ATKMB vs Hyderabad FC : সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হায়দারাবাদের কাছে তিন গোল হজম এটিকে মোহনবাগানের

হায়দারাবাদ এফসি -৩
এটিকে মোহনবাগান -১

#গোয়া: লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে জামশেদপুরের কাছে হেরেছিল এটিকে মোহনবাগান। আজ সেমিফাইনাল প্লে অফের প্রথম সাক্ষাতে সুযোগ ছিল
হায়দারাবাদকে হারানো। কিন্তু পারল না সবুজ মেরুন। উল্টে লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল তাদের। আজকের হারের দায় অনেকটাই কোচ হুয়ান ফেরান্ডোর ওপর বর্তাবে। তার ভুলভাল স্ট্র্যাটেজি এবং সঠিক দল নির্বাচন না করা অন্যতম হারের কারণ।

এগিয়ে গিয়েও লাভ হল না। আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে হায়দরাবাদের কাছে ১-৩ ব্যবধানে হেরে গেল এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণ সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দিলেও আক্রমণাত্মক হায়দরাবাদকে রুখতে পারলেন না জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। ফলে বুধবার দ্বিতীয় পর্বে কাজ অনেকটাই কঠিন মোহনবাগানের কাছে। শনিবার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। কোচ জুয়ান ফেরান্দো দলও সাজিয়েছিলেন সেভাবেই।

আক্রমণে সামনে রেখেছিলেন ডেভিড উইলিয়ামস এবং রয় কৃষ্ণ জুটিকে। বাঁ দিকে ছিলেন লিস্টন কোলাসো। মাঝমাঠে রেখেছিলেন জনি কাউকোকে। হুগো বুমোসকে প্রথম একাদশে রাখেননি। এতেই বোঝা গিয়েছিল, পুরো ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় হয়তো এখনও আসেননি ফরাসি মিডফিল্ডার। ১৪ মিনিটের মাথায় বড় সুযোগ পেয়েছিলেন জনি। কিন্তু লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমানির দক্ষতায় সে যাত্রায় বিপদ এড়ায় হায়দরাবাদ। তবে বেশিক্ষণ চাপ সামলাতে পারেননি।

চার মিনিট পরেই গোল খেয়ে যায় তারা। বাঁ দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে এসে বক্সে বল রেখেছিলেন লিস্টন। চলতি বলেই পা ছুঁইয়ে গোল করে যান কৃষ্ণ। গোল খেয়ে আরও চাপ বাড়ায় হায়দরাবাদ। এটিকে মোহনবাগানের বক্সে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে তারা। তার ফল পায় প্রথমার্ধের শেষের দিকে। অতিরিক্ত সময়ে সমতা ফেরান সেই বার্থোলোমিউ ওগবেচে।

ইয়াসির মহম্মদের কর্নার ভাল করে বিপন্মুক্ত করতে পারেনি মোহনবাগান ডিফেন্স। বল যায় জুয়াননের কাছে। তাঁর ক্রসে মাথা ঠেকিয়ে সমতা ফেরান ওগবেচে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর কিছু পরেই আক্রমণ বাড়ানোর লক্ষ্যে জোড়া বদল করেন ফেরান্দো। লেনি এবং ডেভিডকে তুলে নামান মনবীর এবং কার্ল ম্যাকহিউকে। কিন্তু এগিয়ে যায় হায়দরাবাদই। ৫৮ মিনিটে ওগবেচে বক্সে পাস দিয়েছিলেন। তা ক্লিয়ার করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয় প্রীতম এবং তিরির। ফাঁকায় বল পেয়ে গোল করে যান ইয়াসির।

তিরির চোট গুরুতর থাকায় তাঁকে তুলে নিয়ে বুমোসকে নামান ফেরান্দো। এই চোট সম্ভবত এটিকে মোহনবাগানের আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে করে দিয়েছিল। কারণ, তার কয়েক মিনিটের মধ্যে ফের গোল খায় তারা। কর্নার থেকে ভেসে আসার বলে হেড করেন জেভিয়ার সিভেরিয়ো। এর পরেও জনি একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে সেই শট বাইরে যায়।

আগামী বুধবার ফিরতি লেগে হায়দারাবাদকে ৩ গোলের ব্যবধানে হারাতে হবে এটিকে মোহনবাগানকে। কাজটা ফুটবলের বিচারে অসম্ভব না হলেও রীতিমতো কঠিন। বিশেষ করে ডিফেন্স এর তিরি যদি সেদিন খেলতে না পারেন তাহলে এটিকে মোহনবাগানের সব আশা শেষ এখনই বলে দেওয়া যায়।