#কটক: টস ভাগ্য একেবারেই সঙ্গ দিচ্ছে না ঋষভ পন্থকে। দিল্লির পর এদিন বারাবাতি স্টেডিয়ামেও টসে হেরে গেলেন তিনি। ফলে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠাল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় পাঁচ বছর পর ম্যাচ পেয়েছিল কটক। প্রচুর দর্শক এসেছিলেন মাঠে। কিন্তু ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেল ভারত। প্রথম ওভারেই ফিরে গেলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। রাবাডার বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে মাত্র একটি রান করে।
তিন নম্বরে এসে শ্রেয়স আইয়ার কিছুটা ভরসা দিলেন বটে। কিন্তু স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক খেলা একেবারেই খেলতে পারছিলেন না। বল প্রতি রান নেওয়া চলছিল। নোকিয়া, প্রিটোরিয়াসদের মত পেসাররা সঠিক জায়গায় বল রেখে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে দিচ্ছিলেন।
এই জায়গা থেকে পাল্টা আক্রমণ না করলে স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা সম্ভব ছিল না। সম্পূর্ণ ব্যর্থ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। মহারাজের বলে তুলে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন মাত্র ৫ করে। এরপর এলেন হার্দিক পান্ডিয়া। মনে হয়েছিল এই জায়গা থেকে বোধহয় বড় স্কোর তুলবে ভারত। কিন্তু ব্যর্থ হার্দিক। পার্নেল তাকে বোল্ড করে দিলেন ৯ রানের মাথায়।
সেট হয়ে যাওয়া শ্রেয়স আইয়ার প্রিটোরিয়াসের বলে ক্যাচ দিলেন ৪০ রান করে। সপ্তম উইকেটে এলেন দীনেশ কার্তিক। স্কোরবোর্ডে একশো ওঠার আগেই পাঁচ উইকেট চলে গেল ভারতের। দীনেশ কার্তিক এসেও সহজে শট নিতে পারছিলেন না। বল উইকেট এ থেমে থেমে আসছিল।
? INNINGS CHANGE
Wickets at regular intervals by all the bowlers ensured the #Proteas restricted India to 148/6 in their 20 overs.
?️ Ball by ball https://t.co/KNz7vLG39F
? SuperSport Grandstand 201
#INDvSA #BePartOfIt pic.twitter.com/jCUXCQgwry— Cricket South Africa (@OfficialCSA) June 12, 2022
ফলে ব্যাটসম্যানরা মনের সুখে শট খেলতে পারছিলেন না। যাই হোক, এই রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। অনেক ভাবতে হবে রাহুল দ্রাবিড়কে। ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখে চিন্তা বেড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ভিআইপি বক্সে বসে বোর সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিন্তিত মনে হচ্ছিল। শেষদিকে দীনেশ কার্তিক ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস না খেললে ভারতের রান আরো কম হত। কার্তিক বুঝিয়ে দিলেন তাকে উপেক্ষা করা যাবে না।