#মুম্বই : শোক যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে সায়রা বানুকে (Saira Banu)। কিন্তু তার মধ্যেও কর্তব্য ও সৌজন্যে কোনও খামতি নেই। স্বামী দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) মতোই সবসময় সব দিকে লক্ষ্য তাঁর। ৯৮ বছরের দিলীপ কুমারের স্বাস্থ্যের প্রতিটি আপডেট দিয়েছেন বরাবর। স্বামী-হারা হয়ে এই টালমাটাল শোকেও কিন্তু সেই স্বভাব ছাড়েননি সায়রা বানু। প্রবীন অভিনেত্রী সায়রা বানু (Saira Banu) কাল দিলীপের মৃত্যুর পরে অনেক শুভাকাঙ্খীর কাছ থেকেই পেয়েছেন সহানুভূতির ফোন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। স্বান্তনা জানাতে দিলীপ জায়াকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ ধন্যবাদ জানালেন সায়রা বানু।
বুধবার কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর সায়রা বানুকে নিজে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকবার্তা জ্ঞাপনের জন্য। বলিউড আইকন হিসেবে পরিচিত এই অভিনেতা বুধবার ৯৮ বছরে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে প্রয়াত হন। দিলীপ কুমারের অফিসিয়াল ট্যুইটার থেকে একটি ট্যুইট করেন সায়রা। তাতে লেখেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি অত সকালে ফোন করে কথা বলার জন্য এবং শোকবার্তা দেওয়ার জন্য– সায়রা বানু খান।’
Thank you hon’ ble @PMOIndia Shri @narendramodi ji for your early morning gracious phone call and condolences. -Saira Banu Khan ? https://t.co/85N7DYOL48
— Dilip Kumar (@TheDilipKumar) July 7, 2021
দিলীপ কুমারের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর একটি ট্যুইটও করেন মোদি। আর সেটার উত্তরেই সায়রার এই ট্যুইট। মোদি তাঁর ট্যুইটে লিখেছিলেন, ‘একজন চলচ্চিত্র কিংবদন্তি হিসেবেই দিলীপ কুমারজি-কে মনে রাখা হবে। অসামান্য প্রতিভাধর ছিলেন বলেই তাঁর অভিনয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বুঁদ হয়েছিলেন। ওঁর চলে যাওয়াটা আমাদের সংস্কৃতি জগতের পক্ষে বিরাট ক্ষতি। তাঁর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও অসংখ্য অনুরাগীদের জন্য সমবেদনা রইল।’
অপর একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে-কে ধন্যবাদ জানিয়ে সায়রা বানু লেখেন, ‘দিলীপ কুমারের শেষযাত্রায় তাঁকে স-সম্মানে রাজ্য়ের নিয়ম মেনে শেষ বিদায় জানানোর জন্য ধন্যবাদ।’ জুহুর কবরস্থানে দিলীপ কুমারকে কবর দেওয়া হয় তাঁদের পারিবারিক বন্ধু ফয়সল ফারুকি, দিলীপ কুমারের ভাইপো আয়ুব খান, সায়রা বানুর কিছু আত্মীয় ও কাছের বন্ধুদের উপস্থিতিতে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেছে কবরস্থানে ২৫-৩০ জনর প্রবেশের অনুমতি থাকলেও দুই পরিবারের কাছের আত্মীয়, মিডিয়া ও অভিনেতার অনুরাগীদের মিলিয়ে সেই সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে সবটুকুই পুলিশি প্রহরায় শান্তিপূর্ণভাবে করতে সক্ষম হয়েছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন।