#ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর প্রধান লড়াকু বিমান এফ ১৬ কে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮১ সালে আমেরিকার থেকে এই আধুনিক যুদ্ধবিমান কিনেছিল পাকিস্তান। ৪০ টি যুদ্ধবিমান নেওয়া হলেও এতদিনে পাকিস্তানের হাতে কাজ চালানোর মতো ৩২ টি এফ ১৬ রয়েছে। কিন্তু সেগুলো টেকনোলজির দিক থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কারণে উন্নতি প্রয়োজন।
জো বাইডেন সরকার জানিয়ে দিয়েছে তারা এই ব্যাপারে সাহায্য করতে চলেছে পাকিস্তানকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এফ-১৬ কর্মসূচি টিকিয়ে রাখার জন্য একটি প্রস্তাবিত বিদেশি সামরিক বিক্রয় মামলার বিষয়ে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে।
পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, এবং দীর্ঘস্থায়ী নীতির অংশ হিসাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউএস-অরিজিন প্ল্যাটফর্মের জন্য জীবনচক্র রক্ষণাবেক্ষণ এবং টেকসই প্যাকেজ প্রদান করে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন।
পাকিস্তানের F-16 প্রোগ্রাম বৃহত্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রস্তাবিত বিক্রয় তার F-16 বহর বজায় রেখে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবেলায় পাকিস্তানের সক্ষমতা বজায় রাখবে।
@DrSJaishankar Sir, India should register the security concerns over US aid for upgradation of F16 to Pakistan, which eventually will be used to target India and Its airforce.
What is your take on that??!!https://t.co/WGJsVZjUyw— उदय ? (@socialistuday) September 9, 2022
F-16 নৌবহর পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সহায়তা করার অনুমতি দেয় এবং আমরা আশা করি যে পাকিস্তান সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে টেকসই পদক্ষেপ নেবে, মুখপাত্র যোগ করেছেন। কংগ্রেসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বিক্রিতে নতুন কোনো ক্ষমতা, অস্ত্র বা গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তাছাড়া অন্য দেশে পাকিস্তান যাতে এই বিমান হামলার কাজে লাগাতে না পারে সেটা আগে থেকেই চুক্তিতে রয়েছে আমেরিকার সঙ্গে। কিন্তু বালাকোট হামলার জবাব দিতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সেই চুক্তি ভেঙ্গে এফ ১৬ ব্যবহার করেছিল। যদিও অভিনন্দনের মিগ ২১ বাইসন থেকে ছোঁড়া মিসাইলে পাকিস্তানকে একটি এফ ১৬ খোয়াতে হয়।
সে কথা স্বীকার করেনি তারা। তবে পাকিস্তানে কাজ করে আসা হাইকমিশনার পার্থসারথি মনে করেন এই আপগ্রেড করার ফলে পাক বিমান বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আধুনিক র্যাডার এবং মিসাইল যুক্ত হবে এফ সিক্সটিন। তাই ভারতের উদ্বেগ নেই মনে করা ভুল। এখন দেখার এর বিরুদ্ধে ভারত সরকার আমেরিকার কাছে কোনও প্রতিবাদ জানায় কিনা।