Tag Archives: Ranji Trophy Final

রঞ্জি ফাইনালে বাঘ সিংহের লড়াই ছিল, বললেন মনোজ! নিজের দোষেই হার মেনে নিচ্ছেন অধিনায়ক

কলকাতা: রঞ্জি ফাইনালে ঘরের মাঠে বাংলা যে আবার রানার্স হয়ে খুশি থাকবে সেটা বোঝা গিয়েছিল তৃতীয় দিন শেষেই। মিরাকেল না হলে এই ফাইনাল জয় সম্ভব ছিল না বাংলার। সেটা হয়নি। তবে ইনিংসে হারতে হয়নি, এটা একটু স্বস্তির। বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বললেন রঞ্জি ফাইনালে ছিল বাঘ এবং সিংহের লড়াই। জিতেছে সিংহ। তবে কথা দিচ্ছি পরেরবার বাংলার বাঘেরা অনেক ভাল পারফর্ম করবে।

আজ সকালে যখন খেলা শুরু হয়েছিল তখন ব্যাট করছিলেন মনোজ এবং শাহবাজ। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান শাহবাজ। মনোজ জানালেন দোষটা তার। তিনি বল দেখতে পাননি। শাহবাজকে সরি বলেছেন। তার মনে হয়েছে সাড়ে তিন দিনে কয়েক ঘন্টা ছাড়া পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করেছে সৌরাষ্ট্র। যখন দরকার ছিল তখন বাংলা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি।

তার জন্য সমর্থক এবং কর্মকর্তাদের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে মনোজ মনে করেন গত তিন বছরে দুবার ফাইনাল এবং একবার সেমিফাইনালে ওঠা প্রমাণ করে বাংলার ক্রিকেট সঠিক দিকে এগোচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে কিছুটা ভাগ্যের দরকার হয়। তবে এবারের ফাইনালটা শুধু ভাগ্যের দোহাই দিতে রাজি নন তিনি।

বাংলার সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মনোজ বলছেন কোচ হিসেবে লক্ষ্মীরতন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গোটা দল অনেক আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। সমর্থকদের কাছে তার আবেদন একটু সময় দেওয়া। এই দলটাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রাখে। এই ছেলেদেরই সাহস দিতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে। পরের বছর তিনি খেলবেন কিনা কিছু মন্তব্য করেননি।

তবেই নিজেকে ফিট রাখতে পারলে মনোজের মধ্যে এখনও ক্রিকেট অবশিষ্ট আছে সেটা দেখা গিয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে। তবে এটা মানতেই হবে গোটা টুর্নামেন্টে বাংলার জোরে বোলাররা যে দাপট দেখিয়েছিলেন, সেটা ফাইনালে দেখাতে পারেনি।

আকাশ কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মুকেশ এবং ঈশান পোড়েল বল হাতে কেমন ম্রিয়মান ছিলেন। তাই বাংলা এত কাছে এসে আবার ফিরে গেলেও সমর্থকদের দুঃখ পেতে বারণ করছেন মনোজ। বাংলার চ্যাম্পিয়ন হওয়া খুব তাড়াতাড়ি কড়া নাড়ছে নিশ্চিত মান্নু।

ইডেনে রঞ্জি ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বোলিং দাপট, লাঞ্চের আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলা

কলকাতা: বাংলার ভাগ্যে কি তাহলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ নেই এবারও? বারবার কাছে এসে ফিরে যেতে হয়েছে অতীতে। বৃহস্পতিবার সকালেও সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালে বাংলার শুরুটা ভয়াবহ হল। ইডেনের ২২ গজে প্রথম ঘন্টায় বল মুভ করবে জানা ছিল। কিন্তু ঈশ্বরন, সুদীপ, মনোজরা এভাবে একের পর এক উইকেট দিয়ে আসবেন আশা করা যায়নি।

১.২ ওভারে চেতনের বলে স্লিপে শেল্ডন জ্যাকসনের হাতে ধরা পড়েন অভিষেককারী সুমন্ত গুপ্ত। টস জিতে মনোজ তিওয়ারিদের শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় সৌরাষ্ট্র। মাত্র ৩৪ রানে অর্ধেক ব্যাটিং লাইনআপ খুইয়ে বসে বাংলা। এর আগে ২০১৯-২০ মরশুমের রঞ্জি ফাইনালে সম্মুখসমরে নামে দু’দল। সেই ম্যাচে বাংলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় সৌরাষ্ট্র।

এবার ঘরের মাঠে বাংলার সামনে সুযোগ রয়েছে বদলা নেওয়ার। সেই সঙ্গে ৩৩ বছর পরে রঞ্জি খেতাব ঘরে তোলার হাতছানিও রয়েছে মনোজ তিওয়ারিদের সামনে। কিন্তু বাংলার জঘন্য ব্যাটিং প্রথম ইনিংসে অন্তত মধ্যাহ্ন ভোজের আগে পর্যন্ত ম্যাচে ৮০ শতাংশ এগিয়ে রেখেছে সৌরাষ্ট্রকে। তাদের দুই বাহাতি সিমার জয়দেব এবং চেতন বাংলার ব্যাটিংয়ের হাওয়া বার করে দিলেন।

সঠিক জায়গায় বল রাখা এবং উইকেটের ঘাস থেকে মুভমেন্ট আদায় করে নেওয়ার ক্ষেত্রে সৌরাষ্ট্র বোলারদের প্রশংসা করতেই হয়। আশা ছিল দুর্দান্ত ছন্দে থাকা অনুস্টুপ আবার একটা বড় ইনিংস খেলবেন। সেই ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু চিরাগ জনির বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন তিনি। ১৬ রানের ইনিংস তিনটি বাউন্ডারি ছিল অনুস্টুপের।

এরপর ধৈর্য ধরেছিলেন আকাশ ঘটক (১৭)। কিন্তু চেতনের বলে পুল করতে গিয়ে জঘন্য আউট হলেন। এরপর বাংলার শেষ ব্যাটিং জুটি বলতে শাহবাজ এবং অভিষেক পোড়েল ছিল। বাংলার গান কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যেতে হলে এই দুজনই শেষ ভরসা। আর চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে প্রথম ইনিংসে ভাল পারফর্ম করা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। না হলে আবার রানার্স আপ হয়েই খুশি থাকতে হবে বাংলাকে। লাঞ্চের ঠিক আগেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন শাহবাজ। তবে রিভিউ দেখে বেঁচে যান তিনি।

রঞ্জি ফাইনালে বাংলার যত চিন্তা ওপেনিং জুটি, পরিবর্তন হতে পারে শেষ মুহূর্তে

কলকাতা: বাংলাকে ইতিহাস গড়তে হবে, এটা ভেবে ছেলেদের ওপর বাড়তি চাপ দিতে নারাজ কোচ লক্ষ্মী রতন শুক্লা। বৃহস্পতিবার ইডেনে শুরু রনজি ট্রফির ফাইনাল। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। লক্ষ্যপূরণে টপকাতে হবে আর একটা ধাপ। তাই নানা ভাবে দলকে উজ্জীবিত করছেন তিনি।

নেটে নিজেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাত ঘোরাচ্ছেন। যা দেখে সিএবি’র এক কর্তা বলেই ফেললেন, অনেক কোচ দেখেছি। লক্ষ্মী একেবারেই আলাদা। আসলে লক্ষ্মী যে শুধু কোচ নন, দলে তিনি কারও বন্ধু, কারও দাদা। কঠিন সময়ে যেমন পাশে থেকে সাহাস জোগান, তেমনই বকাঝকাও করেন বার বার একই ভুলের পুনরাবৃত্তিতে।

আরও পড়ুন – ভ্যালেন্টাইন ডে মেয়ে সানার সঙ্গে বিদেশে দারুণ উপভোগ করলেন সৌরভ, দিলেন বিশেষ বার্তা

পরিশ্রম, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা— এই তিন মন্ত্রেই ৩৩ বছরের খরা কাটানোর স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছেন সফলভাবে। তবুও কৃতিত্ব নিতে একেবারেই রাজি নন লক্ষ্মী। বাংলার কোচের কথায়, এটা দলগত সংহতির ফসল। ছেলেরা ভালো খেলেছে বলেই ফাইনালে উঠেছে। যাবতীয় কৃতিত্ব ওদেরই। পেস আক্রমণেই সৌরাষ্ট্র বধের ছক মনোজদের।

Bengal coach Laxmi Ratan Shukla little bit concerned about opening partnership in Ranji finalচার পেসার খেলানোরও স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেল লক্ষ্মীর কথাতে। এক্ষেত্রে দুরন্ত ছন্দে থাকা আকাশদীপের সঙ্গী হতে পারেন মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েল ও আকাশ ঘটক। বাংলার টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবাচ্ছে আরও একটি বিষয়। তা হল ওপেনিং জুটির ধারাবাহিক সমস্যা। গোটা মরশুম জুড়ে এই একটা বিষয়ে অস্বস্তি ক্রমশ বেড়েছে।

আটবার বদল হয়েছে ওপেনিং পার্টনারশিপ। ফাইনালে কি সেই ধারা বজায় থাকবে? অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করবেন কে? লক্ষ্মীর কথায় অন্য ইঙ্গিত মিলল। ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে তিনি প্রস্তুত। করণ লাল বা কাজি জুনেইদ সফির সঙ্গে আনকোরা সুমন্ত গুপ্তও রয়েছেন তাঁর নোটবুকে। সৌরাষ্ট্র দলে পেসার জয়দেবের ফিরে আসা বাংলার কাছে অবশ্যই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তার হাতে প্রচুর ভ্যারিয়েশন আছে।

Ranji Trophy champion MP : রঞ্জিতে নতুন ইতিহাস রচনা মধ্য প্রদেশের! চ্যাম্পিয়ন হয়ে মুম্বইকে হারাল ৬ উইকেটে

#বেঙ্গালুরু: ইতিহাস স্পর্শ করার স্পর্ধা দেখাল মধ্যপ্রদেশ। রবিবার ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরোয়া বিভাগে সবচেয়ে বড় ট্রফি জিতল তারা। তাও ৪১ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকে হারিয়ে। নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের দাবি রাখে এই পারফরম্যান্স। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের শুভম শর্মা। মুম্বইকে ৬ উইকেটে হারাল তারা।

খাতায়কলমে বড় নাম না থাকলেও মাঠে নেমে অসাধ্যসাধন করলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ছেলেরা। ২৩ বছর পর দ্বিতীয় বার রঞ্জির ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হল মধ্যপ্রদেশ। চতুর্থ দিনের শেষে মনে হচ্ছিল, প্রথম ইনিংসের লিডে মুম্বইকে হারাবে মধ্যপ্রদেশ। কিন্তু পঞ্চম দিন প্রথম সেশনের পরে সরাসরি জয়ের সুযোগ আসে তাদের সামনে।

চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় মুম্বইয়ের রান ছিল ২ উইকেটে ১১৩। পঞ্চম দিন আরও ১৫৬ রান যোগ করতে পারেন পৃথ্বী শ, যশস্বী জায়সবালরা। ম্যাচে সামান্যতম সুযোগ তৈরি করতে হলে দ্রত রান করা ছাড়া মুম্বইয়ের হাতে কোনও উপায় ছিল না। সেটাই করার চেষ্টা করেন দলের ব্যাটাররা।

দ্রুত রান উঠলেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ে। মুম্বইয়ের হয়ে ভাল ব্যাট করেন সুবেদ পারকর ও সরফরাজ খান। সুবেদ ৫১ ও সরফরাজ ৪৫ রান করেন। বাকিরা তেমন রান পাননি। সেমিফাইনালে মুম্বইয়ের হয়ে দুই ইনিংসেই শতরান করা যশস্বী দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র এক রান করে আউট হয়ে যান।

মধ্যপ্রদেশের হয়ে কুমার কার্তিকেয় ৪টি এবং গৌরব যাদব ও পার্থ সাহানি ২টি করে উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই যশ দুবের উইকেট হারায় মধ্যপ্রদেশ। তাতে অবশ্য চাপে পড়েননি দলের বাকি ব্যাটাররা। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন হিমাংশু মন্ত্রী ও শুভম শর্মা। দু’জনে মিলে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৩৭ রান করে শামস মুলানির বলে আউট হন মন্ত্রী।

৩০ রান করে আউট হন শুভম। তাতে অবশ্য জিততে কোনও সমস্য়া হয়নি দলের। ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে মধ্য়প্রদেশ। ম্যাচ শেষে কান্না চাপতে পারেননি কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত। শেষ ছয় বার ফাইনাল খেলে চারবার চ্যাম্পিয়ন হল তার দল। ব্যক্তিগতভাবে কোচ হিসেবে এই নিয়ে মোট রঞ্জি ট্রফি ছয়বার জিতলেন।

Ranji trophy Final : প্রথমবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে সামান্য দূরে মধ্যপ্রদেশ! মুম্বইয়ের হার সময়ের অপেক্ষা

#বেঙ্গালুরু: ইতিহাস গড়ার পথে মধ্যপ্রদেশ। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের শেষে একথা বলাই যায়। ৪১ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইয়ের হার শুধু সময়ের অপেক্ষা। বড় অঘটন না ঘটলে এটাই দেওয়াল লিখন। তৃতীয় দিন শতরান করেছিলেন যশ দুবে ও শুভম শর্মা। চতুর্থ দিন শতরান করলেন রজত পাটীদার।

তিন ব্যাটারের দাপটে প্রথম ইনিংসে ৫৩৬ রান করল মধ্যপ্রদেশ। প্রথম ইনিংসে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ১৬২ রানের লিড নিলেন চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের ছেলেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের থেকে ৪৯ রানে পিছিয়ে পৃথ্বী শ, যশস্বী জায়সবালরা।

তৃতীয় দিনের শেষে মুম্বইয়ের থেকে মাত্র ছয় রানে পিছিয়ে ছিল মধ্যপ্রদেশ। চতুর্থ দিন সকালে তাদের মাত্র ৩.২ ওভার লাগল মুম্বইকে টপকে যেতে। দু’দলের রান সমান থাকা অবস্থায় মুম্বইয়ের বোলার মোহিত অবস্তীর বল কভার অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে দু’রান নেন রজত পাটীদার। মুম্বইয়ের থেকে এগিয়ে যান তাঁরা।

লিড নেওয়ার পরে দেখা যায় সাজঘরে মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটাররা হাত মেলাচ্ছেন। যদিও কোচ চন্দ্রকান্ত কোনও উচ্ছ্বাস দেখাননি। তিনি জানেন, ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। তাই জয় সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে রাজি নন তিনি। তৃতীয় দিন যেখানে শেষ করেছিলেন চতুর্থ দিন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন পাটীদার।

মুম্বইয়ের কোনও বোলার তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি। শতরান করেন তিনি। পাটীদারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সারাংশ জৈন। তিনি অর্ধশতরান করেন। শেষ পর্যন্ত ৫৩৬ রানে শেষ হয় মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংস। মুম্বইয়ের বোলার শামস মুলানি ৫ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান করার চেষ্টা করেন পৃথ্বী শ ও হার্দিক তামোরে।

রানের গতি বেশি হলেও বড় রান করতে পারেননি তাঁরা। পৃথ্বী ৪৪ ও তামোরে ২৫ রান করে আউট হন। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় মুম্বইয়ের রান ২ উইকেটে ১১৩। এখনও ৪৯ রান পিছিয়ে তারা। বাকি পঞ্চম দিনের খেলা। এখন দেখার পঞ্চম দিনের শুরু থেকে মুম্বইয়ের ব্যাটাররা কেমন খেলা শুরু করেন।

তবে নিয়ম অনুযায়ী শেষ দিনে মুম্বই যত ভাল খেলুক, প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে রাখার সুবিধা পাবে মধ্যপ্রদেশ। একটা সময় হোলকার নামে খেলত মধ্যপ্রদেশ। সেই সময় দুর্ধর্ষ দল ছিল তাদের। এখন দেখার ২৩ বছর পর ফাইনালে উঠে ভারত সেরা হতে পারে মধ্যপ্রদেশ।

Ranji trophy Final : জোড়া শতরান সঙ্গে পাতিদারের লড়াই! রঞ্জিতে মুম্বইকে হারানোর জায়গায় মধ্যপ্রদেশ

#বেঙ্গালুরু: মুম্বই বনাম মধ্যপ্রদেশ ফাইনাল শুনে ক্রিকেট পন্ডিত এবং সর্মথকরা চোখ বন্ধ করে এগিয়ে রেখেছিলেন মুম্বইকে। সেটা ভুল নয়। ইতিহাস, পরিসংখ্যান এবং ঐতিহ্য, সবদিক থেকেই এগিয়ে মুম্বই। কিন্তু সেমি ফাইনালে বাংলাকে হারানো এই মধ্যপ্রদেশ যে লড়াকু দল সেটা তারা প্রমাণ করছে। মুম্বইয়ের চেয়ে আর মাত্র ৬ রান পিছিয়ে।

আর ৬ রান করলেই মুম্বইকে প্রথম ইনিংসে ছুঁয়ে ফেলবে মধ্যপ্রদেশ। তার পর তাদের লিড নেওয়ার পালা। মধ্যপ্রদেশের সবে ৩ উইকেট পড়েছে। তারা করে ফেলেছ ৩৬৮ রান। তাই অনেকেই আশা করছেন, লিডটা একেবারে ছোট হবে না। বরং বড় রানেরই লিড পাওয়ারই চেষ্টা করব মধ্যপ্রদেশ। শুক্রবার যশ দুবে-শুভম শর্মা জুটি দ্বিতীয় উইকেটে ২২২ রান যোগ করে।

যার উপর ভিত্তি করে নিজেদের জায়গা মজবুত করে মধ্যপ্রদেশ। লাঞ্চের পর ১১৬ করে আউট হয়ে যান শুভম। যশ করেন ১৩৩ রান। সরফরাজ খানের চেয়ে ১ রান কম করেন তিনি। তৃতীয় দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন রজত পতিদার এবং অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব। রজত ৬৭ করে ফেলেছেন। আদিত্য ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

শনিবার সকাল থেকেই ধীরেসুস্থে ব্যাট করে বড় রানের লিড নেওয়ার চেষ্টা করবে মধ্যপ্রদেশ। মুম্বই দ্রুত উইকেট ফেলতে না পারলে আখেরে কপাল পুড়বে তাদেরই। প্রথম ইনিংসে লিড পেয়ে যাওয়া মানেই, ট্রফির দিক এক পা বাড়িয়ে রাখা। তবে ২২ গজে তো আকছার অঘটন ঘটে।

কে বলতে পারে, বাকি ২ দিনে মুম্বই ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠে, মধ্যপ্রদেশের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে না! তবে যে স্ট্র্যাটেজিতে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের টিম খেলছে, তাতে তাদের বেকায়দায় ফেলা সহজ হবে না। রজত পতিদাররা বরং এখন থেকেই ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। প্রথম বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় গোটা মধ্যপ্রদেশ। পারবে কি তারা সেই স্বপ্ন পূরণ করতে? সময়ই এর উত্তর দেবে।

মাথা ঠাণ্ডা রেখে স্কোরবোর্ডকে সচল রাখেন যশ-শুভম। সেই সঙ্গে দুই তারকাই সেঞ্চুরি করেন। বৃহস্পতিবার সরফরাজ খানের ১৩৪ রানের হাত ধরে মুম্বইয়ের ইনিংস শেষ হয় ৩৭৪ রানে। পৃমুম্বইয়ের ধবল কুলকার্নি, তুষার দেশপান্ডে, মুলানিরা বল হাতে সেভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি। এখন দেখার শেষ দু দিনে কোন বড় নাটক অপেক্ষা করছে কিনা। তবে রজত পাটিদার ফের একবার শতরান করার চেষ্টা করবেন সেটা বলাই যায়।