ATKMB vs Dhaka Abahani match : হ্যাটট্রিকে নায়ক ডেভিড উইলিয়ামস, আবাহনীকে হারিয়ে মূল পর্বে এটিকে মোহনবাগান

এটিকে মোহনবাগান -৩
ঢাকা আবাহনী -১

#কলকাতা: যুবভারতীর সবুজ গালিচায় ভারত বাংলাদেশ ফুটবল লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল ভারত। দাপটের সঙ্গে ম্যাচটা জিতল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। রয় কৃষ্ণ, সন্দেশ ছাড়াই এটিকে মোহনবাগান হারিয়ে দিল বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনীকে।
এএফসি কাপ প্লে-অফে আবাহনী ঢাকার বিরুদ্ধে ৩-১ ব্যবধানে জিতল এটিকে মোহনবাগান। হ্যাটট্রিক করলেন উইলিয়ামস।

জয়ের ফলে এএফসি কাপের মূলপর্বে চলে গেল এটিকে মোহনবাগান। গ্রুপ ডি-তে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, মলদ্বীপের মাজিয়া এফসি এবং ভারতের গোকুলম কেরল। আগের ম্যাচের থেকে দলে দু’টি বদল এনেছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। চোট সারিয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়া অমরিন্দর সিংহ ফিরেছিলেন অর্শ আনোয়ারের জায়গায়।

এছাড়া আক্রমণভাগ আরও শক্তিশালী করে তুলতে কিয়ান নাসিরির জায়গায় এনেছিলেন লিস্টন কোলাসোকে। দ্বিতীয় পরিবর্তনটি করেই আবাহনী ঢাকার ঘুম কেড়ে নিলেন স্প্যানিশ কোচ। শুরু থেকেই বাঁ দিক দিকে একের পর এক আক্রমণ তুলে আবাহনীর ডিফেন্ডারদের বিপদে ফেলছিলেন লিস্টন। প্রথম গোল পেতে এটিকে মোহনবাগানকে অপেক্ষা করতে হল মাত্র ছয় মিনিট। মাঝ মাঠে বল পেয়েছিলেন লিস্টন। তিনি বল বাড়ান বাঁ প্রান্ত ধরেই ছুটতে থাকা জনি কাউকোকে।

ফিনল্যান্ডের ফুটবলার মুখ তুলে একবার দেখে নেন ডেভিড উইলিয়ামস ঠিক কোথায় রয়েছেন। তার পর চলতি বলেই ক্রস ভাসান তিনি। আবাহনীর ডিফেন্ডার টপকে প্রায় উড়ে এসে বলে পা ছুঁইয়ে গোল করেন উইলিয়ামস। তাঁর সামনেই ছিলেন ডিফেন্ডার মিলাদ সোলেমানি। তিনি উইলিয়ামসকে আটকেতা পারেননি। ২০ মিনিটে সুযোগ মিস করেন কাউকো। ডান দিক থেকে প্রীতম কোটালের ভাসানো পাসে তাড়াহুড়ো করে শট মারতে গিয়ে বল উড়িয়ে দেন।

এর নয় মিনিট পরে আবার এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। এ বার বুমোসের থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত ধরে উঠে এসে বল ভাসান প্রবীর দাস। একই ভাবে চলতি বলে পাঁ ছুঁইয়ে গোল উইলিয়ামসের। হ্যাটট্রিক করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিলেন কয়েক মিনিট পরেই। কিন্তু বুমোসের পাস থেকে সামনে একা গোলকিপারকে পেয়েও তাঁর গায়ে বল মারেন উইলিয়ামস।

বিরতির পর আবাহনী ঢাকা অবশ্য অনেক বেশি সংগঠিত হয়ে নেমেছিল। বল আদানপ্রদানের জায়গায় দিচ্ছিল না সবুজ-মেরুনকে। আক্রমণেও তারা এগিয়েছিল। সেই পরিশ্রম কাজে আসে ৬০ মিনিটে। রাকিবের বাড়ানোর বলে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়ে গোল করেন ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া জনি আকোস্তার বন্ধু ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস।

আক্রমণে এটিকে মোহনবাগানের অর্ধে উঠে এসেছিল আবাহনীর প্রায় গোটা দলই। সবার অলক্ষ্যে মাঝমাঠ থেকে ভাসানো পাস উইলিয়ামসের উদ্দেশে বাড়িয়ে দেন বুমোস। এ বারও অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের সামনে একা ছিলেন গোলকিপারই। কিন্তু দ্বিতীয় বার ভুল করলেন না উইলিয়ামস।

ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করলেন তিনি। আগামী মাসে গ্রুপ পর্বের খেলা হবে কলকাতায়। এদিন ম্যাচের শেষে দেখা যায় প্রীতম কোটাল গোটা দলকে নিয়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের সামনে ভাইকিং ক্ল্যাপ দিচ্ছেন। দর্শকরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন এই ম্যাচ।