে আরও সুপ্রসারিত করবে। সংস্থাটি দাবি করেছে যে প্রচারটি একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা হবে যেখানে শেষ লক্ষ্যটি হবে ‘সকলের জন্য শিক্ষা’। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে যে, স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী এই সংস্থাটি সারা দেশে প্রায় হাজার খানেক রেডমি স্মার্টফোন শিক্ষার্থীদের অনুদান করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
এই অনবদ্য উদ্যোগটির অংশীদার হতে পারবেন আপনিও। তার জন্য আপনাকে পুরনো এমআই মোবাইল, যেটা ঠিকঠাক কাজ করছে যে কোনও এমআই সেন্টারে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। সেই মোবাইলগুলোকে আবার পুনরায় ঠিক করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। একটি মাইক্রোসাইট চালু করা হয়েছে যাতে গ্রাহকরা তাঁদের স্মার্টফোন বন্দক রাখতে পারেন।এমআই ইন্ডিয়া শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। যেসব শিক্ষার্থীদের সত্যিই স্মার্টফোনের দরকার রয়েছে তাঁদেরকে চিহ্নিত করার জন্য থার্ড পার্টি এজেন্সি গুলির সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছে।
We’re gearing up to empower kids across India.#MiForIndia ??
5000+ smartphones have already been pledged!Really thankful to all our Mi Fans for their amazing support to the #ShikshaHarHaath initiative.
Join @SonuSood & Mi & pledge your support: https://t.co/FoEjIyYCVW
I ❤️#Mi pic.twitter.com/8VOFhGLfcC
— Manu Kumar Jain (@manukumarjain) January 28, 2021
এমআই ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনু জৈন বলেছেন, “দেশে প্রায় ২৫-৩০% লোকের কাছে স্মার্টফোন বা কোনও উন্নত ডিভাইস নেই। কোভিডের এই দুঃসময় আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে স্মার্টফোনের অভাবের কারণে কোনও শিশুর পড়াশোনার ক্ষতি হওয়া উচিৎ নয়। #ShikshaHarHaath এই উদ্যোগটি সকল শিক্ষার্থীর পড়াশোনার বিষয়টিকে নিশ্চিত করে”।তিনি আরও বলেন, “পূর্বে সোনু সুদ অনেক সামাজিক কাজ কর্ম করেছেন। তাই এই উদ্যোগটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতে পারিনা। সংস্থার ভাবমূর্তি আরও জোরদার করার জন্য আমরা সোনু সুদকে বেছে নিয়েছি”। এছাড়াও তিনি বলেন, “সোনু সুদকে আমরা পাশে পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত। করনাকালে তাঁর অসাধারণ অবদানের সঙ্গে তিনি কেবল দরিদ্রদেরই সাহায্য করেননি, তাঁর জন্য একটা আন্দোলন ছিল, যা সবাইকে আনন্দ দিয়েছে। আমরা আশা করছি এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারব”।
সোনু সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “শিক্ষার ক্ষেত্রে সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে, এমন প্রতিটি ব্যক্তির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব। উদ্দেশ্য একটাই, অনলাইন শিক্ষার সময় শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করা”।