`মরক্কো মিরাকেল’ শেষ করে ফাইনালের লক্ষ্যে নামছে ফ্রান্স, ভরসা এমবাপে – গ্রিজম্যান জুটি

#দোহা: দৌড়াচ্ছে নয়, মরক্কো ফুটবল দলটা উড়ছে। তবে এই দুরন্ত দৌড় থামিয়ে দিতে মরিয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ফ্রান্স কি পারবে ১৯৬২-র ব্রাজিল হয়ে উঠতে? প্রশ্নটা ঘুরছে ফুটবল মহলে। সেবার চিলিতে বসেছিল বিশ্বকাপের আসর। গ্রুপ পর্বেই চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন পেলে। তাতেও ব্রাজিলের জয়রথ থামেনি। প্রায় একার কাঁধে দেশকে দ্বিতীয়বার বিশ্বসেরা করেছিলেন গ্যারিঞ্চা।

গতি এবং স্কিলের সংমিশ্রণে বারবার বিপক্ষ রক্ষণকে বোকা বানানো ছিল তাঁর অভ্যাস। পরে এক সাক্ষাৎকারে ’৬২-র নায়ক বলেছিলেন, আহামরি কিছুই খেলিনি। ডজ-ড্রিবল তো ব্রাজিলের সম্পদ। সে জন্য তো আর আলাদা পরিশ্রম করতে হয়নি। আর গতি? ছেলেবেলা থেকে প্রচুর দৌড়েছি। আপনাআপনিই গতি বেড়েছে। তবে ফুটবল এরকম থাকবে না।

আরও পড়ুন – ফরাসি রক্তের স্বাদ পেতে মরিয়া মরক্কোর সিংহরা! ম্যাচ নয়, যুদ্ধ বলছেন কোচ ওয়ালিদ

দেখবেন, ভবিষ্যতে স্কিল আর গতির মিশেল একজন ফুটবলারের মধ্যে পাওয়া মুশকিল হবে। নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী। বর্তমানে ফুটবলে চোখ রাখলে গ্যারিঞ্চা একশোয় একশো পাবেন। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই কিলিয়ান এমবাপে। মেসি, রোনাল্ডো পরবর্তী যুগে নেইমারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর দৌড়ে তিনিই একনম্বর। গতি রয়েছে। স্কিলও।

বুধবার মরক্কোর বিরুদ্ধে তাঁর গোলের জন্য অপেক্ষায় গোটা ফ্রান্স। তবে দেশঁর দলের আরও একজনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। তিনি আঁতোয়া গ্রিজম্যান। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের সেরা। ফুটবলবোধের নিরিখে এই ফ্রান্স দলে তিনিই সর্বোত্তম। কিন্তু প্রচার সেভাবে পান না। বলা ভালো, নিজেকে আর্কলাইটের তলায় রাখা তাঁর ধাতে নেই।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দোহার প্রতিটি রাজপথ নীল-সাদায় রেঙে যখন লুসেইলে মিশছে, তখন আল সাদ স্টেডিয়ামে অনুশীলন সারতে ব্যস্ত ফ্রান্স। কোচ দিদিয়ের দেশঁর লাস্ট মিনিট সাজেশন মনোযোগ দিয়ে শুনলেন সবাই। তারপর এমবাপে ও ডেম্বেলেকে ডেকে আলাদাভাবে কথা বলতে দেখা গেল গ্রিজম্যানকে।

তৈরি হল বুধবার আল বায়েতের সবুজ মাঠে মরক্কোর রক্ষণ ভাঙার নীল-নকশা। দেশ কোচ হিসেবে মুখে সম্মান জানাচ্ছেন লড়াকু মরক্কোকে। কিন্তু মাঠে আফ্রিকান সিংহদের দৌড় শেষ করতে মরিয়া লে ব্লু ব্রিগেড। চার বছর পর আবার ফাইনালে জায়গা করে নিতে মরিয়া দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।