ফরাসি রক্তের স্বাদ পেতে মরিয়া মরক্কোর সিংহরা! ম্যাচ নয়, যুদ্ধ বলছেন কোচ ওয়ালিদ

#দোহা: মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ জন্মছিলেন ফ্রান্সে। কিন্তু নিজেকে মরক্কোর নাগরিক বলতেই গর্ববোধ করেন। ৪৪ বছর ফ্রান্সের কলোনি ছিল মরক্কো। স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৫৭ সালে। তাই আজ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে মরক্কোর লড়াইয়ের মোটিভেশন একটু অন্যরকম। বাস্তব যে রুক্ষ্ম, কঠিন।

গ্রুপ পর্বে ক্রোয়েশিয়াকে রুখে শুরু হয় মরক্কোর পথ চলা। তারপর তারা হারিয়েছে বেলজিয়াম, স্পেন এবং পর্তুগালকে। বুধবার হাকিমি-জিয়াচদের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেকটি ইউরোপিয়ান দল, ফ্রান্স। সাংবাদিক সম্মেলনে মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগির কাছে প্রথম প্রশ্ন ধেয়ে এল, এমবাপেকে কীভাবে আটকাবেন? জানেন তো প্রতি ঘণ্টায় ওর গতি ৩৫ কিলোমিটার?

আরও পড়ুন – মেসির হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চান লুকা ! অবসর নয় এখনই, জানিয়ে দিলেন ক্রোয়েশিয়া অধিনায়ক

একটু হেসে তাঁর উত্তর, আমাদের আচরাফ হাকিমি আছে। এমবাপেরই ক্লাবে খেলে। ও আমার চেয়ে কিলিয়ানকে অনেক বেশি চেনে। ওদের দ্বৈরথ জমে যাবে। উল্লেখ্য, পিএসজি’র হয়ে গত দেড় বছর খেলার সুবাদে এমবাপের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হাকিমি। বুধবার তাঁর প্রান্ত থেকেই আক্রমণে উঠতে দেখা যাবে ফরাসি তারকা উইঙ্গারকে।

তাই এমবাপেকে রুখতে ক্লাব ফুটবলের অভিজ্ঞতাই যে বড় হাতিয়ার হতে চলেছে মরোক্কান রাইট উইং ব্যাকের তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এরপর নিজেকে সিরিয়াসনেসের চাদরে মুড়ে মরক্কানদের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বললেন, ফ্রান্সে কিন্তু এমবাপে ছাড়াও একাধিক কোয়ালিটি প্লেয়ার আছে, যারা ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারে।

তাই প্রত্যেককে একাত্ম হয়ে লড়তে হবে। জানি, বিশ্বকাপে আমরা ফেভারিট নই। তবে আত্মবিশ্বাসী। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ছেলেরা জীবন বাজি রেখে লড়বে। চলতি বিশ্বকাপে মরক্কো মাত্র একটি গোল খেয়েছে। সেটাও আত্মঘাতী। তবে রক্ষণাত্মক মানসিকতার জন্য সমালোচনাতেও বিদ্ধ হচ্ছেন রেগরাগি।

এর জবাবে তিনি বলেন, ৭০ শতাংশ বল পজেশন, আর লক্ষ্যে দুটো শট— এটা কি দারুণ ফুটবল? নিন্দুকদের কথায় আমি কান দিই না। বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম তোলাই লক্ষ্য আমাদের। বুধবারের মহারণে সমর্থকদের পাশে থাকার আবেদন করেছেন মরক্কান কোচ। তাঁর মন্তব্য, কাতারে যেভাবে সাপোর্ট পাচ্ছি, তা অসাধারণ। আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে বদ্ধপরিকর আমরা। মাঠে আসুন। নিরাশ হবেন না।