#কলকাতা: ভেঙে পড়েননি পুরোপুরি, কিন্তু প্রচণ্ড হতাশ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। সাম্প্রতিক কালে কলকাতা ডার্বির খেলা গুলো এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে এতটাই একতরফা হত, কিছু বলার থাকত না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এবারে ইস্টবেঙ্গল হেরে গেলেও তাদের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স কিন্তু দাগ কেটেছিল।
মহেশ, সার্থক, জর্ডান – সীমিত সমর্থ্য নিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ তৈরি করেছিলেন। সমর্থকদের অনেক আশা রয়েছে তাঁকে নিয়ে। কনস্ট্যান্টাইন সেটা জানেনও। তাই সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে বললেন তিনি। তাঁর কথায়, বার বার বলেছি, দল, ম্যানেজমেন্ট সব কিছুই নতুন। সময় লাগবেই। আস্তে আস্তে আমরা উন্নতি করছি। ম্যাচের পরে আমরা ৫-৬ জন এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরাই বলছিল, সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে ভাল ইস্টবেঙ্গল দলের বিরুদ্ধে ওরা খেলল। ওদের ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন – জঘন্য ক্যাচ মিস! দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারে হঠাৎ হিরো থেকে ভিলেন কোহলি
তাও বলব, আমাদের অনেক ত্রুটি রয়েছে যেগুলো দ্রুত মেরামত করতে হবে। আমরা এই হার থেকে শিক্ষা নেব। আপাতত আমাদের ফোকাসে শুধু চেন্নাইয়িন ম্যাচ। পাশাপাশি যোগ করলেন, এখনও তো অনেক বাকি। পাঁচটা ম্যাচ হয়ে গেলেই তো কেউ আর ট্রফি জিতে যায় না। আমাদের হাতে এখনও ১৬টা ম্যাচ রয়েছে। প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। ভবিষ্যতের জন্য অনেক পরিকল্পনা মাথায় রয়েছে আমার।
? from last night’s #KolkataDerby #JoyEastBengal #ATKMBEBFC #HeroISL #আমাগোমশাল pic.twitter.com/TURSP3uSca
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) October 30, 2022
ফেব্রুয়ারির শেষে বলতে পারব আমাদের সম্ভাবনা কতটা। প্রথমার্ধে জর্ডান ও’ডোহার্টিকে দু’বার বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর মধ্যে এক বার নিশ্চিত পেনাল্টি ছিল বলে বিশেষজ্ঞ থেকে ধারাভাষ্যকারদের দাবি। তাই নিয়ে লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচের মন্তব্য, আমি রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব একটা ভাবি না।
আমি সেটা নিয়ে কোনও অজুহাত দিতে চাই না। প্রথমার্ধে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা শাসন করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ সব কিছু বদলে গেল। আমার মতে, বুমোস সত্যিই ম্যাচের সেরা। দূর থেকে একটা শট নিয়েছিল। কী ভাবে গোল হয়ে গেল জানি না। তবে ওখান থেকে ফিরে আসা কঠিন ছিল।
বুমোস, কাউকো বা আশিক, প্রীতমের মতো ফুটবলার থাকলে যে কোনও দলের কাজ সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া ওরা অনেক দিন ধরে খেলছে। স্টিফেন আশাবাদী এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচের নিজেদের পারফরম্যান্স উন্নত করবেন তার দলের ছেলেরা। জেনে বুঝেই দায়িত্ব নিয়েছেন।
তাই হেরে গেলেও অজুহাত দিতে রাজি নন ব্রিটিশ কোচ। কিরিয়াকু মেনে নিলেন শনিবার দ্বিতীয়ার্ধে তারা পেরে ওঠেনি সবুজ মেরুনের বিপক্ষে। কিন্তু আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম পাঁচে রাখার শপথ নিচ্ছেন সবাই।