Ranji trophy Final : জোড়া শতরান সঙ্গে পাতিদারের লড়াই! রঞ্জিতে মুম্বইকে হারানোর জায়গায় মধ্যপ্রদেশ

#বেঙ্গালুরু: মুম্বই বনাম মধ্যপ্রদেশ ফাইনাল শুনে ক্রিকেট পন্ডিত এবং সর্মথকরা চোখ বন্ধ করে এগিয়ে রেখেছিলেন মুম্বইকে। সেটা ভুল নয়। ইতিহাস, পরিসংখ্যান এবং ঐতিহ্য, সবদিক থেকেই এগিয়ে মুম্বই। কিন্তু সেমি ফাইনালে বাংলাকে হারানো এই মধ্যপ্রদেশ যে লড়াকু দল সেটা তারা প্রমাণ করছে। মুম্বইয়ের চেয়ে আর মাত্র ৬ রান পিছিয়ে।

আর ৬ রান করলেই মুম্বইকে প্রথম ইনিংসে ছুঁয়ে ফেলবে মধ্যপ্রদেশ। তার পর তাদের লিড নেওয়ার পালা। মধ্যপ্রদেশের সবে ৩ উইকেট পড়েছে। তারা করে ফেলেছ ৩৬৮ রান। তাই অনেকেই আশা করছেন, লিডটা একেবারে ছোট হবে না। বরং বড় রানেরই লিড পাওয়ারই চেষ্টা করব মধ্যপ্রদেশ। শুক্রবার যশ দুবে-শুভম শর্মা জুটি দ্বিতীয় উইকেটে ২২২ রান যোগ করে।

যার উপর ভিত্তি করে নিজেদের জায়গা মজবুত করে মধ্যপ্রদেশ। লাঞ্চের পর ১১৬ করে আউট হয়ে যান শুভম। যশ করেন ১৩৩ রান। সরফরাজ খানের চেয়ে ১ রান কম করেন তিনি। তৃতীয় দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন রজত পতিদার এবং অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব। রজত ৬৭ করে ফেলেছেন। আদিত্য ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

শনিবার সকাল থেকেই ধীরেসুস্থে ব্যাট করে বড় রানের লিড নেওয়ার চেষ্টা করবে মধ্যপ্রদেশ। মুম্বই দ্রুত উইকেট ফেলতে না পারলে আখেরে কপাল পুড়বে তাদেরই। প্রথম ইনিংসে লিড পেয়ে যাওয়া মানেই, ট্রফির দিক এক পা বাড়িয়ে রাখা। তবে ২২ গজে তো আকছার অঘটন ঘটে।

কে বলতে পারে, বাকি ২ দিনে মুম্বই ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠে, মধ্যপ্রদেশের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে না! তবে যে স্ট্র্যাটেজিতে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের টিম খেলছে, তাতে তাদের বেকায়দায় ফেলা সহজ হবে না। রজত পতিদাররা বরং এখন থেকেই ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। প্রথম বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় গোটা মধ্যপ্রদেশ। পারবে কি তারা সেই স্বপ্ন পূরণ করতে? সময়ই এর উত্তর দেবে।

মাথা ঠাণ্ডা রেখে স্কোরবোর্ডকে সচল রাখেন যশ-শুভম। সেই সঙ্গে দুই তারকাই সেঞ্চুরি করেন। বৃহস্পতিবার সরফরাজ খানের ১৩৪ রানের হাত ধরে মুম্বইয়ের ইনিংস শেষ হয় ৩৭৪ রানে। পৃমুম্বইয়ের ধবল কুলকার্নি, তুষার দেশপান্ডে, মুলানিরা বল হাতে সেভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি। এখন দেখার শেষ দু দিনে কোন বড় নাটক অপেক্ষা করছে কিনা। তবে রজত পাটিদার ফের একবার শতরান করার চেষ্টা করবেন সেটা বলাই যায়।