ATKMB vs Blue Star FC : এফসি কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বিপদে মোহনবাগান! ব্যক্তিগত সমস্যা নেই রয় কৃষ্ণ

#কলকাতা: এফসি কাপের পিলিমিনারি স্টেজের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দলের বিরুদ্ধে নামার আগেই হঠাৎ করেই ধাক্কা এটিকে মোহনবাগান শিবিরে। চোটের কারণে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন সন্দেশ ঝিংহান। তারপর মেয়ের ভিসা সমস্যায় খেলতে পারছেন না রয় কৃষ্ণ। তিনি দেশে ফিরে গিয়েছেন শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার এটিকে মোহনবাগান ও শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার এসসি’র ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে।

আরও পড়ুন – Brooklyn Beckham marriage : বিয়ে হয়ে গেল ডেভিড বেকহ্যামের বড় ছেলে ব্রুকলিনের! পাত্রী কে জানেন?

এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বের ম্যাচ টিকিট কেনার জন্য রবিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ছিল সমর্থকদের লম্বা লাইন। বিকেলে মোহনবাগানের প্র্যাকটিসেও ভিড় চোখে পড়ে। কিন্তু রয় কৃষ্ণারা রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করায় অনেকেই আশাহত হন। তবে সমর্থকদের আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছে হুগো বোমাসকে। তাই ফরাসি এই মিডফিল্ডার ২৫ হাজার টাকার টিকিট কেনেন অনুরাগীদের জন্য। দলের কিট ম্যানেজারের মাধ্যমে সেই টিকিট বণ্টন করা হয়।

এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছে এটিকে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টও। বিদেশি ফুটবলার হিসেবে মহানুভবতার পরিচয় দিলেন বোমাস। আসলে তিনি চাইছেন, মঙ্গলবার গ্যালারি ভরিয়ে দিক সমর্থকরা। তাদের সমর্থনে জ্বলে উঠুক সবুজ-মেরুনের প্রতিটি ফুটবলার। রোজা রেখেছেন বোমাস। রমজান মাসে নিয়ম করে নামাজও পড়ছেন। অনুশীলনের ফাঁকেই তাঁকে সেরে নিতে হচ্ছে খাওয়া-দাওয়া।

তাঁর জন্য বিশেষ খাদ্য তালিকা তৈরি করে দিয়েছেন দলের পুষ্টিবিদ। এদিকে, রবিবার সকাল সাড়ে দশটার বিমানে কলকাতা পৌঁছয় ব্লু স্টার এসসি। বিকেলেই তারা নেমে পড়ে অনুশীলনে। দলের সঙ্গে এসেছে তিন বিদেশি ফুটবলার। তবে আসেনি সাত ফুটবলারের কিটস। পরে অবশ্য তা চলে আসে। এমনিতে আর্থিকভাবে প্রায় দেউলিয়া শ্রীলঙ্কা। মূল্যবৃদ্ধির চাপে নাভিঃশ্বাস উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিকদের।

ব্লু স্টারের কোচ রাজামণি বলেন, চেন্নাই হয়ে আমাদের কলকাতায় আসতে হয়েছে। অনেক ভেবেচিন্তে খরচ করতে হচ্ছে। দেশের আর্থিক মন্দা কোথায় গিয়ে ঠেকবে বুঝতে পারছি না। মঙ্গলবারের ম্যাচ প্রসঙ্গে রাজামণি বলেন, এটিকে মোহনবাগান খুবই শক্তিশালী দল। মাঠে নামার আগে সহকারি কোচেদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত কৌশল ঠিক করব।

শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার এসসির ফুটবলারদের প্রায় সকলেই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের। গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা প্রবল আর্থিক সঙ্কটে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সকলে। যন্ত্রণা ভুলতে ফুটবলই এখন অস্ত্র ব্লু স্টারের ফুটবলারদের।

টিম হোটেলের কফি শপে গিয়ে যে বসবেন, সেই ঝুঁকিও কেউ নিতে পারছেন না। পকেটে যে সামান্য কিছু অর্থ রয়েছে। যা কলম্বো ছাড়ার আগে শ্রীলঙ্কা সরকার ও ফুটবল ফেডারেশনের তরফে দেওয়া হয় ফুটবলারদের। সেই সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়, খুব প্রয়োজন না হলে কেউ যেন তা খরচ না করেন।