#লন্ডন: শুধু ফুটবল আইকন হিসেবে তাকে দেখা বোধহয় ঠিক নয়। তিনি একজন গ্লোবাল আইকন। অনেকে তাকে নিজেদের ঘরের ছেলে মনে করেন। কেউ বা লড়াই এর প্রতীক হিসেবে দেখেন। তার হার না মানা মানসিকতা অনেকের জীবনের শিক্ষা। তিনি অনেকের বেঁচে থাকার অক্সিজেন’। রাত জেগে ফুটবল দেখার নেশা। ফুটবল মাঠে তার পেশাদার জীবনের বাইরেও, ক্যাসানোভা জীবন নিয়ে মানুষের জানার ইচ্ছে কম নয়।
আরও পড়ুন – Hira Mondal : ইস্টবেঙ্গলের হীরের দিকে নজর এটিকে মোহনবাগানের! দুরন্ত ছন্দে বাঙালি ফুটবলার
ফুটবল মাঠে তাঁর দাপট দেখানোর অভ্য়াস এখনও অব্যাহত। তবে শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও সমান ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার একেবারে শিখর ছুঁয়ে ফেললেন। ঠিক ধরেছেন। কথা হচ্ছে এক এবং একমাত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। তথ্য বলছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা বর্তমানে গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। যা এককথায় অবাক করার মতো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই অ্যাকটিভ সিআর সেভেন। ফলে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যাও নিয়মিত বাড়ে। যা একেবারে চারশো মিলিয়নের গণ্ডি পার করে ফেলল। যদি ভাবেন, একাধিক সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে এই সংখ্যাটা হয়েছে, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ ভুল। শুধুমাত্র ইনস্টাগ্রামেই অনুরাগীদের এতখানি ভালবাসা পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকার ফলোয়ারের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৪০ কোটিতে।
With over 400 million followers on Instagram, Cristiano Ronaldo now has twice as many followers as the 20 Premier League clubs combined (200 million). ? pic.twitter.com/uKDzRqkUUr
— Football Tweet ⚽ (@Football__Tweet) February 9, 2022
কাইলি জেনারকেও তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন সিআর সেভেন। বিশ্বে এই রেকর্ড আর কারও নেই। ঠিক যেমন মাঠে একাধিক অনন্য রেকর্ডের মালিক কেবল তিনিই। জনপ্রিয়তার নিরিখে তাঁর মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির ফলোয়ার বর্তমানে রয়েছে ৩০৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ কোটি ৬ লক্ষের আশপাশে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
ম্যান ইউ-তে যোগ দিয়ে যেন আরও বেশি ভালবাসা পেয়েছেন পর্তুগিজ স্ট্রাইকার। রোনাল্ডো ইনস্টাগ্রামে এখনও পর্যন্ত পোস্ট করেছেন ৩২৪২টি। মজার ঘটনা হল, অনুগামীর সংখ্যা যাই হোক না কেন, স্বয়ং রোনাল্ডো মাত্র ৫০১জনকে ফলো করেন। তার বেশি দেখার সময় কোথায় তাঁর! পর্তুগিজ মহাতারকা এই মুহূর্তে তার দল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবে খুব সুখে আছেন তেমন নয়।
কিন্তু বছর শেষে কাতার বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন সেটা নিশ্চিত। চেষ্টা করছেন নিজের ছেলেকে পেশাদার ফুটবলার তৈরি করার। বাবার দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। পাশাপাশি পর্তুগালের হয়ে কাতারে হয়তো নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন আধুনিক ফুটবলের অন্যতম সেরা।