#ক্রাইস্টচার্চ: আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপে মিতালি রাজ ব্যাটসম্যান হিসেবে ভাল-মন্দ মিশিয়ে খেলেছিলেন। একেবারেই ধারাবাহিক ছিলেন না। বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে তার অধিনায়কত্ব। সব মিলিয়ে মিতালির থেকে আরো বেশি কিছু আশা করা হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ বলে হেরে ভারতীয় মহিলা দল বিদায় নিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। ভারতের বিদায়ের সঙ্গেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, তবে কি কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটি খেলে ফেললেন অধিনায়ক মিতালি রাজ এবং প্রাক্তন অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামী।
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বলেছেন, আমি ভবিষ্যতের জন্য সত্যি বলতে কিছু পরিকল্পনা করিনি। আমাদের মতো খেলোয়াড় বা অ্যাথেলিটদের জন্য এই ধরনের ব্যর্থতা যেমনটা বিশ্বকাপে হল, গ্রহণ করাটা খুব কঠিন হয়। কারণ দীর্ঘদিন যার জন্য নিজেকে তৈরি করা হয়, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারলে এই ছিটকে যাওয়া বা ব্যর্থতা মেনে নিতে এবং ভবিষ্যত যা ঠিক করে রেখেছে প্রতিটা খেলোয়াড়ের জন্য তা গ্রহণ করতে সময় লাগে।
?️ “Right now, I think we need some time to sort of process.”
Mithali Raj and Jhulan Goswami take the positives from India’s #CWC22 campaign.
And say retirement questions will be answered another day ⬇️https://t.co/sN5FlfES24
— ICC Cricket World Cup (@cricketworldcup) March 27, 2022
তবে, ভারতীয় দলের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি মিতালি। তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করাটা আমার জন্য ঠিক হবে না। বিশেষ করে যেই ধরনের ম্যাচ আমরা খেলেছি, আমি বলেছি আবেগটা এখনও একই রকম রয়ে গিয়েছে। ফলে এই বিষয়ে পরিষ্কার কিছু ছবি আমি তুলে ধরার আগে বিষয়টাকে একটু স্বাভাবিক হতে দিন।
মিতালির মতোই এটাই হয়তো শেষ বিশ্বকাপ ছিল ঝুলন গোস্বামীর। কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই দলের সঙ্গে মাঠে থাকতে পারলেন না ঝুলন। মহিলা ক্রিকেটের এই কিংবদন্তির অুপস্থিতি ভারতীয় দল প্রতিনিয়ত টের পেয়েছে জানিয়েছেন মিতালি। তিনি বলেছেন, আমি নিশ্চিত ও থাকলে একটা ফারাক গড়ে দিত। দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এই রকম চাপের ম্যাচ বিভিন্ন দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উইকেটে খেলেছে।
ওর মতো একজন অভিজ্ঞ বোলার যদি বোলিং ইউনিটকে নেতৃত্ব দিতে পারত তা হলে স্পষ্টতই ফারাক তৈরি হত। ওর নিজেরও খারাপ লাগছে ভারতের শেষ ম্যাচে মাঠে না থাকতে পারায়। অনুশীলনের সময়ে ওর হালকা টান লাগে। ম্যাচের আগে যা ও কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
আমরা শেষ চারের যোগ্যতা অর্জন করতে চেয়েছিলাম ওকে আর একটা ম্যাচ সুযোগ দেওয়ার জন্য সেমিফাইনালে। কিন্তু সেটা আর হল না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় মিতালির এবার অবসর নেওয়া উচিত বলে স্লোগান উঠে গিয়েছে অনেক আগেই।