IND vs SA : ক্লাসিক ক্লাসেনের ব্যাটে কটকে ফের হার ভারতের! চাপ বাড়ল পন্থদের

#কটক: অল্প পুঁজি নিয়ে ভারতের পক্ষে এই ম্যাচ বাঁচানো কঠিন সেটা বোঝা গিয়েছিল প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর। দিল্লির মাঠে ২১১ তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ টার্গেট ছিল মাত্র ১৪৯। তাই দেখে মনে হচ্ছিল অত্যন্ত সহজ। কিন্তু এই পিচ ব্যাট করার পক্ষে খুব সহজ ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভাল হয়নি। হেনরিক বোল্ড হয়ে গেলেন ভুবনেশ্বর কুমারের বলে।

প্রিটোরিয়াস অল্প রান করে আউট হলেন সেই ভূবির বলে। দুসেনকে বোল্ড করলেন ভুবনেশ্বর। ২৯ রানে তিনটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু অধিনায়ক বাভূমা (৩৫) এবং উইকেট রক্ষক ক্লাসেন একটা পার্টনারশিপ তৈরি করলেন। ক্লাসেন জয়ের ভিত গড়ে দিলেন। গরমে পায়ে টান ধরলেও লড়াই চালিয়ে গেলেন।

উল্টোদিকে ছিলেন ডেভিড মিলার। কিন্তু ক্লাসেন যেন একাই ভারতকে শেষ করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে নেমেছিলেন। নিজের টি টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান করলেন তিনি। টস ভাগ্য একেবারেই সঙ্গ দিচ্ছে না ঋষভ পন্থকে। দিল্লির পর এদিন বারাবাতি স্টেডিয়ামেও টসে হেরে গেলেন তিনি। ফলে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠাল দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রায় পাঁচ বছর পর ম্যাচ পেয়েছিল কটক। প্রচুর দর্শক এসেছিলেন মাঠে। কিন্তু ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেল ভারত। প্রথম ওভারেই ফিরে গেলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। রাবাডার বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে মাত্র একটি রান করে। তিন নম্বরে এসে শ্রেয়স আইয়ার কিছুটা ভরসা দিলেন বটে। কিন্তু স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক খেলা একেবারেই খেলতে পারছিলেন না।

বল প্রতি রান নেওয়া চলছিল। নোকিয়া, প্রিটোরিয়াসদের মত পেসাররা সঠিক জায়গায় বল রেখে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে দিচ্ছিলেন। এই জায়গা থেকে পাল্টা আক্রমণ না করলে স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা সম্ভব ছিল না। সম্পূর্ণ ব্যর্থ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। মহারাজের বলে তুলে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন মাত্র ৫ করে।

এরপর এলেন হার্দিক পান্ডিয়া। মনে হয়েছিল এই জায়গা থেকে বোধহয় বড় স্কোর তুলবে ভারত। কিন্তু ব্যর্থ হার্দিক। পার্নেল তাকে বোল্ড করে দিলেন ৯ রানের মাথায়। সেট হয়ে যাওয়া শ্রেয়স আইয়ার প্রিটোরিয়াসের বলে ক্যাচ দিলেন ৪০ রান করে। সপ্তম উইকেটে এলেন দীনেশ কার্তিক।

স্কোরবোর্ডে একশো ওঠার আগেই পাঁচ উইকেট চলে গেল ভারতের।দীনেশ কার্তিক এসেও সহজে শট নিতে পারছিলেন না। বল উইকেট এ থেমে থেমে আসছিল। ফলে ব্যাটসম্যানরা মনের সুখে শট খেলতে পারছিলেন না। যাই হোক, এই রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। অনেক ভাবতে হবে রাহুল দ্রাবিড়কে।

ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখে চিন্তা বেড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ভিআইপি বক্সে বসে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিন্তিত মনে হচ্ছিল। হেরে গেল ভারত। ০-২ পিছিয়ে পড়ার থেকেও বড় কথা যেভাবে আত্মসমর্পণ করল শেষদিকে রক্ত চাপ বাড়বে দ্রাবিড়ের।