এমবাপের জন্য গর্বিত জিদান, নক আউটে ফরাসি দলের জন্য দিলেন বিশেষ টিপস

#দোহা: দারুন ছন্দে রয়েছে ফ্রান্স ফুটবল দল। এবার তাদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন জিনেদিন জিদান। ১৯৯৮ ফরাসিদের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক জানিয়েছেন, যত টুর্নামেন্ট এগোবে, ততই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে ফ্রান্স। জিদান মনে করেন একের পর এক তারকা ফুটবলারকে চোটের কারণে হারানো সত্ত্বেও, যেভাবে দাপট দেখাচ্ছে তার দেশ তাতে তিনি গর্বিত।

ডেনমার্ককে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পা রেখেছে ফ্রান্স। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের দাপুটে জয়ের নায়ক কিলিয়ান এমবাপে। একাই করেছেন জোড়া গোল। সেই সুবাদে কিংবদন্তি পেলের একটি রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন পিএসজি তারকা। ২৪ বছর বয়সের আগেই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ৭ গোল করলেন তিনি।

আরও পড়ুন – নেইমারের ব্যথা কমাতে নাসার প্রযুক্তি ব্যবহার! সাম্বা কিং কে মাঠে ফেরাতে মরিয়া ব্রাজিল

পাশাপাশি ফ্রান্সের হয়ে গোলের নিরিখে জিনেদিন জিদানকেও ছুঁয়ে ফেললেন এমবাপে (৩১)। ম্যাচ শেষে দলের সেরা তারকা এমবাপেকে প্রশংসায় ভরালেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ। তিনি বলেন, একাই ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিতে পারে এমবাপে। ডেনামার্কের বিরুদ্ধে সেটা আবারও প্রমাণ করল। তবে বাকিরাও দারুণ খেলেছে। বিশেষ করে গ্রিজম্যান।

ক্লাব ফুটবলে চুক্তির ঘোরপ্যাঁচে পুরো ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ পাচ্ছিল না। তবে সে সব ভুলে দেশের জার্সিতে সেরাটা দিতে মুখিয়ে ছিল। এবার বিশ্বকাপে ওকে প্লে-মেকারের ভূমিকায় ব্যবহার করছি। দলের স্বার্থে আমার প্রস্তাব সানন্দে মেনে নিয়েছে গ্রিজু। এমবাপের প্রশংসা শোনা গেল বিপক্ষ প্লেয়ারের মুখেও।

ডেনমার্কের ডিফেন্ডার জোয়াকিম অ্যান্ডারসেন বলেন, এমবাপে একাই আমাদের হারিয়ে দিল। আমরাও সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। চোটে জর্জরিত ফরাসি-ব্রিগেডকে নিয়েও অনেকে তেমনটাই আশঙ্কা করছিলেন। তবে পরিসংখ্যানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দাপটে নক-আউটে পৌঁছল তারা।

এই প্রসঙ্গে দেশঁ বলেন, পরিসংখ্যান নিয়ে আমি একেবারই চিন্তিত ছিলাম না। ফুটবলটা মাঠে হয়। এটা ঠিক যে, বিশ্বকাপের প্রাক্কালে বেনজেমা, পোগবাদের ছিটকে যাওয়াটা বড় ধাক্কা ছিল। কিন্তু আমার দল সেই অভাব বুঝতে দিচ্ছে না। এটাই প্রমাণ করে মানসিকভাবে আমাদের ছেলেরা কোন জায়গায় আছে।