#নয়াদিল্লি: দীপাবলিতে বড় উপহার পেল ভারত। কোভ্যাকসিনকে অবশেষে জরুরিকালীন ভাবে ব্যবহারের জন্য মান্যতা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (Covaxin got WHO approval) কারিগরি উপদেষ্টা বিভাগ। এই স্বীকৃতির কথা হু-এর তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্যানেলের তরফে শেষ সপ্তাহে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল ভারত বায়োটেকের কাছে। সন্তুষ্টিজনক তথ্য পেয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে হু। হু-র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক ডিরেক্টর পুনম সিং ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে এই ইমারজেন্সি ইউজ লিস্টিং বা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ট্যুইট-
? WHO has granted emergency use listing (EUL) to #COVAXIN® (developed by Bharat Biotech), adding to a growing portfolio of vaccines validated by WHO for the prevention of #COVID19. pic.twitter.com/dp2A1knGtT
— World Health Organization (WHO) (@WHO) November 3, 2021
গত ২৬ অক্টোবর কারিগরি উপদেষ্টা বিভাগের তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকের পরেই ভারত বায়োটেকের থেকে কোভ্যাকসিন বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়। কোভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছিল তার কার্যকারিতা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। সংস্থার তরফে জানানো হয়, উপসর্গযুক্তদের ক্ষেত্রে এর কার্যকরিতা ৭৭.৮ শতাংশ। দিলটা ভেরিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে এর কার্যকরিতা ৬৫.২ শতাংশ। জুন মাসেই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, তৃতীয় দফার ট্রায়ালের শেষে চূড়ান্ত সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে এসে গিয়েছে।
শেষ সপ্তাহে জেনেভায় জি-২০ সামিট এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং হু-র প্রধান ট্রেডর্স আধানম গেব্রিয়াসিসকে অনুরোধ করেন কোভ্যাকসিনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। তিনি জানান, ভারত এই মুহূর্তে প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম। গোটা বিশ্বকে ভারতের এই পরিকাঠামো কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে। এই কারণেই তিনি তড়িঘড়ি ভ্যাকসিনের সবুজ সঙ্কেত চাইছেন।
ভারতের সর্বাধিক জনপ্রিয় দুটি ভ্যাকসিন হলো ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উৎপাদিত কোভিশিল্ড। হু ইতিমধ্যেই ফাইজার, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন মডারেনা এবং সিনোফার্মের ভ্যাকসিনকে জরুরীকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে।