Tag Archives: ATK Mohubagan

Mohun Bagan: মোহনবাগানের লক্ষ্য এখন এএফসি কাপ, জোর কদমে অনুশীলন শুরু সবুজ মেরুনে

কলকাতা: আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টার্গেট ছিল সুপার কাপ। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূর্ণ হয়নি এটিকে মোহনবাগানের। জামশেদপুরের কাছে হেরে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। সুপার কাপের ব্যর্থতা অতীত। আসন্ন এএফসি কাপই এখন পাখির চোখ এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দোর। আগামী ৩ মে কোঝিকোড়ে কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে মোহনবাগান।

আগামী সোমবার সকালে যুবভারতীতে অনুশীলনের পর কেরল উড়ে যাবে দল। সুপার কাপের ব্যর্থতার প্রভাব এএফসি কাপে যাতে না পড়ে, সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন বাগান কোচ। বুধবার সন্ধ্যায় অনুশীলেনও বেশ চনমনে দেখাল দিমিত্রি, লিস্টনদের। শুরুতে ওয়ার্ম-আপের পর ফুটবলারদের জন্য ফান-গেমের ব্যবস্থা করেছিলেন কোচ। তারপর চলল সিচুয়েশন প্র্যাকটিস।

আরও পড়ুন – Ronaldo Hotel: রোনাল্ডোর ৫০০ কোটির হোটেল নিয়ে নতুন সমস্যা! মন খারাপ পর্তুগিজ তারকার

সুপার কাপে মোহনবাগানের পাসিং ঝড় থামিয়ে জিতেছিল জামশেদপুর এফসি। তাই এদিন এই ব্যাপারে উন্নতি ঘটানোর দিকে জোর দিলেন স্প্যানিশ কোচ ফেরান্দো। প্রতিপক্ষ প্লেয়ারদের এড়িয়ে কীভাবে নিজেকে অরক্ষিত রাখা যায় তা বোমাসদের বোঝাচ্ছিলেন তিনি। অনুশীলনের শেষে চলল দিমিত্রিদের শ্যুটিংয়ের মহড়া। অনুশীলনে ফিরেছেন অজি ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হামিল

স্লাভকো ডামজানোভিচ ও তিরিও রয়েছেন। এএফসি কাপে প্রীতম, শুভাশিসদের পাশে ফেরান্দো কাকে খেলান সেটাই দেখার। জানা যাচ্ছে, পাল্লা ভারি স্লাভকোরই। সুপার কাপে তিরির পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন বাগান কোচ। তবে আগামী মরশুমের দল নিয়ে ৩ মে ম্যাচের পরই সিদ্ধান্ত নেবে ম্যানেজমেন্ট। নতুন মরশুমে কিছু নতুন ফুটবলার নেওয়া হবে, কাদের ছেড়ে দেওয়া হবে এই নিয়ে আলোচনা চলছে ভেতর ভেতর।

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার জেসন কমিংস সবুজ মেরুন জার্সি পড়বেন কিনা বোঝা যাবে কয়েকদিন পর। তার এজেন্টের সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে। পাশাপাশি অন্য বিদেশি স্ট্রাইকারের দিকেও নজর আছে ম্যানেজমেন্টের। আকাশ মিশ্র আসতে পারেন শোনা যাচ্ছে। এশিয়ান পর্যায়ে এর আগে এই টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গল সেমিফাইনাল খেলেছে, বেঙ্গালুরু ফাইনাল খেলেছে। মোহনবাগান এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলেছে। তবে এই মুহূর্তে তাদের একমাত্র লক্ষ্য এএফসি কাপে ভাল পারফর্ম করা।

Mohun Bagan: মোহনবাগানের সামনে আজ জামশেদপুর, জিতে শেষ চার পাকা করতে চান হুয়ান

কলকাতা: এই মুহূর্তে সুসময় চলছে মোহনবাগানের। ভারত সেরা হওয়ার পর দলটার খেলায় কোনও গা ঢিলেমি আসেনি। সুপার কাপের শুরুটা দুরন্ত হয়েছে এটিকে মোহন বাগানের। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে গোকুলাম এফসি’কে ৫-১ ব্যবধানে চূর্ণ করে হুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি। এফসি গোয়াকে ৫-৩ গোলে বশ মানিয়েছে ইস্পাতনগরীর দলটি।

ফলে এই ম্যাচ জিতে শেষ চারের পথে পা বাড়িয়ে রাখাই লক্ষ্য দুই দলের। তবে সাম্প্রতিক ফর্মের নিরিখে কিছুটা হলেও এগিয়ে বোমাস-দিমিত্রিরা। উল্লেখ্য, আইএসএলের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে জেএফসি’র বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল হুয়ান ফেরান্দোর দল। ফিরতি লেগে অবশ্য কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। তবে শুক্রবার বড় ব্যবধানে জয়ই পাখির চোখ এটিকে মোহনবাগানের। প্রথম ম্যাচে বিকাল পাঁচটায় খেলতে হয়েছিল বোমাসদের।

আরও পড়ুন – Simon Doull: পাকিস্তান যেন নরক! প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন ধারাভাষ্যকার

তবে শুক্রবার খেলা শুরু রাত সাড়ে আটটায়। তাই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে গত তিনদিন সন্ধ্যায় দল নিয়ে প্রস্তুতি সারেন কোচ ফেরান্দো। গোয়ার বিরুদ্ধে সেটপিস থেকে একাধিক আক্রমণ গড়েছিল জামশেদপুর।তাই গোকুলামের বিরুদ্ধে তাঁকে পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ফেরান্দো। তবে শুক্রবার শুরু থেকেই মাঠে নামতে পারেন অজি তারকা স্ট্রাইকার।

আইএসলে গোলের জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকত সবুজ-মেরুন জনতা। তবে গত ম্যাচে বোমাস, লিস্টন, মনবীর গোল পাওয়ায় দিমিত্রির চাপ অনেকটাই কমবে। গোকুলামের বিরুদ্ধে দল বড় ব্যবধানে জিতলেও কোনওরকম আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ ফেরান্দো। তিনি জানেন, একটা খারাপ ফল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিতে পারে। তাই ছেলেদের ফোকাস ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

সবুজ-মেরুন হেড কোচ জানান, ‘জামশেদপুরকে হাল্কা ভাবে নিলে চলবে না। গত ম্যাচের তুলনায় শুক্রবারের লড়াইটা কঠিন হবে। তবে ছেলেরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। গোয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও দল দুরন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ায় খুশি জামশেদপুর এফসি কোচ এইডি বুথরয়েড। তবে কেরলে গরম থাকলেও মোহনবাগান ফুটবলাররা সেসব পাত্তা দিতে রাজি নন। পাখির চোখ একটাই। জামশেদপুরকে হারিয়ে সুপার কাপের শেষ চার নিশ্চিত করা।

Mohun Bagan: সুপার কাপের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু মোহনবাগানের, ফিট হওয়ার লড়াই তিরি, জনির

কলকাতা: সামনেই সুপার কাপ। তাই আর প্রস্তুতি শুরু করতে দেরি করতে চান না মোহনবাগান কোচ। লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আই লিগ এবং আইএসএলের দলের বিপক্ষে খেলা হবে। লড়াইটা মোটেও সহজ নয়। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ফুটবলারদের দিন দশেকের ছুটি দিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগানের কোচ হুয়ান ফেরান্দো। তিনি নিজেও স্পেনে ছুটি কাটাতে যান।

এই পর্বে অবশ্য কলকাতায় রিহ্যাবে ব্যস্ত ছিলেন জনি কাউকো ও তিরি। রবিবার সকালের মধ্যে ছুটি কাটিয়ে শহরে ফিরছেন সব বিদেশিরাই। বিকেলে সল্টলেক স্টেডিয়ামের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। এই প্রতিযোগিতায় মোহনবাগানের প্রথম খেলা ১০ এপ্রিল। বাছাই পর্ব থেকে উঠে আসা একটি দলের বিরুদ্ধে সেদিন ফুটবলারদের পরখ করে নেবেন কোচ হুয়ান্দো।

আরও পড়ুন – Yuvraj: ধোনির থেকেও ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে যুবরাজের অবদান অনেক বেশি! বোমা ভাজ্জির

তারপর প্রীতম কোটাল-দিমিত্রি পেত্রাতোসরা খেলবেন যথাক্রমে ১৪ এপ্রিল (জামশেদপুর এফসি) ও ১৮ এপ্রিল (এফসি গোয়া)। এদিকে, গত এক সপ্তাহে কলকাতায় রিহ্যাব পর্বে তিরির পারফরম্যান্সে খুশি দলের ফিজিক্যাল ট্রেনার। তাঁর পাঠানো রিপোর্ট সন্তুষ্ট করেছে কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে। স্প্যানিশ স্টপারটিকে অনুশীলনে দেখে নিয়ে সুপার কাপে ব্যবহার করতে পারেন তিনি।

তবে জনি কাউকোর ফিট হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। জনি নিজে দলের সঙ্গে মিশে একটু একটু করে ফিট হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। দুই বিদেশির মধ্যে হামিল এবং গায়েগোকে ছেড়ে দিতে হতে পারে এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল। হুগো বুমু নিয়েও আলোচনা চলছে। একজন ভাল বিদেশি স্ট্রাইকার নিয়ে আসতে পারে সবুজ মেরুন। তবে সেটা সুপার কাপের পরে।

দুরন্ত জয়ে ৩ নম্বরে মোহনবাগান, জোড়া গোলে ওড়িশা বধের নায়ক দিমিত্রি

এটিকে মোহনবাগান – ২
( দিমিত্রি)

ওড়িশা এফসি – ০

#কলকাতা: এটিকে মোহনবাগান নকআউট এ যাবে কিনা তার অনেকটাই নির্ভর করেছিল শনিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচটার ওপর। ঘরের মাঠে মুম্বই এর কাছে হার, তারপর চেন্নাই গিয়ে ড্র – সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না সমর্থকরা। তাই এদিনের ম্যাচটা যে এটিকে মোহনবাগানের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটা বলাই বাহুল্য।

কোচ হুয়ান ফেরান্ডোর ওপর চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছিল। আজ প্রথম লিস্টন, পুইতিয়াকে দলে রাখেননি মোহনবাগান কোচ। তাদের বদলি হিসেবে গোয়া থেকে আসা গ্লেন মার্টিন্স এবং আশিক ছিলেন। গ্লেন দলে আসার ফলে মাঠের মাঝখানে বলের দখল রাখার ক্ষেত্রে এগিয়েছিল মোহনবাগান।

৩ মিনিটে লিড নেয় সবুজ মেরুন। মনবীরের ক্রস থেকে দিমিত্রির প্লেসমেন্ট জড়িয়ে যায় জালে। এর কিছুক্ষণ পর দিমিত্রির একটি বুদ্ধিদীপ্ত শট বাঁচিয়ে দেন ওড়িশার গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়টা দাপট বেশি ছিল মোহনবাগানের। বিরতির পরেও জারি থাকলেও সবুজ মেরুনের প্রেসিং ফুটবল।

ওড়িশাকে বল পেলে বেশি সময় না দেওয়াই আজ লক্ষ্য ছিল প্রীতম, শুভাশিস, আশিষদের। ম্যাক হিউ অসাধারণ খেললেন। ৬১ মিনিটে দুটি পরিবর্তন নিয়েছিলেন ওড়িশার ম্যানেজার। পেড্রো এবং নিখিলকে নিয়ে আসেন তিনি। কিছুক্ষণ পরে নিয়ে আসা হয় অনিকেত যাদবকে।

৭৮ মিনিটে মনবীরের জায়গায় লিস্টন আসেন। এক মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পেয়ে গেল সবুজ মেরুন। হুগর পাস ধরে আশিসের ক্রস থেকে ট্যাপ করে গোল করেন দিমিত্রি। বুমুর জায়গায় আসেন গালেগো। লিস্টনের শট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান বাড়তেই পারত। আজ সব মিলিয়ে গোটা ম্যাচে প্রায় নিখুঁত ফুটবল তুলে ধরল সবুজ মেরুন।

এই জয় তাদের অনেকটা আত্মবিশ্বাস দেবে। প্রথম ছয় এর মধ্যে থাকার ক্ষেত্রে আজকের পারফরম্যান্স মনে রাখার মত হতে পারে। তবে ম্যাচ শেষে মোহনবাগানের কোচ জানিয়ে দিলেন তিনি মনে করেন তার দল আরো ভালো খেলার ক্ষমতা রাখে। পরের ম্যাচে এই পারফরম্যান্স বজায় রাখতে হবে। একটা তিন পয়েন্ট এর প্রয়োজন ছিল। সেটা আজ পাওয়া গিয়েছে। শেষ দিকে মারপিটে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের আশিক। ৩ পয়েন্ট পাওয়ার দিনে এইটুকু দাগ পড়ে গেল পারফরম্যান্সে।

মোহনবাগানের সামনে আজ ওড়িশার চ্যালেঞ্জ, জিতে নক আউটের রাস্তায় থাকতে চান হুয়ান

#কলকাতা: মোহনবাগান সমর্থকরা শেষ কয়েকটা ম্যাচ ধরে প্রচন্ড বিরক্ত তাদের কোচ হুয়ান ফেরান্ডোকে নিয়ে। তার অন্যতম কারণ স্ট্রাইকার না নিয়ে তিনি আবার মিডফিল্ডার নিয়েছেন। তাই গোল না হওয়ার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। মরশুমের শুরু থেকেই দক্ষ স্কোরারের অভাবে ভুগছে এটিকে মোহনবাগান। পরিসংখ্যান বলছে, ১৪ ম্যাচে ১৪৮টি সুযোগ তৈরি করেছেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা।

অথচ গোল এসেছে মাত্র ১৭টি! ওড়িশা ম্যাচের আগে এই প্রসঙ্গ উঠতেই কোচ ফেরান্দোর সাফ জবাব, গত দু’ম্যাচে আমরা প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। আমার কাজ ছেলেদের পাশে থেকে ভুলত্রুটি শুধরে দেওয়া। গত কয়েকদিন অনুশীলনে সেটাই চেষ্টা করেছি। ওড়িশা যথেষ্ট ভাল দল। একাধিক ভালোমানের ফুটবলার রয়েছে।

তবে আমরা জয় ছাড়া কিছুই ভাবছি না। হোক বা রনজি ট্রফি। শনিবার আরও এক বাংলা-ওড়িশা দ্বৈরথ। আইএসএলে ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে নামবে এটিকে মোহন বাগান। লিগ টেবিলে প্রথম ছয়ে থাকার নিরিখে দু’দলের কাছেই মাস্ট উইন ম্যাচ। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের সঙ্গে থাকবে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা। গত দু’ম্যাচে জয় অধরা তাদের। বারবার প্রশ্ন উঠছে কোচের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে।

এমন পরিস্থিতিতে ওড়িশার বিরুদ্ধে জয় কিছুটা অক্সিজেন জোগাবে হুয়ান ফেরান্দোকে। আর সে জন্য শনিবার জিতে নক-আউটের আশা জিইয়ে রাখাই লক্ষ্য বোমাস-দিমিত্রিদের। ছাড়া কিছুই ভাবছি না। গত বছর মোহনবাগানের হয়ে দারুণ ফুটবল খেলেছিলেন লিস্টন কোলাসো।

এবার প্রত্যাশার ধারে কাছে নেই এই গোয়ান ফুটবলার। এমনকী, কিয়ান নাসিরি, আশিক কুরুনিয়ানরাও ভরসা জোগাতে ব্যর্থ।বেঙ্গালুরুর কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ওড়িশা। প্রথম সাক্ষাতে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে ড্র করেছিল তারা। দলটার মধ্যে একটা লড়াকু স্পিরিট কাজ করে।

মোহনবাগানের কোচ নিয়ে ক্রমশ বিরক্ত সমর্থকরা, পদত্যাগ করতে নারাজ ইস্টবেঙ্গলের স্টিফেনও

#কলকাতা: শেষ তিনটি ম্যাচে শূন্য হাতেই মাঠ ছেড়েছেন ক্লেটন সিলভারা। কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের স্ট্যাটেজি নিয়ে ক্রমশ হতাশা বাড়ছে সমর্থকদের মধ্যে। ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এমন পরিস্থিতিতে পদত্যাগের কোনও ইচ্ছে নেই ব্রিটিশ কোচ। এখনও তিনি সময়ের দোহাই দিয়ে চলেছেন। আপাতত লিগের বাকি ছ’টি ম্যাচ থেকে বেশি সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে সম্মানের সঙ্গে লিগের অভিযান শেষ করাই প্রধান লক্ষ্য স্টিফেনের।

সেই মতো মঙ্গলবার অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গোয়া পৌঁছল ইস্টবেঙ্গল। ১৫ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়েছে এফসি গোয়া। শেষ ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে কার্লোস পেনার দল। ফলে বৃহস্পতিবার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে লড়াইটা যে সহজ হবে না তা ভালোভাবেই জানেন লাল-হলুদের দুর্গপ্রহরী কমলজিৎ সিং।

তবে ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরতে মরিয়া পাঞ্জাব তনয়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আরও এক কঠিন লড়াই আমাদের সামনে। এফসি গোয়া দারুণ ছন্দে রয়েছে। প্রথম লেগে ওদের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তের গোলে হারতে হয়েছিল। এবার সেই ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এদিন দলের সঙ্গে গোয়া পৌঁছন জ্যাক জার্ভিস। তবে আগামী ম্যাচেও তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ওমেদ সিংয়ের বকেয়া মেটানো সম্ভব হয়নি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হারের গত ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে পয়েন্ট খুইয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ফলে লিগ টেবিলে প্রথম দুয়ের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ সবুজ-মেরুনের। যদিও কোচ হুয়ান ফেরান্দো আশা ছাড়ছেন না।

আপাতত শনিবার ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে জয়ের সরণিতে ফিরতে মরিয়া তিনি। মঙ্গলবার থেকে দল নিয়ে প্রস্তুতিতে নেমে পড়লেন স্প্যানিশ কোচ। এদিন পুরোদমে অনুশীলন করলেন সদ্য দলে যোগ দেওয়া গ্লেন মার্টিন্স। মরশুমের শুরু থেকেই স্ট্রাইকার সমস্যায় ভুগতে হয়েছে মোহন বাগানকে। লিগের অন্তিম পর্বে এসেও সেই ধারা অব্যাহত।

ওড়িশার বিরুদ্ধে তাই পেত্রাতোসের সঙ্গে গালেগোকে শুরু থেকে খেলাতে পারেন ফেরান্দো। সেক্ষেত্রে ম্যাকহাগকে বসতে হবে বেঞ্চে। হুয়ান ফেরান্ডোকে নিয়েও এবার হতাশ হচ্ছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। এফসি গোয়া এবং মোহনবাগানের কোচিং করা এক নয়, সেটা বুঝবে নাকি এতদিন সময় লেগে গেল তার। এই জায়গায় এসে স্প্যানিশ কোচের এমন অজুহাত মানতে নারাজ সমর্থকরা।

মোহনবাগান কোচ বলছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়া অসম্ভব নয়! মুম্বইয়ের কাছে হেরেও আশাবাদী সবুজ মেরুন

#কলকাতা: আইএসএলর ইতিহাসে একমাত্র দল মুম্বই সিটি এফসি যাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এটিকে মোহনবাগানের। শনিবার রাতেও মুম্বই জুজু কাটেনি, সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। প্রথমার্ধটা জঘন্য ফুটবল খেললেও, সেকেন্ড হাফে দারুণ কামব্যাক ঘটায় জুয়ান ফেরান্ডোর দল। আর এটাই আশাবাদী করছে স্প্যানিশ ম্যানেজারকে।

যুবভারতীতে লড়াই করে হেরে যাওয়ার পর হুয়ান জানিয়েছেন দল যে ফুটবল খেলেছিল, তাতে কমপক্ষে ড্র করা উচিত ছিল তাদের। কিন্তু এটাই ফুটবল। সুযোগ নষ্ট করলে তার খেসারত দিতেই হয়। শেষ ১০-১২ মিনিট গালেগোকে নামিয়েছিলেন। উরুগুয়ের ফুটবলারটিকে কি আরেকটু আগে নামানো যেত না?

হুয়ান বলছেন গালেগোর প্রথম ম্যাচ ছিল এটা। তাছাড়া প্রতিপক্ষ যখন মুম্বই সিটি এফসি, তখন একজন ফুটবলার ফিটনেস এবং দক্ষতার শীর্ষে না থাকলে নেমে ভাল কিছু করে দেখানো কঠিন। তাছাড়া উরুগুয়ের ফুটবলারটি একটি বড় চোট কাটিয়ে ফিরেছেন। তাকে বুঝে ব্যবহার করবেন।

আরও পড়ুন – এশিয়া কাপ খেলতে আসার জন্য এবার ভারতের হাতে পায়ে ধরছে পাকিস্তান

তবে শুধু মোহনবাগান কোচ নন, পরের ম্যাচগুলোতে দলের উন্নত পারফমেন্স তুলে ধরার ব্যাপারে আশাবাদী সিনিয়র ফুটবলার কার্ল ম্যাক হিউ। তার মনে হচ্ছে যত সময় যাবে তত ভাল খেলবে এই দল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কিছুতেই জয় আসছে না এটা সমর্থকদের জন্য দুঃখের ব্যাপার মানছে ম্যানেজমেন্ট। তবে এটাও ঠিক মোহনবাগানের দুর্ধর্ষ ফুটবল মন কেড়েছে সমর্থকদের।

লিস্টন, হুগো, শুভাশিস, আশিক প্রত্যেকে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন মুম্বইকে হারাতে। গোলরক্ষক বিশাল কৈথ একাধিক সেভ করেছেন। এখন লক্ষ্য একটাই। পরের শনিবার চেন্নাইকে হারানো। সবুজ মেরুন ব্রিগেডের প্রাথমিক লক্ষ্য প্রথম চারের মধ্যে থাকা। প্লে অফ নিশ্চিত করা। তারপর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়াই করা।

মোহনবাগানের মুম্বই জুজু কাটল না, লড়াই করেও ঘরের মাঠে ফের হার লিস্টনদের

এটিকে মোহনবাগান – ০

মুম্বই সিটি এফসি – ১
( চাংতে)

#কলকাতা: নতুন বছরে শনিবার ঘরের মাঠে প্রথমবার নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ ছিল ‘জুজু’ মুম্বই সিটি এফসি। আইএসএলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত অপরাজেয়। চলতি আসরে এখনও হারের মুখ দেখেনি মুম্বই সিটি এফসি। ১৩ ম্যাচের দশটিতে জিতে মগডালে ডেস বাকিংহামের দল (৩৩ পয়েন্ট)। ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট কম পেয়ে মোহনবাগান চতুর্থ স্থানে।

তাই শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে রীতিমতো অ্যাসিড টেস্ট ছিল দিমিত্রি পেত্রাতোসদের। ম্যাচের প্রথম থেকেই চাপ ছিল মুম্বইয়ের। প্রথম দশ মিনিটে মুম্বই এগিয়ে যেতে পারত দুই গোলে। বিপিন মিস না করলে তিনটি গোল হয়ে যেত তাদের। ২৮ মিনিটের মাথায়, মুম্বইকে এগিয়ে দেন চাংটে। স্টুয়ার্ট, নগুয়েরা হয়ে বল পেয়ে জোরালো শট নিলেন চাংতে।

আরও পড়ুন – আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তদন্ত করবে ফিফা! গুরুতর অভিযোগ মেসির দলের বিরুদ্ধে

বিশাল কাইথের হাতের নাগালের বাইরে বল জড়িয়ে গেল জালে। তবে প্রথম অর্ধে বিশাল তিনটি দুর্দান্ত সেভ করে লজ্জা বাঁচান মোহনবাগানের। দিমিত্রি, হুগো এবং লিস্টন হাফ চান্স তৈরি করেছিল। পুটিয়াকে প্রথম থেকে নামালেও দ্বিতীয়ার্ধ তুলে নিতে হল। লেনি নামলেন।

সেকেন্ড হাফের প্রথম থেকেই আক্রমণ শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। হুগোর শট সেভ হয়। দিমিত্রি, লিস্টন, ম্যাক হিউদের আক্রমণ হচ্ছিল, কিন্তু গোল হচ্ছিল না। শেষ ১০ মিনিটে উরুগুয়ের গালেগো এবং কিয়ানকে নিয়ে আসেন মোহনবাগান কোচ। দুটো উইং ব্যবহার করে এবং মাঝখান দিয়ে টানা আক্রমণ চালিয়েও সফল হতে পারল না সবুজ মেরুন।

মর্তদা ফলকে নামিয়ে দিয়ে ডিফেন্স শক্ত করল মুম্বই। বলা ভাল, দ্বিতীয় অর্ধে একতরফা খেলে গিয়েও কাজের কাজ করতে পারল না হুয়ান ফেরান্ডর দল। এই জয়ের পরে মুম্বই সিটি প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলল। মোহনবাগান রয়ে গেল ৪ নম্বরে।

মোহনবাগানের মিশন মুম্বই শুরু ! টাচ এবং স্কিলে মন জয় উরুগুয়ের গালেগোর

#কলকাতা: বেশ কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরেছে মোহনবাগান। সামনে লক্ষ্য একটাই। প্রথম দুইয়ে থাকা এবং মুম্বই সিটি এফসিকে হারানো। চারটি কোণে সাজানো মিনি গোলপোস্ট। বর্গক্ষেত্রাকার ছোট মাঠে দু’টি টাচ এবং তারপরেই চকিতে শট। শুক্রবার ক্লাবের মাঠে ভেদশক্তি বাড়ানোর দিকে জোর দিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। সম্প্রতি আইএসএলে একাধিকবার পেনিট্রেটিং জোনে এসে লিস্টন, মনবীররা খেই হারিয়ে ফেলেছেন।

গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে দিমিত্রি পেত্রাতোসের সাজিয়ে দেওয়া বল ফাঁকায় পেয়ে ছ’গজ দূর থেকে লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ আশিক কুরুনিয়ান। সেই দুর্বলতা কাটাতেই ছেলেদের সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করালেন স্প্যানিশ কোচ। আগামী ১৪ জানুয়ারি পরবর্তী ম্যাচে মোহন বাগানের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসি। আইএসএলে এখনও পর্যন্ত বাণিজ্য নগরীর দলকে একবারও হারাতে পারেনি সবুজ-মেরুন দল। তাই ইতিহাস বদলাতে মরিয়া কোচ হুয়ান ফেরান্দো।

নতুন বছরের ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবারই অনুশীলন শুরু করেছে মোহন বাগান। প্রথম দিনে হাল্কা গা ঘামিয়েছিলেন শুভাশিস বসুরা। তবে এদিন ছেলেদের পুরোদমে অনুশীলন করালেন ফেরান্দো। মোহন বাগানের প্র্যাকটিস দেখতে মাঠে এসেছিলেন সবুজ-মেরুনের ‘ঘরের ছেলে’ সুব্রত ভট্টাচার্য।

এদিন শুরুতে ওয়ার্ম আপের পর প্লেয়ারদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে পাসিংয়ের দিকে বিশেষ নজর দেন ফেরান্দো। অনুশীলনের শেষদিকে দিমিত্রি, লিস্টনদের স্পটকিক এবং পেনাল্টি শ্যুট। চোটগ্রস্ত মনবীর সিং অবশ্য বল নিয়ে আলাদা অনুশীলন করলেন। তবে ছুটি কাটিয়ে ব্র্যান্ডন হ্যামিল, হুগো বোমাস ও কার্ল ম্যাকহ্যাগ এখনও ফেরেননি। তাঁরা রবিবার অনুশীলনে যোগ দেবেন।

নতুন দুই বিদেশি মন্টেনেগ্রোর স্লাভকো ডামজানোভিচ ও উরুগুয়ের ফেডেরিকো গ্যালোগের দিকে বিশেষ নজর ছিল গ্যালারিতে উপস্থিত সবুজ-মেরুন জনতার। গ্যালোগো হয়তো সামান্য ওজন বৃদ্ধি করেছেন, কিন্তু সেটা কয়েকদিনের অনুশীলনে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। উরুগুয়ের ফুটবলারটির স্কিল এবং টাচ কিন্তু দেখার মত। সেটা দেখেই হাততালি দিচ্ছেন দর্শকরা।

মোহনবাগান অনুশীলনে যোগ দিলেন গ্যালেগো এবং স্লাভকো, চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি দুই বিদেশি

#কলকাতা: তাদের দুজনের জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করেছিলেন মোহনবাগানের সমর্থকরা। আইএসএল ফিরতি লেগ শুরু হওয়ার আগে এটিকে মোহনবাগান দল গুছিয়ে নেবে সেটা জানাই ছিল। দুদিন আগেই শহরে এসে গিয়েছিলেন তারা। এক সপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে অনুশীলন শুরু এটিকে মোহনবাগানের। সবুজ-মেরুনের অনুশীলনে যোগ দুই নবাগত বিদেশির।

দলের সঙ্গে অনুশীলন করলেন উরুগুয়ের অ্যাটাকিং মিডিও ফেডরিকো গ্যালেগো। মন্টেনেগ্রোর ডিফেন্ডার স্লাভকো দামজানোভিচও প্রথম দিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করলেন। ১৪ তারিখ এটিকে মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ। প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি। লিগ টেবিলে প্রথম দুইয়ে থাকাই লক্ষ্য এটিকে মোহনবাগানের।

নতুন দুই বিদেশি যোগ দেওয়ায় দল আরও মজবুত হল বলে মনে করছেন সমর্থকরা। দামজানোভিচ এর আগে নিজেকে প্রমাণ করে গিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলে। বড় চেহারা, ঠান্ডা মাথা এবং নিখুঁত ট্যাকল করার ক্ষমতা আছে তার। মোহনবাগান ডিফেন্সে তার সঙ্গে হামিলের জুটি কতটা কার্যকরী হতে পারে সেটাই দেখার।

অন্যদিকে উরুগুয়ের আক্রমণাত্মক মিডিও গ্যালেগো খেলা তৈরি করার পাশাপাশি প্রয়োজনে গোল করতে পারেন। ফাইনাল বল বাড়াতে পারেন। তাকে নেওয়া হয়েছে কোচ হুয়ান ফেরান্দর কথায়। এর আগে নর্থইস্ট ইউনাইটেড দলের জার্সিতে বেশ কিছু দুর্দান্ত ম্যাচ উপহার দিয়েছিলেন গ্যালেগো। আজ পর্যন্ত মুম্বই সিটি এফসিকে হারাতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।

এই দুজন ফুটবলার যোগ দেওয়ার ফলে চাকা ঘোরে কিনা সেটাই দেখার। দুই বিদেশি ফুটবলার অবশ্য আশাবাদী তারা সবুজ মেরুন জার্সির ওজন নিতে পারবেন। দলের সঙ্গে নিজেদের দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবেন।