Noida Twin Tower Demolition: বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে যাবে টুইন টাওয়ার, মধ্যরাতে নয়ডায় শেষ সেলফি তোলার ধুম মানুষের

#নয়ডা: এমন মধ্যরাত আগে দেখেনি নয়ডার সেক্টর 93-A। আদালতের নির্দেশে সুপারটেকের টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষার ঘড়ি দেখতে শুরু করেছিল সারা শহর। পরিবার এবং শিশু সহ বেশ কিছু মানুষ শনিবার এবং রবিবার মধ্যরাতে জড়ো হয়েছিলেন টুইন টাওয়ারের সামনে। এই বিখ্যাত বিল্ডিংয়ের সঙ্গে শেষ সেলফি তুলছিলেন সাধারণ মানুষ। যমজ দুই টাওয়ারের ভিডিও তুলছিলেন উত্তেজিত সাধারণ মানুষ। প্রায় ১০০ মিটার লম্বা এই টাওয়ারগুলি রবিবার দুপুর ২.৩০ টেয় ভেঙে ফেলা হবে। সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশ অনুযায়ী এমারেল্ড কোর্ট সোসাইটি এই ভবন নির্মাণের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।

আরও পড়ুন- রবিবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠবে নয়ডা, মাটিতে মিশে যাবে জোড়া বহুতল! কেন এই নির্দেশ?

শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সেক্টর 93A-এর ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এত ডামাডোল সত্ত্বেও শিশুদের মধ্যে উত্তেজনা স্পষ্ট চোখে পড়েছে৷ বাবার কোলে করে এসেছিল রিয়া, ঘুমে চোখ প্রায় ঢুলে এলেও তাঁকে শেষবার এই টুইন টাওয়ার দেখাতে নিয়ে এসেছে বাবা। ৬ বছর বয়সী রিয়ার কথায়, “আমাকে বলেছে এখানে কাল দুপুরে বিস্ফোরণ ঘটবে।” সঙ্গে এসেছেন রিয়ার মা’ও। মোবাইল ফোনে টুইন টাওয়ারের শেষ ছবি ক্যামেরাবন্দি করছিলেন তিনি।

১১০ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা হিলাল আহমেদও তাঁর পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জানান, এই টাওয়ার ভেঙে ফেলার ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র অনুভূতি রয়েছে তাঁর। “খুব খুশিও হচ্ছি না আবার খুব কষ্টও হচ্ছে এমনও না,” বলেন হিলাল।

আরও পড়ুন- সঙ্কটে মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের বিধায়ক পদ! নিরাপদ ডেরায় বিধায়করা, এবার ঝাড়খণ্ড

“আশপাশের বিল্ডিংগুলির জন্য বিষয়টি বেশ চাপের। এই টুইন টাওয়ার বিল্ডিংয়ের এটাই শেষ দিন, সেই জন্যই আমরা সবাই এখানে এসেছি। এটি নির্মাতাদের জন্যও একটি বার্তা যে অন্যায় হলে শাস্তি হবেই। বার্তাটি প্রয়োজন,”বলেন হিলাল আহমেদ।

নয়ডার বাইরের মানুষও হাজর হয়েছিলেন গভীর রাতে। বছর কুড়ির আগম শর্মা হরিয়ানার যমুনা নগর থেকে এখানে আসেন। এখানেই আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকছেন তিনি।

“আমি গত কয়েকদিন ধরে খবরে দেখছিলাম। যেহেতু পুলিশ বিল্ডিং ভাঙার সময় লোকজনকে এই জায়গার কাছাকাছি আসতে দেবে না, তাই শেষবার কাছ থেকে দেখার একমাত্র সুযোগ এটাই,” বলেন এই যুবক। টুইন টাওয়ারগুলি দিল্লির বিখ্যাত কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা। ওয়াটারফল ইমপ্লোশন টেকনিক দিয়ে ১৫ সেকেন্ডেরও কম সময়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে দুই টাওয়ার।

ভারতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং যা ভেঙে ফেলা হবে, তা এটাই। “দুপুর ২.৩০ টের সময় টুইন টাওয়ারগুলি নিরাপদে ধ্বংস করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে,” বলেন নয়ডা কর্তৃপক্ষের সিইও রিতু মহেশ্বরী।