ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে গোল শোধ, আবার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন মহমেডান

ইস্টবেঙ্গল – ১
( বিবেক সিং)

মহমেডান – ১
( রহমান)

#কলকাতা: দুদিন আগেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সম্মানের ডার্বি হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে সেটা ছিল আইএসএল। আর এটা কলকাতা লিগ। এটা কার্যত ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় সারির দল। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল মহমেডান। গত শুক্রবার খিদিরপুরের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয়ের পরেই কার্যত খেতাব নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মহমেডানের।

কারণ, তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট ছিল তাদের। এক ম্যাচ বেশি খেলে ছয় পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভবানীপুর।  ১৯৪০, ১৯৪১ সালের পর আবার টানা দু’বার কলকাতা লিগ জিতেছে মহমেডান। আপাতত সামান্য মিষ্টিমুখ করা হয়েছে। মঙ্গলবারের ম্যাচের পর লিগ জয়ের সেলিব্রেশন হবে। কিন্তু ৩৫ মিনিটের মাথায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।

সম্পূর্ণ ভারতীয় ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি লাল হলুদ ব্রিগেড জেসিন টিকের পাস থেকে বিবেক সিং এগিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। ওসুমানে, ভাজ বলটা বুঝতেই পারেনি। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলের জেসিনকে। তার জায়গায় নামানো হল বিষ্ণুকে। দেখার ছিল দ্বিতীয়ার্ধে সম্মান রক্ষার ম্যাচে মহমেডান ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা।

ডিমেলোর পরিবর্তে মহমেডান কোচ নিয়ে এলেন অভিষেক হালদারকে। মার্কোস জোসেফ খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা এদিন মরিয়া ছিলেন। বিশেষ করে ডিফেন্সে কেরলের অতুল উন্নিকৃষ্ণান প্রশংসা করার মতো নেতৃত্ব দিলেন।

সঙ্গে নবি হোসেন, রকিপ লড়াই করলেন লাল হলুদ ডিফেন্সে। ইস্টবেঙ্গলের অনামি ফুটবলাররা সেদিন যেন প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন প্রতিটা বলের জন্য লড়াই করার। কেন লুইসের শট পোস্টে লেগে বেরিয়ে না এলে মহমেডান খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনতে পারত।

তবে প্রশংসা করতে হবে ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ বিনো জর্জের। আজ তুলনায় অনেক শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে যেভাবে ইস্টবেঙ্গলকে পরিচালনা করলেন তিনি সেটা ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে অক্সিজেন দেবে খারাপ সময়। ঠিক মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল যেখানে জয় তুলে নেবে সেখানে ৯০ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে দিল মহমেডান।

ফাসলু রহমান গোল করে গেলেন। বলটা নামিয়ে দিয়েছিলেন ওসমানু।  সুযোগ পেয়েও ম্যাচটা জিততে পারল না ইস্টবেঙ্গল। পরপর দু’বছর চ্যাম্পিয়ন সাদা কালো।