#দোহা: কাতার বিশ্বকাপ সামনেই। বাড়ছে ফিফার টিকিট বিক্রিও। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক এ সংস্থা কাল জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপের ২৪ লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বিক্রি হয়েছে ৫ লাখের বেশি টিকিট। ফিফা জানিয়েছে, গত ৫ জুলাই থেকে ১৬ আগস্টের মধ্যে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৫৩২ টিকিট বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন – ATKMB AFC Cup : এএফসি কাপে মোহনবাগান এবং গোকুলামের জন্য আসরে নামল কেন্দ্র সরকার
কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, সৌদি আরব, মেক্সিকো, আরব আমিরাত, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানির নাগরিকেরা এ সময় টিকিট কিনতে সবচেয়ে বেশি সাড়া দিয়েছেন। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিল-ক্যামেরুন, ব্রাজিল-সার্বিয়া, পর্তুগাল-উরুগুয়ে, জার্মানি-কোস্টারিকা এবং অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক ম্যাচের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
গত জুনে আয়োজকেরা জানিয়েছিলেন, টিকিটের চাহিদা ছিল রীতিমতো ‘রেকর্ড গড়া’, সে সময় ১২ লাখ টিকিট বিক্রি হয়। আগস্টের শেষ দিকে এসে টিকিট বিক্রির অঙ্ক দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। সব মিলিয়ে আরও ৩০ লাখ ১০ হাজার ৬৭৯টি টিকিট বিক্রির জন্য হাতে আছে ফিফার। কাতার বিশ্বকাপ শুরু হবে ২০ নভেম্বর।
?Argentina, more than Brazil, is the South American country who’s matches for the FIFA 2022 Qatar World Cup are demanded the most. A total of 520,532 tickets were requested between July 5 and August 16. This via @tndeportivo. ??? pic.twitter.com/y8QQNm4kED
— Roy Nemer (@RoyNemer) August 18, 2022
ফিফা জানিয়েছে, বিশ্বকাপ শুরুর আগে ‘শেষ মুহূর্তে’ এসব টিকিট ছাড়া হবে। তবে এখনো দিন-তারিখ জানায়নি ফিফা। কাতার বিশ্বকাপে দেশটিতে ১০ লাখের বেশি ফুটবলপ্রেমীর সমাগম আশা করা হচ্ছে। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটিতে জনসংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। কাতারের এ আসর দিয়েই মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ।
গত সপ্তাহে আয়োজকেরা কাতার বিশ্বকাপ এক দিন এগিয়ে আনেন। কাতার-ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। কাতারের রাজধানী দোহার রাস্তায় কাল ১ হাজার ৩০০ বাস পরীক্ষামূলকভাবে নামিয়েছেন বিশ্বকাপের আয়োজকেরা।
কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির জন্য এর আগে কখনো এত পরিবহন রাস্তায় নামানো হয়নি। আহমেদ আল ওবাইদলি বিশ্বকাপের জন্য তিন হাজার বাস কেনার কথা জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা এএফপিকে।
বিশ্বকাপের সময় কাতারের রাস্তায় চার হাজারের বেশি বাস থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। চালকের সংখ্যাও বাড়িয়ে ১৪ হাজার করা হয়েছে। বেশির ভাগ চালকই আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার। প্রতিটি বাসে পাঁচটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।